প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

ভবানী বিশ্বাসের কবিতা

চুপকথা ভবানী বিশ্বাস সকাল হলে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে আমাদের। বাবা চলে যান জমিনে। আমি উঠি, বাড়ির যাবতীয় কাজ সেরে দৌড় লাগাই ঘাম ঝরাতে। আমাদের একসাথে ভাত খাওয়া হয় না। একসাথে খেতে বসলে মা ধন্দে থাকেন। মাছের বড় টুকরোটা বাবার পাতে দিলে বাবা তাকায় মা’র দিকে। মা বোঝেন, তিনি মাছটা আমার থালায় দেন। আমিও বাবার মতো তাকানোর চেষ্টা করি। মা বলে— চুপ.. আমাদের একসাথে খেতে বসা হয় না। একসাথে বসে মনের কথা বলা হয় না। আমরা জড়িয়ে ধরে বলতে…

Read More

আশার আলো – ড: নিতাই ভট্টাচার্য্য

আশার আলো    (ছোটোগল্প) ড: নিতাই ভট্টাচার্য্য অটিজম। এই একটি শব্দই তছনছ করে দিলো নীলার জীবন। সে বছর দশেক আগের কথা। বুবু তখন আড়াই বছরের বাচ্ছা। হঠাৎ করেই নীলার সুখের সংসারের ছন্দপতন। একমাত্র সন্তানকে ঘিরে আবেশী স্বপ্নগুলি চুরমার হয়ে যায় এক মুহূর্তে। পায়ের নিচের পৃথিবী কেঁপে ওঠে সশব্দে। সে দিনের ছোট্ট বুবু পা রেখেছে স্কুলে। মাত্র কয়েক ঘন্টা সমবয়সীদের ভিড়ে থাকা। খেলার ছলে কিছু অভ্যাস তৈরির পাঠ নেওয়া। সাদা কাগজে রঙিন পেন্সিলের বাঁকা দাগ। সহস্র কথা। হাসির হিল্লোল। নিত্য…

Read More

ককরোচ – সমিত রায় চৌধুরী

ককরোচ সমিত রায় চৌধুরী “তোর দ্বারা পড়াশুনা আর হবে না। বড় হয়ে ভিক্ষা করে খেতে হবে তোর” এই ভাবে ভাস্বতী তার মেয়ে কেয়া’কে প্রচন্ড বকছে। দ্বিতীয় স্ট্যান্ডার্ড এ পড়া মেয়ে কেয়া স্কুলের পোশাকেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু হলেই তার দুই চোখ দিয়ে গঙ্গা যমুনা ধেয়ে আসবে। ভাস্বতী থামার নামই নিচ্ছে না। বকেই চলছে। শুধু আধুনিক মা-বাবা’র প্রিন্সপাল মেনে গায়ে হাত দিচ্ছে না। প্যারেন্টস-টিচার্স মিটিং সেরে বাড়ি ফিরেছে মাত্র তারা। “ককরোচ বানানটা কত বার তোকে শিখিয়ে দিলাম।…

Read More

ভালোবাসা কি বিনিময় – রণজিৎ রায়

ভালোবাসা কি বিনিময়    (অনুগল্প) রণজিৎ রায় ব্যস্ততাময় ব্যাঙ্কের শাখা। মৃন্ময় ও শ্রদ্ধা উভয়েই কর্মতৎপর কর্মী। সুযোগ পেলে হাসি-মজা বন্ধ নেই। দিনের শেষে ফিরে যাবার মুহূর্তে মৃন্ময় আলতো করে সোয়েটার গায়ে জড়িয়ে বলে, “আর দেরি করা ঠিক হবে না। গিন্নি অপেক্ষায় হয়তো ব্যাকুল। আমরা তো আর অন্যদের মতো কেবল টাকা রোজগারের ধান্দায় নেই।” শ্রদ্ধা মুহূর্তে কড়া জবাব দেয়, “আপনিই কেবল বউকে খুব বেশি ভালোবাসেন ! অন্য কেউ না ?” – আপনাদের ভালোবাসা তো রোজগারের সঙ্গে সম্পর্ক। আমরা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসি…

Read More

জন্ম মৃত্যু – ব্রতীন বসু

জন্ম মৃত্যু   (অনুগল্প) ব্রতীন বসু সেদিন কেঁচো ভূত মন খারাপ করে বসে ছিল আফিংপুরের মাঠে। তাই দেখে হাতিম ভূত বলে উঠল, কিরে বাংলার পাঁচের মত মুখ করে বসে আছিস কেন? ও বলতে ভুলেছি হাতিম মহিলা, কিন্তু পেত্নি বললে রেগে যায়। পেত্নি নাকি দেখতে খারাপ হয়। তাই হাতিম মহিলা ভূত, লেডি অ্যাক্টর যেমন, একট্রেস নয়। তা কেঁচো ভূতের দাবি ওর আজ জন্মদিন। ওর মা বাবা ওর মৃত্যুদিন পালন করছে, কাঁদছে মালা পরাচ্ছে, কিন্তু ভূত হয়ে তো ওর আজই জন্ম, তো…

