সদানন্দ সিংহের ছড়া
মিছামিছি সদানন্দ সিংহ আছাড় খেয়ে, পড়ে গিয়ে লোকটা বলে, বাবা রে।। পরের জান, পরের প্রাণ থুক্কু বলে, পালা রে।। আপনি বাঁচলেই, বাপের নাম আর যে সব, মিছে রে।। নজরদারি ব্যবসাদারি সব যে খতম হলো রে।। কানা মাছি ভোঁ ভোঁ তোমার দেখা আর নাই রে।।
মিছামিছি সদানন্দ সিংহ আছাড় খেয়ে, পড়ে গিয়ে লোকটা বলে, বাবা রে।। পরের জান, পরের প্রাণ থুক্কু বলে, পালা রে।। আপনি বাঁচলেই, বাপের নাম আর যে সব, মিছে রে।। নজরদারি ব্যবসাদারি সব যে খতম হলো রে।। কানা মাছি ভোঁ ভোঁ তোমার দেখা আর নাই রে।।
মন সদানন্দ সিংহ রুবি রায় বলে আমার কেউ ছিল না তবু মনে পড়ে রুবি রায়কে বারবার আমার হিমালয় বলে কিছু ছিল না তবু মনে হয় গোটা হিমালয়টাই আমার আমার কোনো গঙ্গাও ছিল না তবু গঙ্গাতেই হয় আমার অতিবাহিত জীবন এইভাবেই গোটা ভারতবর্ষ আমার স্বপ্ন হয়ে যায় রহস্য সদানন্দ সিংহ ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে এখন এক স্পন্দন চিত্রপটে আঁকা ছবি ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে। সুপার্ব প্রোজেক্ট, তাই স্বপ্নও একসময় বিকিয়ে যায় দীনদয়ালের ঘরে ঢোকে আজব আতরদান রাজ-রাজড়ার গল্প শানায় তামাশায়…
গোবর্ধনের ছবি (ছোটোদের গল্প) সদানন্দ সিংহ চার-পাঁচ দিন বাড়ি থেকে বের হয়নি। স্কুলেও যাইনি। আমার জ্বর হয়েছিল। গতকাল রাত থেকেই আমার আর জ্বর ছিল না। তাই বাড়ি থেকে বের হলাম। যেতে লাগলাম হিন্দি স্কুলের মাঠের দিকে। সেই খোলা মাঠ। মাঠের একদিকে একটা প্রাচীর আছে, বাকি দিকগুলি খোলা। হিন্দি স্কুল ছুটি হয়ে গেলে এবং ছাত্র-ছাত্রীরা সব চলে গেলে এই মাঠ আমাদের পাড়ার ছেলেদের দখলে থাকে। বেশ বড় মাঠ বলে মাঠের বিভিন্ন দিকে অনেক ধরনের খেলা করা যায়। একদিকে হাইজাম্প, লংজাম্প।…
অমিতাভের বন্ধু (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ গিন্নির শাকসবজির ফর্দ নিয়ে আমি বাজারের দিকে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। এই সময় সিকিউরিটি গার্ডের পোশাক পরা একজন বৃদ্ধলোক আমার সামনে এসে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, কি রে, আমাকে চিনতে পারছিস? আমি একটু ভাল করে লক্ষ্য করলাম। চিনতে পারলাম, শ্যামলদা। শ্যামলদা লোকটা প্রথমে খারাপ ছিল না। হয়তো গরীব ছিল। সিনেমা হলে টিকিট চেকারের কাজ করত। তখন আমাদের শহরের তিনটে বড় সিনেমা হল ছিল এবং শহরতলিতে ছোটো ছোটো বেশ কিছু সিনেমা হল…
খেলা খেলায় (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ কালিচরণ জানে, খেলা হবে। রবিরাই বলেছে। তবে এখন গ্রীষ্মকাল। এ বছর দুপুরে তীব্র গরম। তার ওপর রুজি-রোজগার নেই। বাতাস নেই। আকাশে মেঘ নেই। এখন বৃষ্টির আশাও তাই কেউই করে না। অন্তত এক টুকরো ঝড় এলেও যেন ভালো হত। কালিচরণ মুণ্ডা গাছের ছায়ায় বসে গরমে হাঁসফাঁস করে আর এসব ভাবে। বিকেলে তাপমাত্রা একটু কমে যায়। হয়তো তখন রবিরাই আসবে। কালিচরণকে জিজ্ঞেস করবে, “খবর কী” ? কালিচরণ হয়তো আগের…
