সন্তোষ রায়ের কবিতা

মনের মানুষ

সন্তোষ রায়

‘আয়রে আমার মনের মানুষ’
ডাক শুনেই সারি থেকে উঠে কপালে টোকা দিতেই জেগে ওঠে কপালে এক বলয়, মাথা থেকে শরীর জড়াতে জড়াতে পা‌ বেয়ে নেমে যায় মাটিতে। —এবার বের করো কে সেই মনের মানুষ!

আমি ঘুরতে ঘুরতে খুঁজি। সবই যে একরকম। একজন মাথা নিচু করে তো সবার মাথা নিচু, একজন হাসে তো সবাই হাসে। ভাবি, পাগল না হলে কি মনের মানুষ হয় !
সকাল দুপুর বিকেল খুঁজে খুঁজে এখনো পেলাম না। হয়ত ছোটবেলায় ছিল, আমার অদৃষ্টে টোকা দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। সেই তরঙ্গে আমি অলিগলিতে ডেকে ডেকে ফিরি — আয়রে আমার মনের মানুষ। আয়রে আমার মনের মানুষ—
সবাই মাথা নিচু করে থাকে নয়ত হাসে —


চেনাজানা

সন্তোষ রায়

নিজেকে চেনা এক পাগলামো।
কাহাতক লেগে থাকা যায়!
কাহাতক দৌড়নো যায় পিছু পিছু!
কখন কোথায় যাবে তার কোনো ঠিকানা নেই, কখন কী বলবে তার মাত্রা নেই।
স্বজনের পুকুর পেলে দে ডুব, ডুব ডুব ডুব,
প্রেমে অপ্রেমে ডুব।
অত দম নেই আমার। শত সমস্যায় সাঁতার—অভ্যেস নেই আমার। যতদূর ভাবনা যায়, দৌড়োই ততদূরই।
ক্লান্ত হলে পদ্মাসনে বসি,
হায়রে জীবন ! না কি উদযাপন!
নিজেকে চেনা এতই কি সহজ ? —
ঘুমের ভেতর নেমে অতলে যাওয়া!