Read More

নিশীথ অভিযান – সদানন্দ সিংহ

নিশীথ অভিযান     (ছোটদের গল্প) সদানন্দ সিংহ জগা চেঁচিয়ে বলছিল, প্রতিশোধ! প্রতিশোধ! আমাদের প্রতিশোধ নিতেই হবে। যেভাবেই হোক। আমরা কিছুতেই ছাড়বো না। জংলিটাকে বুঝিয়ে দিতে হবে, আমাদের সঙ্গে যা তা করলে বিপরীত ফল পাবে। হারু ঠাকুরের বাগানে আমরা গোল হয়ে বসে রয়েছি। আমরা মানে আমি, জগা, গোবরা, ফটকে আর সুদেব। জংলিমামাকে কী উপায়ে জব্দ করা যায় তাই নিয়ে আলোচনা করছিলাম। কয়েকদিন আগে এই হারু ঠাকুরের বাগানেই জংলিমামা গাড়ির নিচে পড়া একটা মরা ছাগলের মাংস জোগাড় করে আমাদের অজান্তে আমাদেরকে…

Read More

কিশলয় গুপ্তের কবিতা

ফকিরি বিশ্বাস কিশলয় গুপ্ত সকালে ঘুম ভাঙলে পদবী ধুয়ে জল খাই এ আমার উত্তরাধিকার রক্তের সংস্কার তোমার মুসলমানি – আমার হিন্দুত্ব কাগজে কলমে নাচে এবং বকলমে তারপর সারাদিন অমুকের ছেলে, তমুকের বাচ্চা ঘুমিয়ে কাটায় মায়ের গর্ভে হিমোগ্লোবিনে ডুবে থাকে ভ্যাম্পায়ার ইচ্ছে আর অকারণ চিৎকার – রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা মানুষের পৃথিবীতে পদবী ধোয়া জলে বাঁচা এই আমাকে পুড়িয়ে দাও মানবতার আগুনে আমার ফকিরি বিশ্বাস একবার বলুক মানুষ খুঁজি – মানুষ কোথায় – মানুষ চাই…

Read More

বস্‌ কিংবা বসিজম – সদানন্দ সিংহ

বস্‌ কিংবা বসিজম সদানন্দ সিংহ বস্‌ কিংবা বসিজম – এই দুটো শব্দের প্রতি পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষেরই একটা মোহ আছে। কারণ ব্যাপারটার মূল লক্ষ্য হচ্ছে “দাবানো”। সেই বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে আপনি যদি একজন হোন তাহলে আপনার মূল উদ্দেশ্য হবে কারুর দাবিয়ে রাখা থেকে মুক্তি পাওয়া এবং একই সাথে আপনার উদ্দেশ্য থাকবে কাউকে দাবিয়ে দেওয়া। এই দু’টি শব্দকে যদি সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহার না করে ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করা যায় তাহলে দেখা যাবে এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ-পশু-কীটপতঙ্গ সবাই কোনো না…

Read More

সন্তোষ রায়ের কবিতা

আদিমতা সন্তোষ রায় তখন কথা ছিল ইশারাতে— বনে বনে ঘুরে ঘুরে সারাদিন শিকার, তারপর শ্রমে ঘামে আদিম সহবাস। তখন কথা ছিল আকারে ইঙ্গিতে। ভালবাসার ভাষা ছিল না । ছিল না আগুন, গান। অরণ্য জুড়ে নারী আর মাংস, মাংস আর নারীর ঘ্রাণ। এখনো ইশারায় কথা হয়। আকারে ইঙ্গিতে বিনিময়! এখনো পুরুষ বেড়াল চেপে মারে নারী বেড়ালকে। শুধু পোষাকের আড়া‌লে চলে গেছে নগ্নতা। এখানকার অট্টালিকা যেন তখনকার পর্বত চূড়া, মানুষ চলমান গাছপালা, আর যত বিশ্বাস সব পাথর। আগুন আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।…

Read More

কটন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

কটন ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য “কটন হবে?” প্রশ্নটা কানে এলো। মেজর ফ্র্যাকচার, অপারেশন থিয়েটার থেকে কেবিনে দিয়ে গেছে আমাকে। শুয়ে আছি বেডে। যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচাতে ওষুধ দিয়েছে। শরীরের সমস্ত স্নায়ু নিস্তেজ প্রায়। তদ্রাচ্ছন্ন দৃষ্টি কেবিনের সিলিংয়ে হেঁটে চলেছে, অনাগত দিনের দুর্ভাবনা তার সঙ্গী। শুনলাম, “কটন হবে?” আমি ছাড়া কেবিনে আর কেউ ছিলো না। স্ট্রেচার থেকে ডান পাশের বেডটা দেখেছিলাম, খালি ছিল। প্রশ্নটা সেদিক থেকেই এসেছে। হতে পারে সে সময় টয়লেট বা অন্য কোথাও গিয়েছিল রোগী। এখন ফিরে এসেছে বেডে।…

Read More