কোটিপতি ভ্রমণ (প্রবন্ধ-নিবন্ধ) সদানন্দ সিংহ আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত লোকেরা দুমধারাক্কা অর্থাৎ অল্পসময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সারাজীবন। এর মধ্যে হয়তো কেউ কেউ কোটিপতি হয়েও যান বিভিন্ন ভাবে। তবে আইনিভাবে মধ্যবিত্তদের পক্ষে কোটিপতি হওয়া সাধারণত একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং তা সবার পক্ষেও সম্ভব নয়। তবে ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি ইচ্ছে করলে দুমধারাক্কা কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন এবং নিজেকে একজন কোটিপতি ভেবে বুক ফুলিয়ে ভ্রমণের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। সেইরকম একটি দেশ হল ভিয়েতনাম। খরচের দিক দিয়ে ভ্রমণ সাধারাণত তিন রকমের…
আনাড়ি সদানন্দ সিংহ ডালিম গাছেই ডালিম পোকা, পোকার খবর রাখি না। ভেজাল খেয়েই বেঁচে আছি, শরীর নিয়ে ভাবি না। গায়েব রেস্ত সমজদার, ট্রাঙ্কে ড্রয়ারে কাড়ি কাড়ি। মোর যে কিছু বলার নাই, মুই যে এক বাল আনাড়ি। ডাইনে বাঁয়ে সামলে চলি, অধিকার নিয়ে লড়ি কম। তিনিই দেখবেন আশা করি, দেখি না যে কোনোই ভ্রম। লাভক্ষতির দোহাই গেয়ে, মাঝে মাঝে ফেলি ছিপ। পাপপুণ্যের চোরাস্রোতে, দিশাহারা দিগ্বিদিগ।
জুয়াড়ি সদানন্দ সিংহ কোনো কিছু রসাতলে গেলে, ধরণীতলে যাওয়া সহজ হয় তখন বিম্ব থেকে প্রতিবিম্বে, কোষ থেকে প্রকোষ্ঠে আমি থেকে আমিত্বে, তুমি থেকে তুমিত্বে কিংবা আমি-তুমির এক বেড়াজালে সব নীতিহীনের এক অনৈতিক আড়ালে রসহীন হয়েও রসের খোঁজ ? কী বলবো একে ? জুয়াড়ির সংসার ? বা জুয়াড়ির কারবার ? মিনিয়েচার-১ সদানন্দ সিংহ ফুল আছে, কাঁটাও আছে, তা বলে কি – গোলাপকে ছুঁবো না ? চাঁদ আছে, কলঙ্কও আছে, তা বলে কি – চাঁদকে দেখবো না ? রাস্তা আছে, ফুটপাতও…
গোবর্ধনের মহাদেব (ছোটোদের গল্প) সদানন্দ সিংহ আমাদের পাড়ায় একটা হিন্দি হাইয়ার সেকেণ্ডারি স্কুল আছে। তবে আমি পড়ি বাংলা স্কুলে। আমার বাবা আমাকে এবং আমার ভাইকে আমাদের পাড়ায় এক বাংলা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রাইমারি স্কুলের পর আমি ভর্তি হয়েছিলাম আরেক বাংলা হাইয়ার সেকেণ্ডারি স্কুলে। সে স্কুলটা আমাদের পাড়া থেকে দুই কিলোমিটার দূরে। আমরা হেঁটেই সেই স্কুলে যেতাম। সময় পেলেই আমরা পাড়ার হিন্দি স্কুলের ইটের প্রাচীর বেয়ে ওপরে উঠে যেতাম এবং প্রাচীরের মাথায় বসে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের খেলা ছোটাছুটি…
আন্দামানের দিগলিপুর সদানন্দ সিংহ উত্তর আন্দামানের দিগলিপুর একটি অফবিট গন্তব্যস্থান। খুব কম পর্যটক এখানে যান। এই আকর্ষণীয় শহরটি উত্তর আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম শহর। হয়তো দূরত্বের কারণেই প্রায়শই বেশির ভাগ পর্যটক এখানে যান না। তবে সম্ভবত এই দূরত্বই দিগলিপুরকে এমন একটি ভিন্ন এবং দুঃসাহসিক জায়গা করে তুলেছে। আন্দামানের দিগলিপুর একটি বিশাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যামিউজমেন্ট পার্কের মতো, যা প্রকৃতি প্রেমিককে একটি ভিন্ন জগতে থাকার অনুভূতি দেয়। এখানে ট্র্যাকিং, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতার থেকে স্নরকেলিং এবং ডাইভিং পর্যন্ত সবকিছু উপভোগ করা যায়। এছাড়া আছে…