ক্ষুর
কত অসম্ভব ক্ষুর মানুষের হাতে
যে যখন পারে চালিয়ে দেয়
কেটে যায় ভালোবাসা সম্পর্ক ইতিহাস
এক একটি বিচ্ছিন্ন জাহাজ দূরের কুয়াশায়
হারিয়ে যেতে থাকে অথবা শূন্যের গহ্বরে প্রবেশ করে
কল্পনার সমুদ্রে নীলমাছ লাফায়, অসম্ভব বিজ্ঞ নীলমাছ
গভীর স্রোতের সংকেত দিতে দিতে হারিয়ে যায়
বেদনার খইয়ের মতো মেঘ আশ্বাসের নক্ষত্রদের ঢেকে নেয়
একফালি সরু আলোও এপথে পড়ে না
অথচ ক্লান্তিহীন হরিণের মুখ প্রজন্ম প্রজন্ম ধরে ঘাস খায়
এই মাঠে
সোনালি দিনের শেষে জাবর কাটে
বিশ্রামে ঘুমিয়ে নেয়
বিচিত্র নকশা আঁকা শরীরে তার উচ্ছল ঢেউয়ের আভাস
সন্ধ্যার মন্ত্র শেষ হলে আবার নিজের মুখ দেখি
ইচ্ছেরা সুবর্ণা বালিকার মতো কাছে এসে দাঁড়ায়
অসম্ভব ক্ষুর হাতে এগিয়ে আসে ঘোর আততায়ী
প্রসন্নতা কেটে কেটে চাপ চাপ রক্তে ভাসায় জাগরণ
দম্পতি
একটা কোনো অচেনা প্রান্তর
সেইখানে একটা ছোট্ট চায়ের দোকানে
কাঠের বেঞ্চে বসে চা খাচ্ছি
অদূরে সমুদ্র তীরে ঘোড়া চরছে
আর ঘুড়ীটিও আছে আধো সন্ধ্যা মাখা
একটি মসৃণ নারী চায়ের দোকান চালায়
পুরুষ গ্রহটি তার অন্য গ্রহের দিকে গেছে
আমরা সচকিত : আমি ও বাতাস
আর আমার উন্মুখ ধারণাগুলি
যখন কিছুই বলার নেই
কোথাও যাবার নেই
তখনই মনে মনে চলে যাই নারীটির কাছে
চা খাই সারারাত, জেগে থাকি, কবিতা লিখি
অনুভূতির খাতায়
বিকল্প সোনার চাঁদ, নাকছাবি খুলে দেয়
শব্দের প্রতিমার গায়ে চুমু খেয়ে
ভাঙা সময়ের তীরে হাত নেড়ে ডাকে
অসম্ভব সেই ঘুড়ীটির মতো
আমি তার পাশে পাশে ঘোড়া হয়ে ছুটি
কালের ঔরসে যেন বিয়ানো দুটি বিরল দম্পতি
এই লেখাটা শেয়ার করুন