প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

পারিজাতের কুটির – সুদীপ ঘোষাল

পারিজাতের কুটির      (ছোটোগল্প) সুদীপ ঘোষাল সন্ধ্যার দিকে একটা  লোকাল ট্রেনে সুবোধ আর অপর্ণা রোজ  বাড়ি ফেরে। স্কুল এক না হলেও কাছাকাছি। স্টেশন থেকে দূরত্ব অনেকটা। তাই অর্পিতা একা আসতে সাহস পায় না। মোবাইলে জেনে নেয় সুবোধের খবরাখবর। তবে সুবোধ কাজ থাকলে আগেই জানিয়ে দেয়। আজ যথারীতি দুজনেই স্কুলে এসেছিলো। এখন ফেরার পালা। ট্রেন চলছে। ফাঁকা সিটগুলো মন খারাপের সুরে চলছে। লোকজন খুব কম। অর্পিতা বললো, কি রে আজকে লোকজন কম কেন?  কোনো পুজো পরব আছে না কি?…

Read More

সমাজবাবু – দেবাশ্রিতা চৌধুরী

সমাজবাবু      (ছোটোগল্প) দেবাশ্রিতা চৌধুরী “আন্ধার রাইতে আসমান জমিন ফারাক কইরা থোও বন্ধু কত ঘুমাইবা ডাইনে পোলা বাঁয়ে মাইয়া আকাল ফসল রোও বন্ধু কত ঘুমাইবা…”? ঠাকুমার মুখে এই গান শুনতে শুনতে বৃন্দার মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। অর্থ-টর্থ তেমন বোঝেনি। কেমন করেই বা বুঝবে! আকাল তো তার জীবনে লেগেই আছে। আকাল শব্দটি সে এভাবেই বোঝে অর্থাৎ অভাবের সঙ্গে সমার্থক হয়ে আছে। এত ব্যবচ্ছেদ করে বোঝার মত শিক্ষা তো পায়নি! রোজ রাতে তবুও এই কয়টি লাইন মনে পড়ে। ঘুম! তাও কী…

Read More

বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা

বুক পোড়া ঘ্রাণ বাপ্পা চক্রবর্তী পরের বাগান থেকে ফুল চুরি গেলে আমার ভেতরে যেন পোড়া গন্ধ পাই তার চুল খোলে হাঁটা জামা পরা মন গোপনে বেঁধেছে বাসা হয়তো গভীরে নয়তো এমন করে বুকে কেনো ঘ্রাণ আমার পরান যায় হাওয়ায় উড়ে দূরে দেখে তারে পিছু পিছু হেঁটে যাই কথা নাই চুপচাপ দেখি ভালোবেসে আমার বাগান আজ ফাঁকা পড়ে আছে নেই কেউ কাছে তবু ভালোবাসা আছে একা একা গেয়ে যাই বিরহের সুর তবুও তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারি না একটু দাঁড়ালে মন…

Read More

সিদ্ধার্থ নাথের কবিতা

যেভাবে দেখা হল সিদ্ধার্থ নাথ একটি দুপুরের সাথে দেখা ওখানে আমার যাবার কথা ছিল না মা মোরগের সাথে বাচ্চারা হাঁটি হাঁটি পা পা পাতা পড়ছে খসে শব্দ হচ্ছে না লুকলুকির ছায়ায় ক্লান্তিতে শুয়ে আছে সময় মায়ায় জড়ানো মুখ চোখের কোণে নদীর দুঃখ সুখ আমিও শুয়ে থাকি সমান্তরাল জড়িয়ে ধরি পিতার স্নেহে জলের ভাষায় লেখা অভিমানে ভিজে যাচ্ছে মাটির গাঁও-গেরাম দেখা সিদ্ধার্থ নাথ রোদ্দুর আর ওঠে না – দলছুট পথ হাঁটে পশ্চিম দিগন্তে কাব্যকথা কথা দিয়েছিল – একা হতে দেব…

