উঠলে না তুমি
কাল তোমার সকাল হবে যখন দেখবে ফুলের টবে বৃষ্টি ফোঁটায়
কত রোদ বিদ্ধ হয়েছে, এমনি আর মেঘ করে নেই আকাশের কাছে
তখন জানলা দিয়ে দেখো স্বপ্ন আসবে, উড়ো হাওয়ার মত, তোমার গালে
এমন করছ আড়াল আমায়, যে আমিও চলে যাচ্ছি আড়ালে,
এখানে নদী হয় জীবনের আগে, এখানে বাষ্প কাঁদলে শব্দ পায় ঝড়
কত ঘর ভাঙল, তবু তুমি জুড়ে দিতে চেয়ে তাকিয়ে থাকলে এই
অবহেলা কেন সহ্য করে শরীর, এই অবহেলা কেন সহ্য করে হাত?
কাল তোমার যখন সকাল হবে, দেখবে আমি ঘুমিয়ে আছি...হয়ত
তখনই আমার রাত।
শান্তি থেকে শান্তিপুরে
পুড়ে যাওয়ার কত পরে, উঠে কেউ সোজা হয়ে বসে নিজের মন কে ধাক্কা দিয়ে বোঝায়, এখানে শান্তি নামক একটিই বস্তু আছে যে ঝড়ের রাতে, ভূমিকম্পের সকালে, গ্লাস ভরতি হৈ-হৈয়ের আড়ালে নিজেকে শান্ত করে শুইয়ে রাখে তোমার মনের ভিতর।
তুমি তাকে জাগাতে পারলে, আকাশে পায়রা উড়ে যাবে, তুমি তাকে জাগাতে পারলে নদীর পারে এসে একজন বসে বসে বাঁশি বাজাবে পাখির সুরে, আর কেউ এসে বলবে না তাকে, শান্তি কি জানো ? জানো শান্তি কি ? শান্তি আসলে
একটা ঘুমন্ত প্রজাপতি যার রঙ ক্ষয়ে যাওয়ার ভয় ছিল না কোনদিন, শুধু কেউ এসে গায়ে হাত বুলালে, চোখটা বন্ধ করে সে বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনতে ভুলে যায়...
প্রদীপ ভাসানো ঘুমন্ত নদীর আশেপাশে
কান্নার গাছ থেকে কান্নার ফল পড়লে, নড়ে ওঠে পাতা
যা বৃথা আছে এই ঘরের পরে, যা বৃথা ছিল না,
অযথা
জঙ্গলের কোকিল কাঁদলে ভোর হতে কেটে কেটে শিরা
ফিরেছি আমিও এই কুয়াশা বাষ্পে, ফিরেছে আমাদেরও
পড়শিরা,
সবাই ঘুমের নদীতে শান্ত স্রোতের স্বপ্নে, ডুবিয়েছিল ঘটি
তার চোখ ছড়িয়ে পড়লে, আলো হয়ে বত্রিশ হাজারকোটি
প্রদীপ জলে ভেসে ভেসে বুঝাল রাত্রিকে আমরা জ্বলে থাকতে
পারি, জলের উপর,
আর যেকোন অসুবিধা হলে জলছায়াকে বলি
ফিরিয়ে দিতে তৃপ্তি...
যখন আগুন পড়ে কান্নার গাছ পুড়ে যায়, তখন শুধু তো ছাই হয় না,
হয় না
পোড়া হলুদপাতাদের
নিমেষের কোন দীপ্তি...
এই লেখাটা শেয়ার করুন