প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2025 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2026 সংখ্যা প্রকাশিত হবে JAN মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2026 সংখ্যা প্রকাশিত হবে JAN মাসের ২০ তারিখ ।

টোকা – ব্রতীন বসু
টোকা – ব্রতীন বসু

টোকা       (অনুগল্প) ব্রতীন বসু বলতে পারেন, একটা দরজায় সারা জীবনে ক’টা টোকা পড়ে ? ক’টা খোলে আর বন্ধ থাকে ক’টা? এটা বলা মুশকিল, নির্ভর করছে কার দরজা এটা প্রয়োজন কার যে টোকা দিচ্ছে না যে ভেতরে আছে। আচ্ছা ধরুন, কেউ টোকা দিয়ে বলল, আমি আপনাকে খুন করতে চাই, দরজাটা খুলবেন প্লিজ, কেউ কি খুলবে? নিশ্চয়, যদি সে আত্মহত্যা করবে মনস্থ করে থাকে কিন্তু বিষ বা দড়ি কোনোটাই হাতের কাছে না থাকে। আর যদি আমি বলি, আপনাকে এক…

Read More

ফারাক – সদানন্দ সিংহ
ফারাক – সদানন্দ সিংহ

ফারাক   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ রাগিনী চারিদিকে ভগবানকে খুঁজে পায়। কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর। রাগিনীর স্বামী অরিন্দম আবার তর্কে সবসময় এগিয়ে, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। মাঝে মাঝে রাগিনীর সঙ্গে অরিন্দমের বেশ জোরালো তর্ক হয়। বলাই বাহুল্য, সে তর্কযুদ্ধে রাগিনী সবসময় হেরে যায়। রাগিনী একসময় রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায়, কিন্তু রাগে গোঁ গোঁ করে যায়। অগত্যা তখন অরিন্দমকেই কাছে গিয়ে নানা কায়দা করে রাগিনীর মান ভাঙাতে হয়। সারাবছর ঘরে একটা পূজাপাল্লি কিংবা ঘরের বাইরের কোনো মঠে দানধর্ম লেগেই থাকে…

Read More

সস্তা – সুদীপ ঘোষাল
সস্তা – সুদীপ ঘোষাল

সস্তা          (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল সরল দে একজন সরল মানুষ। সে সস্তায় জীবন ধারণ করার জন্য ফুটপাতের সস্তা পোশাক ব্যবহার করে। বাড়িতে এসে জামা পরতে গিয়ে দেখে সাইজে অনেক বড় হয়ে গেছে। আবার সস্তায় দর্জির দোকানে সেলাই করে ঠিক করে জামা। আবার জামা কাচাকাচি করার পরে ছোটো হয়ে যায়। সরল সস্তায় খাবার খোঁজে। মুরগীর রোগ হলে সস্তায় কিনে খায়। সস্তার শরীর সরলের, জোর কিন্তু বাড়ে। জমিতে ফসল ফলায়। খোলা আকাশের নিচে আনন্দে থাকে। সস্তায় তার জীবন…

Read More

সতীদাহ – ব্রতীন বসু
সতীদাহ – ব্রতীন বসু

সতীদাহ     (অনুগল্প) ব্রতীন বসু রনু, যেদিন তুই চলে গেলি রুনু লরির তলায়, তোর কলিগ জিয়ার সাথে হোটেলে রাত কাটিয়ে সতীসাধ্বী স্বামীর মত বাড়ি ফেরার সময়, সেদিন ভোরে আমি গ্যাস জ্বেলে দিয়েছিলাম। মরিনি। জ্যাকি আমাকে টেনে টেনে নিয়ে এসেছিল। দিয়ে সামনের ফ্ল্যাটের কাকিমাদের ঘেউ ঘেউ করে ঘুম থেকে তুলেছিল। মনে আছে তুই রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছিলি ওকে। আমি বলেছিলাম নেড়িকুত্তা রাখবি? তুই বললি, নাহলে যে গাড়ি চাপা পড়ে মরে যাবে। আমি মরিনি, কিন্তু গায়ে পোড়া দাগ রয়ে গেছে। মাঝে…

Read More

পরি – সদানন্দ সিংহ
পরি – সদানন্দ সিংহ

পরি          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দশ মাসে বছর হয় না। কিন্তু ছোট্টুবাবুর হয়ে যায়। ছোট্টুবাবুর অনেক কিছুই হয়ে যায়। দিনটাকে কখনো রাত কিংবা রাতকে কখনো দিন। চালচুলোহীন মানুষ সে, একা এক কুটিরে বসবাস করে। কোনো এক কালে ওর পূর্বপুরুষরা নাকি জমিদার ছিল। এখন সে কোনোদিন খায়, কোনোদিন খায় না। গভীর রাতের জ্যোৎস্না রাতে সে নাকি পরিও দেখে। শনিতলার বিশাল বট গাছের ঝুরি বেয়ে নাকি পরিরা নামে গভীর রাতে। ছোট্টুবাবু তক্কে তক্কে থাকে এক অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে,…

