প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2024 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ।

বিশ্বজিতের স্বপ্ন – সদানন্দ সিংহ
বিশ্বজিতের স্বপ্ন – সদানন্দ সিংহ

বিশ্বজিতের স্বপ্ন        (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ আর মাত্র কিছু পোঁচ। বড় জোর আধ ঘন্টার কাজ। কাজ শেষ হলেই সে মানে বিশ্বজিৎ বাড়ি চলে যাবে সন্ধ্যের আগেই। ইচ্ছে আছে বাড়ি গিয়ে ছেলে-মেয়ে-বৌকে নিয়ে ওরা চারজনে হেরিটেজ পার্কে একটু সময় কাটাবে। তাই তাড়াতাড়ি হাত চালায় সে। এবং অনুমান মতো আধা ঘন্টার আগেই হাতের কাজ শেষ হয়ে যায়। বিশ্বজিৎ রংমিস্ত্রি। সাতদিন ধরে সে এখানে এই ফ্ল্যাটবাড়ির এক ঘরের দেয়াল রং করছে। আজ কাজ শেষ করে সে সব কিছু গুছিয়ে রেখে…

Read More

বাস্তব কিংবা অবাস্তব – অঞ্জলি দে
বাস্তব কিংবা অবাস্তব – অঞ্জলি দে

বাস্তব কিংবা অবাস্তব   (অনুগল্প) অঞ্জলি দে রোজ সকালে সকলের গেটের কলিং বেল টিপে ছেলেটা ঘুম থেকে ওঠায়। ঘাস, পাতা, ফুল ও মালা দিয়ে যায়। রাস্তায় ও গাইতে গাইতে গাইতে যায়, “জয় মাতা দি! জয় মাতা দি! জয় মাতা দি! …..”। যারা ও আসার আগেই ভোরে উঠে সংসারের কাজ করে, তারা ওকে অনেকসময় ডেকে বসিয়ে আবার চাও খাওয়ায়। শুধু যে ও ফুলওলা তা কিন্তু নয়। ফুল দেওয়া হয়ে গেলে ও আবার পাড়ায় ঘুরে ঘুরে ঘুরে গাড়ি পরিষ্কার করে। সকাল থেকেই…

Read More

টোকা – ব্রতীন বসু
টোকা – ব্রতীন বসু

টোকা       (অনুগল্প) ব্রতীন বসু বলতে পারেন, একটা দরজায় সারা জীবনে ক’টা টোকা পড়ে ? ক’টা খোলে আর বন্ধ থাকে ক’টা? এটা বলা মুশকিল, নির্ভর করছে কার দরজা এটা প্রয়োজন কার যে টোকা দিচ্ছে না যে ভেতরে আছে। আচ্ছা ধরুন, কেউ টোকা দিয়ে বলল, আমি আপনাকে খুন করতে চাই, দরজাটা খুলবেন প্লিজ, কেউ কি খুলবে? নিশ্চয়, যদি সে আত্মহত্যা করবে মনস্থ করে থাকে কিন্তু বিষ বা দড়ি কোনোটাই হাতের কাছে না থাকে। আর যদি আমি বলি, আপনাকে এক…

Read More

বসন্তসময় – সুদীপ ঘোষাল
বসন্তসময় – সুদীপ ঘোষাল

বসন্তসময়         (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল চণ্ডীদাসের মত ছিপ ফেলে বিপিন মাছ ধরা দেখছে ফাতনার কথা ভুলে। বাউরিবৌ গুগলি আর ঝিনুক ধরছে জলের তলা থেকে। তার সুডৌল স্তন ঝুঁকে পরেছে জল ছুঁয়ে। জল কখনও সখনও রসে ডুবিয়ে দিচ্ছে যুবতি হৃদয়। বিপিন দেখছে ভিজে নিতম্ব ফুটে উঠেছে খাজুরাহের ছবির মত। বিপিন ভাবছে ঝিনুক, গুগলির জীবন — বাউরিবৌকে স্বামী সোহাগী করে তুলেছে কোমল দেহসৌষ্ঠবের মাধ্যমে। পুকুরের পাড়ে গাছ গাছালির স্নেহচ্ছায়া। এই দুপুর হয়ে উঠেছে বসন্তমায়া। কোন এক অদৃশ্য মায়ায় বৌ…

Read More

ফারাক – সদানন্দ সিংহ
ফারাক – সদানন্দ সিংহ

ফারাক   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ রাগিনী চারিদিকে ভগবানকে খুঁজে পায়। কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর। রাগিনীর স্বামী অরিন্দম আবার তর্কে সবসময় এগিয়ে, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। মাঝে মাঝে রাগিনীর সঙ্গে অরিন্দমের বেশ জোরালো তর্ক হয়। বলাই বাহুল্য, সে তর্কযুদ্ধে রাগিনী সবসময় হেরে যায়। রাগিনী একসময় রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায়, কিন্তু রাগে গোঁ গোঁ করে যায়। অগত্যা তখন অরিন্দমকেই কাছে গিয়ে নানা কায়দা করে রাগিনীর মান ভাঙাতে হয়। সারাবছর ঘরে একটা পূজাপাল্লি কিংবা ঘরের বাইরের কোনো মঠে দানধর্ম লেগেই থাকে…

