দেদীপ্যমান কবিদের নিরুত্তেজিত ঊষাপান
ভেষজ-কবিরাই বেশি চটকায় বাতাবি নেবুর ধনুকপিঠ, অপরিণত হাতের আঙুল
ধারণ করেছে ভাগ্যরত্ন, ফেরৎ-খামে উড়ে আসছে চতুরভাঁজে লন্ড্রি-কবিতা, একটি
নক্ষত্রবীজ শব্দ হয়তো এসেছে বেড়াতে, পঙ্গুকবির অর্থনৈতিক কলহের
শব্দরূপ তার একার পক্ষে সম্ভব ছিলো না, পকেট শূন্য প্রণয়শূন্য
বায়ুতাড়িত একজন জাতকবি তখনো অনন্ত খুঁজে চলেছে পাষাণের ক্ষুধা,
কী কারণ শরণার্থী ধাতুরূপে, বিকলাঙ্গ নিঃস্ব কবির অজস্র ছিদ্রপথে লক্ষ
রাখা, কী এমন জৈবিকলীলা শুধু পাগলের ‘পেয়ে গেছি’ সাধনা ছাড়া।
তৃণভোজী গোরুকে আমাদের যথাশক্তি সোহাগে সযত্নে ক’রে তুলি দরিদ্র ভগবানের
দুগ্ধবতীরূপ, রুখুস্তনে ঠোঁট নিমজ্জিত রেখেও ভিখিরি মাকে বলেছি পাপীয়সী,
পীড়িতকে উচ্ছেদ ক’রে লাগিয়েছি বকুল ফুলের মামলানাচ, ওহোঃ চৈচৈ
কবিদের পশুহাসপাতালে দেখেছি প্রচুর জার্সি গাই, জাজ্বল্যমানের অনুভূতি কিনেছি
সস্তাদরে, নিরামিষ খেকোদের কাপড় কাচে দেখি আমিষাশী পুরুষোত্তমের বউ
প্রশংসার ক্ষুরে গলা কেটে নিয়েছি অনুজপ্রতিম কবিসত্তাটির, শীতকালীন কবিসম্মেলন
কবে আসছে কবে আসছে ভেবে কবিকে দিয়েই লাগিয়েছি সম্পাদকীয়যুদ্ধ – গুড়ের
কারবারির হাত উঠে আসছে পুরস্কার বিতরণে, আমাদের সৈনিক কবি দিবাকর
আজ এসেছে লেডিজচাদরে উজ্জ্বল প্রতিম --- বাঁধাকপির বর্তুল উদ্ঘাটনে খুলে পড়ছে
অপুষ্ট শাকান্ন কবিতা
কবিতার চেয়ে কবিদের হাসির দাম বেশি চিৎকার ছাড়া প্রমিলারা আজ
হৃদয়ের ভাঁজ খোলে না --- মাংশাশী বেতনে সর্বগ্রাসী জাম্বুবানেরাই এখন
গজযুদ্ধের কবিতা পড়ে পুরস্কৃত হয়,
এর পাশেই, অদূরে টায়ারে আগুন জ্বেলে হাত সেঁকে ক’জন আত্মভুখ রক্ত জাল দিচ্ছে,
ওরা জানে, ভালো ক’রেই জানে সকালে উঠেই নিজেদের গু সাফ করা ছাড়া পুরস্কার নেই
এই লেখাটা শেয়ার করুন