Read More

দেবারতি দের কবিতা

ইস্তাহার দেবারতি দে প্রতি পূর্ণিমায় আমরা চাঁদকে পরিক্রমা করি অজান্তে নিজেদের ছায়া রেখে ফিরে আসি আর পৃথিবী থেকে চাঁদের গায়ে ঐ ছায়া দেখে আমরা আমাদের সংরক্ষিত আয়ু ভেবে যুদ্ধের ইস্তাহার লিখি। দেয়াল লিখন দেবারতি দে স্বচ্ছ দেয়াল লিখনে লেগে থাকে পিছলে পড়া রাতের স্বাস্থ্য নিঃসঙ্গের সঙ্গ যাপন বোঝাই করা কিছু অনায়াস দৃশ্য এমনই ইশারার আইন ভেঙে তুমিও হেঁটে যেতে পার প্রতারণাহীন কারু খচিত দিশাহীনদের পথে।

Read More

সন্তোষ রায়ের কবিতা

আদিমতা সন্তোষ রায় তখন কথা ছিল ইশারাতে— বনে বনে ঘুরে ঘুরে সারাদিন শিকার, তারপর শ্রমে ঘামে আদিম সহবাস। তখন কথা ছিল আকারে ইঙ্গিতে। ভালবাসার ভাষা ছিল না । ছিল না আগুন, গান। অরণ্য জুড়ে নারী আর মাংস, মাংস আর নারীর ঘ্রাণ। এখনো ইশারায় কথা হয়। আকারে ইঙ্গিতে বিনিময়! এখনো পুরুষ বেড়াল চেপে মারে নারী বেড়ালকে। শুধু পোষাকের আড়া‌লে চলে গেছে নগ্নতা। এখানকার অট্টালিকা যেন তখনকার পর্বত চূড়া, মানুষ চলমান গাছপালা, আর যত বিশ্বাস সব পাথর। আগুন আবিষ্কৃত হয়নি এখনো।…

Read More

সমর চক্রবর্তীর কবিতা

কুটুম সমর চক্রবর্তী তোমার কপালে রাজটিকা দেখে মনে হয় তুমি শিকারি গোত্রের। মিঠা হলে বা টক হলে সেই পথের কথা বলো – স্মৃতির কাছে আগামী প্রার্থী। আমার গোত্র কিন্তু সাদা-লাকড়া! সাদা লাকড়া মানে ‘সাদা বাঘ’। বদহজম ছাড়া যারা কখনো এই ঘাস খায় না।

Read More

ভবানী বিশ্বাসের কবিতা

চুপকথা ভবানী বিশ্বাস সকাল হলে পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে আমাদের। বাবা চলে যান জমিনে। আমি উঠি, বাড়ির যাবতীয় কাজ সেরে দৌড় লাগাই ঘাম ঝরাতে। আমাদের একসাথে ভাত খাওয়া হয় না। একসাথে খেতে বসলে মা ধন্দে থাকেন। মাছের বড় টুকরোটা বাবার পাতে দিলে বাবা তাকায় মা’র দিকে। মা বোঝেন, তিনি মাছটা আমার থালায় দেন। আমিও বাবার মতো তাকানোর চেষ্টা করি। মা বলে— চুপ.. আমাদের একসাথে খেতে বসা হয় না। একসাথে বসে মনের কথা বলা হয় না। আমরা জড়িয়ে ধরে বলতে…

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

বাড়ি নিয়ে অভিজিৎ চক্রবর্তী আমার নিজস্ব কোনো বাড়ি ছিল না নিজস্ব বাড়ি থাকলে শিকড় গজায় শিকড় গজালে টান– আমার কেবল তালা দিয়ে চলে যাওয়া যাদের শিকড় আছে তারা আসলে গাছ প্রতিটি পাড়ায় এমন অসংখ্য গাছ আমি জানি বড় বড় কালো কালো বহুকালের গাছ তারা শিকড় ছেড়ে সরে যেতে চায় পারে না তালা ঝুলিয়ে কেটে পড়তে চায় পারে না আমি কেটে পড়ি কেটে কেটে বহুদূর চলে যাই বহুদূর বলতে যেখানে তাদের কোনো চূড়াও দেখা যায় না শুধু এক আধবার কোনো…

Read More

সদানন্দ সিংহের কবিতা

প্রেমহীন সন্দানন্দ সিংহ জলপরির দেশে এক যুবক পথ হারাল অসীম বনের মেধা বলে আর কিছুই রইল না চলে গেল এক গোলকধাঁধা থেকে আরেক গোলকধাঁধায় সুপ্ত মাস, কাকতীর্থ – সব হিজিবিজি তবুও কৈশোরিক চপলতার শেষে বৃক্ষের মূল ধীরে ধীরে আরো গাঢ় হল।

Read More