Read More

সস্তা – সুদীপ ঘোষাল
সস্তা – সুদীপ ঘোষাল

সস্তা          (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল সরল দে একজন সরল মানুষ। সে সস্তায় জীবন ধারণ করার জন্য ফুটপাতের সস্তা পোশাক ব্যবহার করে। বাড়িতে এসে জামা পরতে গিয়ে দেখে সাইজে অনেক বড় হয়ে গেছে। আবার সস্তায় দর্জির দোকানে সেলাই করে ঠিক করে জামা। আবার জামা কাচাকাচি করার পরে ছোটো হয়ে যায়। সরল সস্তায় খাবার খোঁজে। মুরগীর রোগ হলে সস্তায় কিনে খায়। সস্তার শরীর সরলের, জোর কিন্তু বাড়ে। জমিতে ফসল ফলায়। খোলা আকাশের নিচে আনন্দে থাকে। সস্তায় তার জীবন…

Read More

সতীদাহ – ব্রতীন বসু
সতীদাহ – ব্রতীন বসু

সতীদাহ     (অনুগল্প) ব্রতীন বসু রনু, যেদিন তুই চলে গেলি রুনু লরির তলায়, তোর কলিগ জিয়ার সাথে হোটেলে রাত কাটিয়ে সতীসাধ্বী স্বামীর মত বাড়ি ফেরার সময়, সেদিন ভোরে আমি গ্যাস জ্বেলে দিয়েছিলাম। মরিনি। জ্যাকি আমাকে টেনে টেনে নিয়ে এসেছিল। দিয়ে সামনের ফ্ল্যাটের কাকিমাদের ঘেউ ঘেউ করে ঘুম থেকে তুলেছিল। মনে আছে তুই রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছিলি ওকে। আমি বলেছিলাম নেড়িকুত্তা রাখবি? তুই বললি, নাহলে যে গাড়ি চাপা পড়ে মরে যাবে। আমি মরিনি, কিন্তু গায়ে পোড়া দাগ রয়ে গেছে। মাঝে…

Read More

পরি – সদানন্দ সিংহ
পরি – সদানন্দ সিংহ

পরি          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দশ মাসে বছর হয় না। কিন্তু ছোট্টুবাবুর হয়ে যায়। ছোট্টুবাবুর অনেক কিছুই হয়ে যায়। দিনটাকে কখনো রাত কিংবা রাতকে কখনো দিন। চালচুলোহীন মানুষ সে, একা এক কুটিরে বসবাস করে। কোনো এক কালে ওর পূর্বপুরুষরা নাকি জমিদার ছিল। এখন সে কোনোদিন খায়, কোনোদিন খায় না। গভীর রাতের জ্যোৎস্না রাতে সে নাকি পরিও দেখে। শনিতলার বিশাল বট গাছের ঝুরি বেয়ে নাকি পরিরা নামে গভীর রাতে। ছোট্টুবাবু তক্কে তক্কে থাকে এক অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে,…

Read More

শনির দশা – সদানন্দ সিংহ
শনির দশা – সদানন্দ সিংহ

শনির দশা      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ সাতসকালেই মোবাইল বেজে উঠল। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম, এক বন্ধু ফোন করেছে। বললাম, হ্যালো। ফোনের অপরপ্রান্ত বন্ধুর বিষণ্ণ গলা ভেসে এলো, ভাই আমার এখন শনির দশা চলছে। বললাম, তা শনিতলায় একটা নমো দিয়ে এসো। সব ঠিক হয়ে যাবে। বন্ধুটি বললো, না ভাই, এতো সহজে শনির দশা যায় না। এর জন্যে অনেক কিছুই করতে হয়। আচ্ছা, তুমি হরজিতের ঠিকানা, নাম্বার কিছু জান? হরজিৎ আমাদেরই কবিবন্ধু। একসময় সে নাকি এক ছোট্ট দোকান খুলে সেখানে…

Read More

দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ
দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ

দৃষ্টিবিভ্রম    (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দৃষ্টিবিভ্রম চতুরতাকেও ছাড়িয়ে যায়। হয়তো এভাবেই একটা মিথ তৈরি হয়। সে মিথের নির্যাসটুকু সত্যি কিনা মিথ্যা তার বাছবিচার করেনি। ধ্বনিলাল তাই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে প্রায়ই এক যুদ্ধক্ষেত্রের। সে বন্দুক হাতে একা এক যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দুকটা কীসের তৈরি তার কাছে অস্পষ্ট। সেটা কী দো নলা নাকি এ কে ফোরটি সেভেন কিংবা লাইট মেসিনগান সেসব উহ্য থাকে। তবু তার কাছে এসব স্বপ্ন ভালোই লাগে। এবার কিন্তু ধ্বনিলাল অন্যরকম একটা স্বপ্ন দেখল। সে দেখল জনারণ্যে…

Read More