প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

সোহেল রানার কবিতা

কৈশোর সোহেল রানা মাছরাঙা মন নিয়ে চষে বেড়ানো পুকুর ঘুঘু-ডাকা-দুপুর, কিংবা ফিঙের বহতা পাখায় তার কুচকুচে শরীর ও জ্বলজ্বলে চোখে এক দূরন্ত কিশোর। উড়ে বেড়ায় ফড়িং — কৃষ্ণচূড়া রং, প্রজাপতি-বিকেল, যার মনে ফুটে-থাকে সবুজ সকাল। আলোকলতা সোহেল রানা চোখের নিমেষেই বৃষ্টি নামে রোদ ওঠে আবার মুহূর্তেই অন্ধকারে আকাশ ভরে! আমি অন্ধকার কুড়িয়ে কুড়িয়ে চোখের পাতাভর্তি আলোকটুকু বাতাসের গায়ে মাখি। আলোকলতা, আলোকলতা, ওহে আলোকলতা কোথায় তোমার বাড়ি? কোথায় তোমার তরী? আমার ঘাটে নোঙর করবে, নেবে তোমার বাড়ি? যদিও জানি, তুমি…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সোহেল রানার কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা

শিক্ষা ব্রতীন বসু একবার কাছে আসবে? ও বলল কেন? তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়। ও বলল, আমার গায়ে অনেক কাঁটা। জানি, তবুও। ও বলল, আমি তো নরম নই, কেন ডাকছ ? আমি তোমার মত হতে চাই। ও বলল, তোমার আমার পার্থক্য কি? গোপন তৃষ্ণা। আমার বালির কাছে কোন চাহিদা নেই, তুমি কিভাবে এখনো চাও, জানবো। নারীটা এলো ক্যাকটাসের কাছে।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ব্রতীন বসুর কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

আমিও আঙুল চাটি কিশলয় গুপ্ত অনেক কিছু ঘটায় এবং ঘটে খালি চোখে সবই দেখি বটে কেউ হাসে, কেউ বা ভীষণ চটে আমি আঙুল চাটি একমাত্র আমিই মাথামোটা প্রাতঃরাশে দেশটা চিবাই গোটা কম্বলহীন-হাতে শুধুই লোটা নীচে ভিজে মাটি যেমন খুশি, যেখানে খুশি দেবেন স্বর্গ এটা, নম্বরে সে সেভেন বোঝেন নি তো? আরে মশাই “হেভেন” কেন কান্নাকাটি কবি? আপনি অদরকারি – কাটুন ঝাঁপির ভিতর যত খুশি ফাটুন অসহ্য হলে বসে আঙুল চাটুন আমিও আঙুল চাটি

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on কিশলয় গুপ্তের কবিতা
দেবারতি দে’র কবিতা

অলীক সেতার দেবারতি দে ১. তার জন্মদিনে কবিতা পাঠ করতো কুয়াশা আর – নৈঃশব্দের ভেতর থেকে উড়ে আসতো পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দ। ২. তাকে নিয়ে লিখতে বসলে জানালায় হাল্কা বাতাস উঠানের দড়িতে দুলতে থাকে হলুদ নরম সুতি কবিতা কিংবা বার-হাত লাল সিল্ক। ৩. অনন্ত নক্ষত্র বাগান পেরিয়ে গীতিকবিতার কোমল নিঃশ্বাসের মতো আজও দাঁড়াই প্রেমিক তোমার দরজায়।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on দেবারতি দে’র কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

চমৎকার শুভেশ চৌধুরী এই যে রাতের খাবার খেলাম তার চেয়ে চমৎকার আর কিছু না ইহা একজন সাচ্চা মানুষ হওয়ার চেয়েও চমৎকার যদি হতাম একজন বড় কর্পোরেট তার চেয়েও চমৎকার কারণ আমি রাতের খাবার নিয়েছি আরেকটি দিনের পুষ্টি নিয়েছি এই সমস্ত ঘটনার থেকে গ্লানি মুক্ত আপনারাই করতে পারেন — যদি আপনাদের বিচারে তা নিজস্ব উপার্জন থেকে খাওয়া হয়ে থাকে অসম্ভব শুভেশ চৌধুরী অসম্ভব এর পায়ে মাথা কুটে দেখেছি তা সম্ভব এই ভাবে বদল হয়ে গেছে আমার চরিত্র, আমার গায়ের রং…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
ভবানী বিশ্বাসের কবিতা

