প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

উপহার – গুলশন ঘোষ

উপহার     (অনুগল্প) গুলশন ঘোষ কলাগাছের মতোই বড় হয়ে গেল ছোট্ট অমৃতা। অভাব কী তা কোনদিন সে বুঝতেই পারেনি বাবার দৌলতে। বিয়ের অনলাইন সাইট থেকে নিজের পছন্দ মতো ছেলেকে ও বিয়ে করল। বাধা দিল না মা-বাবা ওর সুখের কথা ভেবে। জামাই চাকরি করে। যৌতুক দাবি করেনি। তবুও দামি-দামি সোনার গয়না, সেগুনের খাট, জামাইকে হিরের আংটি আরো নানান জিনিস দিয়েছিল অমৃতার মা-বাবা ওদের পৃথিবীকে সুখে ভরিয়ে তুলতে। তবুও বিয়েটা সুখের হল না। অমৃতা ৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে আজ আলাদা থাকে…

Read More

সুজিত বসুর কবিতা

ফিরে দেখা সুজিত বসু কলেজ কেটে দুপুরবেলা উত্তেজনার সেই সিনেমা জীবন যে এক মধুর সফর দেখিয়ে দিত রাজেশ হেমা ক্লান্তি বিষাদ দুঃখ কাঁধে দুপুররাতে চলতে থাকি এখনও ঘুম ভাঙায় ভোরে নাম না জানা অচিন পাখি সূর্য ডোবে বিকেলবেলা সূর্য ডোবে রক্তপাতে সুখের গোলাপ বিষাদচাঁপা অপাপবিদ্ধ ওই দুহাতে হলুদ ভোরে বাতাস আনে শিশিরভেজা পবিত্রতা একটু পরে গনগনে রোদ ডাকছে মনের রুক্ষতাকে মহিষকালো মেঘের ডাকে দিচ্ছে সাড়া জলের ফোঁটা এমন একটা বাদলা দুপুর ভোলায় মনের দুঃখটাকে সন্ধেবেলা শাঁখের আওয়াজ এখন শুধু…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সুজিত বসুর কবিতা
বিজয়া দেবের কবিতা

শ্যাওলা সবুজকথা বিজয়া দেব দেয়ালের গায়ে গায়ে শ্যাওলা সবুজ, শ্যাওলা রঙের শাড়ি মনোরম খুব। শোভিত হয়েছে এক বুটিক বাজারে, চাহিদা দারুণ আছে, মনোলীনা বলে। দেয়াল টিঁকবে না এই ঝড়ের দাপটে, পথ ঘর একাকার হয়ে যাবে রাতে। বুটিকের শাড়িগুলো গোছাতে গোছাতে, পথ ঘর এক হবে আজ বুঝি রাতে? দেয়াল ক্ষয়েছে যত বাহারি হয়েছে তত শ্যাওলার ভার, মনোলীনা, চমকিত বিপণিতে আলোর সম্ভার, শ্যাওলা সবুজ রঙ প্রেরণা শাড়ির, রেখাচিত্রে আলোকিত সৃজনের মীড়। দেয়াল ধসেছে রাতে পথ ঘর এক, মনোলীনা মন কাড়া কথা…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on বিজয়া দেবের কবিতা
মেস সংবিধান ও বৃন্দাবন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

মেস সংবিধান ও বৃন্দাবন    (রম্যরচনা) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য শিশির আর কমল মেসে থেকেই চাকরি করছেন আজ বছর দুয়েক হবে। বাড়ি থেকে রোজ রোজ সময়ে অফিসে পৌঁছানো ভীষণ অসুবিধাজনক তাই এই সিদ্ধান্ত। শিশির আর কমলের মেস মানে, মিনিমাম আয়োজনে মিডিয়াম জীবনযাত্রা। থেকে খেয়ে চাকরি টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা। এই মাত্র। মেসে থাকতে খেতে গেলে কাজের লোক লাগে, স্বাভাবিক। নয়তো সময়ে আহার জুটবে কি ভাবে। সে কথা ভেবেই শুধু রান্নার লোক অর্থাৎ একজন রাঁধুনি রাখা হয়েছে। তৈজসপত্র ধোয়া মোছা তাকেই করতে…

Read More

Posted in অন্যান্য Comments Off on মেস সংবিধান ও বৃন্দাবন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
শিক্ষিত কে – সমিত রায় চৌধুরী

শিক্ষিত কে     (অনুগল্প) সমিত রায় চৌধুরী সুচেতার মনটা ভার। প্রথমে কলিগদের সাথে ঝগড়া তারপর বসকে মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে না পারা। সব মিলিয়ে দিনটা একদমই ভালো না। তাদের অফিস পাড়ার সামনেই একটা ঝিল। ঝিলের পারেই ছোট পার্ক। পার্কে গিয়ে বসলো সুচেতা। পার্কটা বেশ সুন্দর। অফিস ছুটির পর বা লাঞ্চ ব্রেকে অফিস কর্মীরাই বসে এখানে। সুচেতার মন খারাপ হলেই ঠিকানা হয় এখানটায়। ঝিলের আঁকাবাঁকা ধার ধরে লম্বাটে আকৃতির পার্ক। পামগাছের সারি আর ঝাউগাছের মাঝে মাঝে ছোট ছোট পাতাবাহার আর…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on শিক্ষিত কে – সমিত রায় চৌধুরী
দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ

