সন্তোষ রায়ের কবিতা

ত্রিপুরা ১

সন্তোষ রায়

ত্রিপুরা বসে আছে টিলার ওপরে।
কোলে তার উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ
ডানে-বাঁয়ে রুদিজলা ডম্বুর জলাশয়
মাথার উপরে জম্পুই পাহাড়।
শীত এলে গা বেয়ে কমলা ঝরে —
হলুদ হলুদ কমলা
বিকেলের মতো দিন যায় — ভোরের কুঁড়ি ফোটে।
ত্রিপুরা হাসে কাঁদে জঙ্গলের ভেতরে
কেউ দেখে না, কেউ শোনে না।


ত্রিপুরা ২

সন্তোষ রায়

ত্রিপুরায় বৃষ্টি হলে জল গড়ায় বাংলা বর্ণমালায়।
মাছেরাও যায়, খেলা করে অক্ষরে অক্ষরে। বাংলার সাথে আমাদের জলের সম্পর্ক —
স্নান করে ভুলে যাই নিজের কথা।
মাছেরা মনে রেখে কেউ কেউ ফিরে আসে গোমতী হাওড়ায় রিফিউজি হয়ে।

ত্রিপুরা বসে থাকে টিলার ওপরে —


ত্রিপুরা ৩

সন্তোষ রায়

আমি মুখ দেখি ডম্বুরের জলে
চুল আঁচড়াই ছবিমুড়ায়
গান পান সব নীরমহলে
তারপর রুদিজলায় নিজেকে ভাসাই।

সাম্রাজ্য ডুবে গেলে ভেসে থাকে
প্রাসাদচূড়া
আমিই বুবাগ্রা তখন, বাকি সব
পরিযায়ী ডানা —