প্রিয় পাঠক

# এটা JULY-AUG 2025 সংখ্যা # পরবর্তী SEPT-OCT 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে SEPT মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী SEPT-OCT 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে SEPT মাসের ২০ তারিখ ।

অদ্ভুত প্রশ্ন অদ্ভুত উত্তর – ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র
অদ্ভুত প্রশ্ন অদ্ভুত উত্তর – ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র

অদ্ভুত প্রশ্ন অদ্ভুত উত্তর ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র একজন সাংবাদিক আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনি কে? আমিঃ কি অবস্থায়? সাংবাদিকঃ মর্যাদা অনুযায়ী ? আমিঃ হ্যা আমি. শৈশবে শৈশব। যৌবনে বয়ঃসন্ধি। বৃদ্ধ বয়সে বার্ধক্য এবং অবশেষে ব্যাগ ও বিছানায় মুড়িয়ে চলে যাওয়ার অবস্থা। সাংবাদিক বিরক্তঃ কে মানে আপনি কোন বর্ণের? এই মতে আপনি নিশ্চয়ই কোন না কোন বর্ণের? আমিঃ যখন কেউ থাকে না, তখন আমি একা। আমি যখন আমার প্রেয়সীর সাথে থাকি তখন আমি প্রেমিক। আমি যখন বিবাহিত তখন আমি লৌকিক…

Read More

Posted in মুক্তগদ্য Comments Off on অদ্ভুত প্রশ্ন অদ্ভুত উত্তর – ডঃ সুরেশ কুমার মিশ্র
বিড়ালছানা – সন্তোষ উৎসুক
বিড়ালছানা – সন্তোষ উৎসুক

বিড়ালছানা        (ছোটোদের গল্প) সন্তোষ উৎসুক একদিন সকালে আন্নু তার বাড়ির ছাদে হাঁটছিল। গতকাল রাতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এখন আবহাওয়া পরিষ্কার ছিল এবং সূর্য বেরিয়েছিল। হঠাৎ তার চোখ পড়ল ছাদের কোণে পড়ে থাকা শিশু পশুটির দিকে। শিশুটি নড়ছিল না। সে ভেবেছিল, বানরটি হয়তো মৃত শিশুটিকে সেখানে ফেলে দিয়েছে। সে ডাকতে লাগলো, আম্মু আম্মু, দেখ ওখানে কোনো পশুর বাচ্চা পড়ে আছে। মা নিচে রান্নাঘরে সবজি রান্না করছিলেন, তিনি উঠে এসে দুজনেই বারান্দার কোণে চলে গেলেন। একটি ছোট বিড়ালছানা…

Read More

তনিমা হাজরার কবিতা
তনিমা হাজরার কবিতা

যেসব কবিতায় লাইক কমেন্ট কম তনিমা হাজরা প্যালা দিয়ে পালা বেঁধে বেঁচে থাকা শেষ, এবার নিজের মতন নিঃশব্দে নিঃশ্বাস নেবার সময়। যা কিছু অতিরিক্ত, মেকি, যা কিছু বলদের মতো জোয়াল যাতনা, সব ছেড়ে ধাপ কেটে সহজ জুমচাষ।। একরত্তি ঘর, একখণ্ড লাজুক কাপড়, একফালি অখণ্ড পরিসর, একহারী ক্ষুন্নিবারণ, একাকী একার মতন ছন্দে নিভৃত যাপন, না অযাচিত প্রশ্ন, না অবান্তর উত্তর , এ বানপ্রস্থে, “অনধিকার প্রবেশ দণ্ডনীয় অপরাধ “।।

Read More

লালাবাড়ির বোবাকান্না – সুদীপ ঘোষাল
লালাবাড়ির বোবাকান্না – সুদীপ ঘোষাল

লালাবাড়ির বোবাকান্না  (ছোটদের গল্প) সুদীপ ঘোষাল গোয়েন্দা সুমন ও সহকারী তোতন এবার পশ্চিমে পাড়ি দিলেন। সুমনদা তোতনকে বলেন, বেড়াতে যাওয়ার আগে পড়তে হয়, জানতে হয় অঞ্চলটির সম্বন্ধে কিছু কথা। তিনি বলতে থাকেন, “ছোটনাগপুর মালভূমি ভারতীয় উপদ্বীপীয় মালভূমির অন্তর্গত। প্রায় সমগ্র ঝাড়খণ্ড রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার অংশবিশেষ নিয়ে এই মালভূমি গঠিত। কর্কটক্রান্তি রেখা ছোটনাগপুর মালভূমির প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। এই ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলে ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু, নদনদী, কৃষিকাজ, খনিজ সম্পদ প্রভৃতি বিভিন্ন দিক দিয়ে নানা রূপ বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়।…

Read More

স্বামী বিবেকানন্দ এক দার্শনিক ও সন্ন্যাসীর মেলবন্ধন – সুদীপ ঘোষাল
স্বামী বিবেকানন্দ এক দার্শনিক ও সন্ন্যাসীর মেলবন্ধন – সুদীপ ঘোষাল

স্বামী বিবেকানন্দ এক দার্শনিক ও সন্ন্যাসীর মেলবন্ধন সুদীপ ঘোষাল প্রথম পর্ব নরেন বা বিলে, উত্তর কলকাতার এক দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দত্ত-পরিবারের আদি নিবাস ছিল অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত দত্ত-ডেরিয়াটোনা বা দত্ত-ডেরেটোনা গ্রাম। দত্তরা উক্ত গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। গবেষকরা অনুমান করেন যে তারাই ছিলেন ওই গ্রামের জমিদার। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দত্ত-পরিবারের সদস্য রামনিধি দত্ত তার পুত্র রামজীবন দত্ত ও পৌত্র রামসুন্দর দত্তকে নিয়ে গ্রামে আসেন। ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হলে উক্ত…