কৃষ্ণচূড়া ভবানী বিশ্বাস আমাদের দেখা হয় না অনেকদিন আমাদের কথা হয় না অনেকদিন নীরব হয়ে আছি দু’জন আকাশে পাখির মতো উড়ছে ঘুড়ি লাল নীল সবুজ… বাতাসে ভেসে আসে গন্ধরাজের সুবাস। এভাবে পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকলে এসব কিছুই মনে পড়ে না আমার শুধু পাড়ের গাছ থেকে একটি কৃষ্ণচূড়া জলে পড়লে বুকের ভেতরটা কেমন কেঁপে ওঠে!

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ভবানী বিশ্বাসের কবিতা
সন্তোষ রায়ের কবিতা

কবিতার ছায়া সন্তোষ রায় সারাজীবন একসাথে কাটিয়ে এখনো জানলে না কবিতার পদবী কী। কবিতা কবিতা ডেকে ডেকে সারাদিনমান — উঠতে বসতে কবিতা, শ্বাসে প্রশ্বাসে কবিতা, ঘরে একমুহূর্ত না থাকলে যেন জীবন শূন্য, প্রাণশূন্য ঘর। কবিতা কি নমঃশূদ্র? নাকি মাহিষ্য দাস, তেলীপাল? না কি কায়স্থ? ব্রাহ্মণ? না কি জনজাতি? না কি কাহ্নকৌব্জ থেকে আগত কৌলীন্য। কিছুই জানলে না, তার বংশ পরিচিতি,আদি বাসস্থান এমনকি জন্মবৃত্তান্ত কিছুই না, কিছুই না। ঘরে তোলার আগে দেখলে না তার মুখ, গায়ের রঙ, স্বাস্থ্য, উচ্চতা —…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সন্তোষ রায়ের কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

একটি সাদা পাতার দিকে তাকিয়ে অভিজিৎ চক্রবর্তী একটি সাদা পাতার দিকে তাকিয়ে তুমি কী দেখো এখানে একজন ডাবওলা মাথার ঘাম মুছে দাঁড়িয়েছেন তার একটিও ডাব বিক্রি হয়নি এখানে একটি মেয়ে আশঙ্কিত ফিরে গেছে পড়ানোর ছলে তার গায়ে হাত দিয়েছে পাড়ার কাকু এখানে একটি ছেলে তার বৃদ্ধা মাকে কাশীতে ইচ্ছাকৃত ফেলে এসেছে এখানে একজন স্ত্রী সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন বহুদিন পর তার স্বামী ফিরে আসবে — যদিও তিনি আর জীবিত নেই এখানে একজন চোর প্রণামী বাক্সে ঢেলে দিয়েছে তিন লক্ষ টাকা…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
সমর চক্রবর্তীর কবিতা

পাপ সমর চক্রবর্তী পুণ্য এই তীর্থে এসে দেবীর অঙ্গবস্ত্রে তুমি মোটেই স্পর্শ করো না। ধূপের সুতীব্র গন্ধে ঢাকা আঁধার প্রকোষ্ঠে বুঝে ফেলবে তুমিও পাথরের মূর্তিতে তিনি একজন — নগ্ন পুরুষ !

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সমর চক্রবর্তীর কবিতা
সন্তোষ রায়ের কবিতা

নতুন জাদুঘর সন্তোষ রায় আমি হাঁটি আগরতলাও হাঁটে। হাঁটতে হাঁটতে আখাউড়া বর্ডার, এখানেই পথের শেষ। তারপর ফিরে চলি— ডানে বাঁয়ে রামনগর জয়নগর প্যারীমাস্টারের বাগান। এখন বাগান ভরা অট্টালিকা, অট্টালিকায় মরশুমী ফুল। আগরতলা উপর দিকে চায় মাথায় কোনো মুকুট নেই তার। ফার্স্ট গেইট নেই, লালমহল নেই, আস্তাবল নেই, সোনার সিংহাসন নেই, রাজাও নেই। আমরা এখন সবাই প্রজা। আগরতলা ও আমি গলাগলি করে হাঁটি পুরাতন হাবেলী থেকে স্মার্টনগরী। আসতে যেতে দেখি, প্রজারা দলে দলে খেলছে বুবাগ্রা বুবাগ্রা খেলা। চমৎকার এই লোফালুফির…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সন্তোষ রায়ের কবিতা