প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

সন্তোষ রায়ের কবিতা

কবিতার ছায়া সন্তোষ রায় সারাজীবন একসাথে কাটিয়ে এখনো জানলে না কবিতার পদবী কী। কবিতা কবিতা ডেকে ডেকে সারাদিনমান — উঠতে বসতে কবিতা, শ্বাসে প্রশ্বাসে কবিতা, ঘরে একমুহূর্ত না থাকলে যেন জীবন শূন্য, প্রাণশূন্য ঘর। কবিতা কি নমঃশূদ্র? নাকি মাহিষ্য দাস, তেলীপাল? না কি কায়স্থ? ব্রাহ্মণ? না কি জনজাতি? না কি কাহ্নকৌব্জ থেকে আগত কৌলীন্য। কিছুই জানলে না, তার বংশ পরিচিতি,আদি বাসস্থান এমনকি জন্মবৃত্তান্ত কিছুই না, কিছুই না। ঘরে তোলার আগে দেখলে না তার মুখ, গায়ের রঙ, স্বাস্থ্য, উচ্চতা —…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সন্তোষ রায়ের কবিতা
ভবানী বিশ্বাসের কবিতা

কৃষ্ণচূড়া ভবানী বিশ্বাস আমাদের দেখা হয় না অনেকদিন আমাদের কথা হয় না অনেকদিন নীরব হয়ে আছি দু’জন আকাশে পাখির মতো উড়ছে ঘুড়ি লাল নীল সবুজ… বাতাসে ভেসে আসে গন্ধরাজের সুবাস। এভাবে পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকলে এসব কিছুই মনে পড়ে না আমার শুধু পাড়ের গাছ থেকে একটি কৃষ্ণচূড়া জলে পড়লে বুকের ভেতরটা কেমন কেঁপে ওঠে!

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ভবানী বিশ্বাসের কবিতা
বলাই দে’র ছড়া

ফেরাও দৃষ্টি বলাই দে আছে অঢেল আরও চাই চাওয়ার যুদ্ধ জীবনভর, সুন্দর এই আকাশ বাতাস সুন্দর এই চরাচর। নিত্য বলে নাই যে কিছুই ঢেউটি আছে অনিত্যের, মনে সদাই হিসেব নিকেশ হয় না তার হেরফের। অতৃপ্তিটা লেগেই থাকে শয়নে বা জাগরণে, বোঝা কেবল বেড়েই চলে বেড়েই চলে হৃৎকাননে । আগে চলে ‘মন মদীনা’ হৃদয় থাকে অনেক পিছে, লক্ষ্য কেবল পাহাড়চূড়া বাকি সব শুধুই মিছে। মুখে হাসির ঝলক থাকে অতৃপ্তির ভাবটা তেতো, সুখ পাখিটির গানটি মধুর যদি সে গান শুনতে পেতো!…

Read More

Posted in ছড়া Comments Off on বলাই দে’র ছড়া
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

চমৎকার শুভেশ চৌধুরী এই যে রাতের খাবার খেলাম তার চেয়ে চমৎকার আর কিছু না ইহা একজন সাচ্চা মানুষ হওয়ার চেয়েও চমৎকার যদি হতাম একজন বড় কর্পোরেট তার চেয়েও চমৎকার কারণ আমি রাতের খাবার নিয়েছি আরেকটি দিনের পুষ্টি নিয়েছি এই সমস্ত ঘটনার থেকে গ্লানি মুক্ত আপনারাই করতে পারেন — যদি আপনাদের বিচারে তা নিজস্ব উপার্জন থেকে খাওয়া হয়ে থাকে অসম্ভব শুভেশ চৌধুরী অসম্ভব এর পায়ে মাথা কুটে দেখেছি তা সম্ভব এই ভাবে বদল হয়ে গেছে আমার চরিত্র, আমার গায়ের রং…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
দেবারতি দে’র কবিতা

অলীক সেতার দেবারতি দে ১. তার জন্মদিনে কবিতা পাঠ করতো কুয়াশা আর – নৈঃশব্দের ভেতর থেকে উড়ে আসতো পৃষ্ঠা উল্টানোর শব্দ। ২. তাকে নিয়ে লিখতে বসলে জানালায় হাল্কা বাতাস উঠানের দড়িতে দুলতে থাকে হলুদ নরম সুতি কবিতা কিংবা বার-হাত লাল সিল্ক। ৩. অনন্ত নক্ষত্র বাগান পেরিয়ে গীতিকবিতার কোমল নিঃশ্বাসের মতো আজও দাঁড়াই প্রেমিক তোমার দরজায়।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on দেবারতি দে’র কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