Read More

শনির দশা – সদানন্দ সিংহ
শনির দশা – সদানন্দ সিংহ

শনির দশা      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ সাতসকালেই মোবাইল বেজে উঠল। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম, এক বন্ধু ফোন করেছে। বললাম, হ্যালো। ফোনের অপরপ্রান্ত বন্ধুর বিষণ্ণ গলা ভেসে এলো, ভাই আমার এখন শনির দশা চলছে। বললাম, তা শনিতলায় একটা নমো দিয়ে এসো। সব ঠিক হয়ে যাবে। বন্ধুটি বললো, না ভাই, এতো সহজে শনির দশা যায় না। এর জন্যে অনেক কিছুই করতে হয়। আচ্ছা, তুমি হরজিতের ঠিকানা, নাম্বার কিছু জান? হরজিৎ আমাদেরই কবিবন্ধু। একসময় সে নাকি এক ছোট্ট দোকান খুলে সেখানে…

Read More

দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ
দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ

দৃষ্টিবিভ্রম    (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দৃষ্টিবিভ্রম চতুরতাকেও ছাড়িয়ে যায়। হয়তো এভাবেই একটা মিথ তৈরি হয়। সে মিথের নির্যাসটুকু সত্যি কিনা মিথ্যা তার বাছবিচার করেনি। ধ্বনিলাল তাই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে প্রায়ই এক যুদ্ধক্ষেত্রের। সে বন্দুক হাতে একা এক যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দুকটা কীসের তৈরি তার কাছে অস্পষ্ট। সেটা কী দো নলা নাকি এ কে ফোরটি সেভেন কিংবা লাইট মেসিনগান সেসব উহ্য থাকে। তবু তার কাছে এসব স্বপ্ন ভালোই লাগে। এবার কিন্তু ধ্বনিলাল অন্যরকম একটা স্বপ্ন দেখল। সে দেখল জনারণ্যে…

Read More

ঝিলিক – সদানন্দ সিংহ
ঝিলিক – সদানন্দ সিংহ

ঝিলিক          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দীপ আর সীমা সকালের ব্রেকফাস্ট সারছিল। বাবাইয়ের ব্রেকফাস্ট আগেই হয়ে যাবার পর স্কুলের ইউনিফর্ম পরে সে স্কুলবাসের অপেক্ষা করছে। স্কুলবাসটা তাদের বাড়ির কাছে আসতে প্রায় দশ মিনিট লাগবে। টিভিতে তুরস্কের ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা ও উদ্ধারকার্য দেখানো হচ্ছিল। ব্রেকফাস্ট করতে করতে টিভি দেখছিল ওরা। এইসময় বাবাই তাদের সামনে এসে বলল, বাবা আমি টার্কি যাবো। শুনে ওরা যেন আকাশ থেকে পড়ল। দীপ বলে উঠল, বলিস কী! সেখানে কেন যাবি? সে তো অনেক দূরে। বাবাই…

Read More

প্রতিদান – সদানন্দ সিংহ
প্রতিদান – সদানন্দ সিংহ

প্রতিদান    (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ পাশ থেকে শ্রাবণী চেঁচাচ্ছে ক্রমাগত, আস্তে যাও, আস্তে। কী হচ্ছে এসব! মরতে চাও তুমি? আমি চাই না। কিন্তু রাজ গাড়িটা কিছুতেই থামাচ্ছে না। স্পিডোমিটারটা শুধু উঠছে তো উঠছেই, মনে হচ্ছে যেন তাদের কারটা হাওয়ার ওপর ভেসে যাচ্ছে। চল্লিশ থেকে ষাট, ষাট থেকে সত্তর, সত্তর থেকে আশি। তারপর আশি ওপরও ওঠে যাচ্ছে। নতুন গাড়ির একটা শখ রাজের ছিল অনেকদিন ধরে। মাস ছয়েক আগে গাড়িটা নিয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে। এই ছ মাস ধরে একটা লার্নার…

Read More

বিহারিলালের উল্টোরথ – সদানন্দ সিংহ
বিহারিলালের উল্টোরথ – সদানন্দ সিংহ

বিহারিলালের উল্টোরথ সদানন্দ সিংহ ঘর ছাড়িয়ে চারুবাঁক পেরিয়ে ডানদিকে মোড় নিলে প্রথমেই যে একমাত্র তেঁতুলগাছটা নজরে আসে, সে গাছটা আরো কতোদিন বেঁচে থাকবে বিহারিলাল সেটা জানে না। যে জালালি কবুতরটি তার ঘরের টিনের চালে একা একা বসে থাকে, সে কবুতরটি কোনোদিন সঙ্গী জোটাতে পারবে কিনা তা সে জানে না। যে ফানুসটা একটু আগে তার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে, সেটা যে কেন গেছে তা সে জানে না। আজ এতোদিন পরে তার তাপ্পিমারা চপ্পলের একটা কী করে যে দু টুকরো…

Read More