Read More

প্রেমিক পানকৌড়ি ও এক মনোরম সন্ধ্যা – সুদীপ ঘোষাল
প্রেমিক পানকৌড়ি ও এক মনোরম সন্ধ্যা – সুদীপ ঘোষাল

প্রেমিক পানকৌড়ি ও এক মনোরম সন্ধ্যা (ছোটোগল্প) সুদীপ ঘোষাল লাথি মেরে মুড়ির বাটি ফেলে দিয়েছিলেন কাকা। রাগে তার মাথার ঠিক ছিলো না। মিনুর মনে স্মৃতিগুলো উঁকি মারে। ঠিক পুরোনো আয়নার মত। সামনে বসে আছে মন। মন তার ছেলেবেলার বন্ধু। মন অবাক হয়ে শোনে মিনুর মাটির বেহালার সুর। — প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। পরে বুঝলাম আমারই ভুল। মন, মন দিয়ে শোনে। কোনো মন্তব্য করে না। — তারপর কত বসন্ত এলো গেলো। লঙ্কারাজ্যের সিংহাসনে যে বসে তার একই রূপ। শুধু রং পরিবর্তনের…

Read More

রূপালী মুখার্জির কবিতা
রূপালী মুখার্জির কবিতা

ফেরা হয়নি আর সেভাবে রূপালী মুখার্জি সে ভাবে আর বাড়ি ফেরা হয়নি কখনও যেভাবে ফিরতাম সে এক ছোটোবেলায় বাবার হাত ধরে, কিংবা ভিজে বাদলকে মাথায় নিয়ে বই খাতা আর এক্কাদোক্কা কে ব্যাগের ভিতর পুরে ঝড় আসলে হারিয়ে যেতাম হলুদ সর্ষে বনে, বিকেলের খেলার মাঠে চু কিত কিত ডাক দিত তারস্বরে, একরাশ চোরকাঁটা ফ্রকের আনাচে কানাচে, অঙ্কের খাতায় ভয় লুকিয়ে মুখ ডুবিয়ে, নীল মেঘে কে যেন মা আঁকতো পা ছড়িয়ে, বটতলার চণ্ডীমণ্ডপে তখন সুয্যিমামার বাড়ি ফেরার তাড়া, দু পাশে পথের…

Read More

সেতু – দেবাশ্রিতা চৌধুরী
সেতু – দেবাশ্রিতা চৌধুরী

সেতু       (ছোটোগল্প) দেবাশ্রিতা চৌধুরী ছোট্টবেলায় মেয়ে বললো — মা তুমি কবে মরে যাবে! মরো না কেন? অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন রে? আমি মরে গেলে তোর কী লাভ! উত্তর এলো — তোমার আলমারিতে কী আছে দেখবো। হাসতে হাসতে আমার চোখে জল এল। নে, চাবি দিয়ে খুলে দেখ। অপার আগ্রহে আলমারি খুলে পাঁচ মিনিটের মাথায় ঠোঁট বেঁকিয়ে চাবি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কাঁদতে বসলো। কি রে কী হলো! বললো — এই ক’টা শাড়ি, চুড়ি! আমি ভাবলাম কী জানি আছে!…

Read More

শ্যামসুন্দরের দুটি ফোন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
শ্যামসুন্দরের দুটি ফোন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

শ্যামসুন্দরের দুটি ফোন  (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য — তার মানে আপনি রোগী আর রোগীর বাড়ির লোকের মুস্কিল আসান। দু হাতের দুটো ফোন নাচাতে নাচাতে শ্যামসুন্দর বলে, সে আপনে বুলতে পারেন দাদা। কতাটা খানিকটা ঠিকই। আমার সঙ্গে এলে পেসেনট পাটির কুনো চিন্তা নাই। সব দায় আমার। আপনে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢেলে দিয়ে নিচচিন্তে বসে থাকুন। থোক টাকাও হাতে দিতে পারেন। সে আপনের ইচ্চে। রোগী আপনের বাড়ি থেকে তুলবো আবার ঠিক সময়ে ফিরিয়ে দেবো। সমস্ত খরচের খাঁটি হিসেব পেয়ে যাবেন। দুনম্বরীর…

Read More

আবদুল হকের কবিতা
আবদুল হকের কবিতা

দ্রোহ আবদুল হক অনবরত ছুটতে থাকা দ্রোহের নামতা পড়া রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ে চেতনা। অহর্নিশ রাত্রি জাগা ভোর সভ্যতার শেষ পারদ ভুলে চেপে ধরে কণ্ঠনালী। ওখানে শকুনের দল অপেক্ষায় বিরাট ভোজসভার। চেতনার উনুনে জ্বলতে থাকে মানবতার দেহাবশেষ। শুদ্ধ প্রেম আজ পরিণত পাশবিকতা আর পাপাচারের ঘনঘটায়। অবিরল অভিসম্পাত করতে থাকা আত্মা চিৎকার করে ওঠে শেষ বিদায়ের। আপশোশ নরকের দরজাগুলো সব হাট করে খুলে রাখা । দিবাস্বপ্ন আবদুল হক দূর পৃথিবীর কোন এক অন্ধকারে আমাদের মানবিক প্রেম হোঁচট খায় সময়ের আস্তাকুড়ে।…

Read More