আমিও আঙুল চাটি কিশলয় গুপ্ত অনেক কিছু ঘটায় এবং ঘটে খালি চোখে সবই দেখি বটে কেউ হাসে, কেউ বা ভীষণ চটে আমি আঙুল চাটি একমাত্র আমিই মাথামোটা প্রাতঃরাশে দেশটা চিবাই গোটা কম্বলহীন-হাতে শুধুই লোটা নীচে ভিজে মাটি যেমন খুশি, যেখানে খুশি দেবেন স্বর্গ এটা, নম্বরে সে সেভেন বোঝেন নি তো? আরে মশাই “হেভেন” কেন কান্নাকাটি কবি? আপনি অদরকারি – কাটুন ঝাঁপির ভিতর যত খুশি ফাটুন অসহ্য হলে বসে আঙুল চাটুন আমিও আঙুল চাটি

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on কিশলয় গুপ্তের কবিতা
ভোট – ব্রতীন বসু

ভোট  (অনুগল্প) ব্রতীন বসু কল্কে পাড়ার ওসি ভৃঙ্গিবাবুর পায়ের ছাপটা খুব মিষ্টি। যে দিক দিয়ে হেঁটে যান পিঁপড়েতে থিকথিক করে। সেদিন গাঁজা পাড়ায় ভোট। ভৃঙ্গিবাবুর ডিউটি পড়েছে। পিঁপড়ের দল পেছন পেছন গেল। হঠাৎ ভৃঙ্গিবাবু দেখলেন সামনের নোনতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার খোলা। পিঁপড়েরা ওনার পায়ের ছাপ ফেলে দলে দলে সেদিকে ছুটছে। উনি রাগে গর্জন করতে করতে গিয়ে হাজির হলেন। মিথ্যুক, নাম দিয়েছিস নোনতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার আর এমন মিষ্টি বানাচ্ছিস যে আমার পায়ের ছাপ খেয়ে বড় হওয়া পিঁপড়েরা আমাকে ফেলে তোর দোকানে…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা

শিক্ষা ব্রতীন বসু একবার কাছে আসবে? ও বলল কেন? তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হয়। ও বলল, আমার গায়ে অনেক কাঁটা। জানি, তবুও। ও বলল, আমি তো নরম নই, কেন ডাকছ ? আমি তোমার মত হতে চাই। ও বলল, তোমার আমার পার্থক্য কি? গোপন তৃষ্ণা। আমার বালির কাছে কোন চাহিদা নেই, তুমি কিভাবে এখনো চাও, জানবো। নারীটা এলো ক্যাকটাসের কাছে।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ব্রতীন বসুর কবিতা
ফৈয়াজ চাচা ও বাপুরামের গল্প – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য

ফৈয়াজ চাচা ও বাপুরামের গল্প   (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য (১) … তারপর হারিয়ে গেলো ফৈয়াজ চাচা। সে রাতে পুলিশ এলো গাঁয়ে। ফৈয়াজ চাচাকে তুলে নিয়ে চলে গেল। আর ফেরেনি। আস্ত মানুষটা উবে গেল কর্পূরের মত। জগবন্ধু মিত্র বললো, তাইতো ফৈয়াজ কোথায় গেলো! গল্পটা পুরনো। বেশ পুরনো। পথে ঘাটে হাটে বাটে সর্বত্র তখন জগবন্ধুবাবুদের রমরমা। রাস্তায় কান পাতলে সব-হারানো মানুষের দুর্দশার সব কথা শোনা যেত। জগবন্ধুবাবুরা গলার শিরা ফুলিয়ে, মুষ্টিবদ্ধ ডান হাত আকাশে ছুঁড়ে সবাইকে শোনাত সেই সব কথা। গল্পটা…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on ফৈয়াজ চাচা ও বাপুরামের গল্প – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য
কিচিরমিচির – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

কিচিরমিচির     (ছোটোদের গল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য রিন্টুদের বাড়ি থেকে ফিরেই খাঁচার সামনে এসে দাঁড়ায় টিপু। ভীষণ মন খারাপ। একমনে দেখতে থাকে পাখিগুলোকে। কেমন একটা ভয় ছায়া ফেলেছে টিপুর মনে। মুখেও। নানা রঙের ছোটো ছোটো পাখি। ছয়টা। সেদিন খাঁচায় পাখি নিয়ে বিক্রি করতে এসেছিল একজন লোক। সেই দেখে শুরু হয় টিপুর বায়না, তারও পাখি চাই। কান্নাকাটি করেছিল খুব। মা-বাবা দুজনেই বলেছিল টিপুকে, পাখি খাঁচাতে ভীষণ কষ্ট পায়। ওদের আনন্দ আকাশে। কথা শোনেনি টিপু। বরং কান্নার তোড় বেড়েছিল আরো। বাধ্য…

Read More

Posted in হিজিবিজি Comments Off on কিচিরমিচির – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য