দৃষ্টিবিভ্রম    (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দৃষ্টিবিভ্রম চতুরতাকেও ছাড়িয়ে যায়। হয়তো এভাবেই একটা মিথ তৈরি হয়। সে মিথের নির্যাসটুকু সত্যি কিনা মিথ্যা তার বাছবিচার করেনি। ধ্বনিলাল তাই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে প্রায়ই এক যুদ্ধক্ষেত্রের। সে বন্দুক হাতে একা এক যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দুকটা কীসের তৈরি তার কাছে অস্পষ্ট। সেটা কী দো নলা নাকি এ কে ফোরটি সেভেন কিংবা লাইট মেসিনগান সেসব উহ্য থাকে। তবু তার কাছে এসব স্বপ্ন ভালোই লাগে। এবার কিন্তু ধ্বনিলাল অন্যরকম একটা স্বপ্ন দেখল। সে দেখল জনারণ্যে…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ
সঞ্জীব দে’র কবিতা

কখনও এমন নিঃস্ব মনে হয়নি সঞ্জীব দে কখনো এমন নিঃস্ব মনে হয়নি! জঙ্গলে গরু চড়াতে গিয়ে বাঁশি বাজাতে বাজাতে গরু হারিয়ে কতবার একা বাড়ি চলে এসেছি — তখনও এমন নিঃস্ব মনে হয়নি! এখন সব আছে অথচ কি যেন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আছি প্রতিদিন। এক নিগূঢ় নিঃস্বতা এক নিগূঢ় স্তব্ধতা এক বেওয়ারিশ শূন্যতা চিতাবাঘের মতো তেড়ে বেড়াচ্ছে জীবন। এই কোন স্কিজোফ্রেনিয়া! পৃথিবীর মানুষগুলো ঢুকে যাচ্ছে খোলসের ভেতর! পৃথিবীকে কুয়ো বানিয়ে ফেলছে! অজ্ঞতা। সুন্দর নীলাকাশ, প্রকৃতি, তারা, সমুদ্রের উচ্ছ্বাস, উদয়াস্ত, ঝিঁঝির…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সঞ্জীব দে’র কবিতা
শুভাশিস চৌধুরীর কবিতা

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের সেই সকাল শুভাশিস চৌধুরী ১. দৃশ্যপট আমি তো আছি ভয় কি রে তোর বড়দি যে তোর! নয়কো দাদা। তুই ছাড়া যে কেউ নেই আর আহা! ভাইটি আমার, ঘুমিয়ে কাদা। ঘন্টা পেরোয় ঘন্টার পর                কেটে গেছে সাড়া রাত কেমন করে সরাই পাথর                বয়স আমার মাত্র সাত। কেউ এসে পাথরটা সড়িয়ে দাও মানুষের কাছে আমাদের নিয়ে যাও। ঐ শোনা যায় পায়ের শব্দ আসছে ওরা…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on শুভাশিস চৌধুরীর কবিতা
রহিত ঘোষালের কবিতা

ইলাম বাজার জঙ্গল রহিত ঘোষাল ইলামবাজার জঙ্গল বসন্ত দুই হাজার কুড়ি। তোমার হাত ধরে ঝরে পড়া পাতার উপর পা, পায়ে নুপুর। নীল-সবুজ পোশাকে খোলা চুল ধার ঘেঁষে প্রায় শুয়ে পড়েছে রোদ তোমার ঘাড়ে, খয়রি গাছের ডালে ডালে। কাজল ছাড়াই ছড়িয়ে পড়েছে আবদার, সেই নির্জন অরণ্যে আর কিছু মুহূর্ত শাড়ির আঁচলে, নাকি চেয়ে থাকা অকারণ সব কথা তুলে রাখবো শুকনো পাতায়। ইলামবাজার জঙ্গল বসন্ত দুই হাজার কুড়ি বিকেল বেলায় হাঁটতে বেরোলাম। তোমার হাতে রুপোর মল, আজ আর তোমার কাঁধে কোন…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on রহিত ঘোষালের কবিতা
কোয়ারেন্টাইন কিংবা কোয়ান্টাম – সদানন্দ সিংহ

কোয়ারেন্টাইন কিংবা কোয়ান্টাম সদানন্দ সিংহ সকালে টুংটাং আওয়াজে কলিং বেলটা বাজল। আমি এই আওয়াজেরই অপেক্ষা করছিলাম। প্রথম লকডাউন। হোম কোয়ারেন্টাইনের আজ পনেরতম দিন। তড়াক করে উঠে নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে বলল, মনে হচ্ছে ময়লা নেবার লোকটা এসেছে। দরজা খুলে দেখলাম, যা ভেবেছি তাই। বন্ধ কলাপ্‌সেবল গেটের ওপারে ময়লা নেবার ড্রামটা নিয়ে লোকটা দাঁড়িয়ে আছে। সেই মুহূর্তে লোকটাকে আমার একজন অবতার বলেই মনে হল। অবশ্য তার কারণও আছে। আজ প্রায় সাতদিন হল, এই লোকটা ময়লা নিতে আসেনি। এটাও নিশ্চিত যে লোকটা ফ্ল্যাটের…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on কোয়ারেন্টাইন কিংবা কোয়ান্টাম – সদানন্দ সিংহ