প্রিয় পাঠক

# এটা MAY-JUNE 2025 সংখ্যা # পরবর্তী JULY-AUG 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে July মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JULY-AUG 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে July মাসের ২০ তারিখ ।

প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা
প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা

তরঙ্গ প্রভঞ্জন ঘোষ তরঙ্গে মিশিয়েছো ব্রহ্মাণ্ড আমরা অপোগণ্ড সে তরঙ্গে যোগ করি না বন্ধ করি লেনাদেনা ভরিয়ে সকল অসার কণা করছি লণ্ডভণ্ড! ঝিঁঝিঁর ক্ষুদ্র মুখের থেকে এক তরঙ্গ উঠে জলতরঙ্গে নদীর বুকে এক তরঙ্গ ছোটে। এক তরঙ্গ পাখির মুখে এক তরঙ্গ গাছের এক তরঙ্গ শ্বাপদকুলের এক তরঙ্গ মাছের এমনি সকল শব্দকণা নিত্য অবশেষে তোমার অপার ইথার কণায় নিখুঁতভাবে মেশে। আমরা সুবোধ সুর ধরি না সুচারুময় ঠিক মিশি না কণায় কণা যোগ করি না কেবল খণ্ড খণ্ড, আপ্ত সদাই ব্যাপ্ত…

Read More

বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা
বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা

আবাহন বিশ্বজিৎ দেব এসো তুমি, যন্ত্রণার অতৃপ্ত জহর মরে গেলে যেরকম সব কিছু মনে হয় প্রেমের শহর এসো মুগ্ধতা, আমাদের এই সব খুনোখুনি, না লিখতে পারার সারারাত যন্ত্রণা এসো প্রতিরূপ, ফিরে না আসার দিকে চলে যাওয়া প্রতিটি মুহূর্ত আবলুশ ২ বিশ্বজিৎ দেব ওহে দ্রবণিকা, এসো সিরিয়াল দেখি হাত থেকে পড়ে গিয়ে কাচের গেলাস খান খান কান্নাকাটি, বিহ্বলতা দেখি এখন কি ভরা জুলাইয়ের মাস! চলো আকাশপ্রতিভা দেখি, কাপালিকা গুরু গুরু যামিনীর পলাতকা দেখি আমাদের নয়নাভিরাম আবলুশ, এরকমই পচে যাবে আঁশ,…

Read More

সুদীপ্ত বিশ্বাসের কবিতা
সুদীপ্ত বিশ্বাসের কবিতা

মানুষ খোঁজা সুদীপ্ত বিশ্বাস মাঝেমাঝে খুব একা লাগলে আমি মানুষ খুঁজি গাছের মতো প্রিয় মানুষ অরণ্যের মতো গভীর মানুষ পাখির মতো প্রাণবন্ত মানুষ নদীর মতো দিলখোলা মানুষ পাহাড়ের মতো উদার মানুষ আকাশের মতো উন্মুক্ত মানুষ প্রকৃত মানুষ খুঁজে পেলে তাকে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করে আমার হৃদয়ের চোরা কুঠুরিতে আমার প্রতিটি আলোকিত কক্ষ, প্রতিটি সীমাহীন অন্ধকার তাকে দেখাতে ইচ্ছে করে তাকে পেয়ে খলবল করে কথা বলতে শুরু করে আমার গুমরে ওঠা দুঃখগুলো। দহন সুদীপ্ত বিশ্বাস ধুলোর ঝড় উঠেছে মরু-রাত্রিতে চাপচাপ…

Read More

কিশলয় গুপ্তের কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

জীবনযাপন খেলি কিশলয় গুপ্ত সুখটাকে সমর্পণ শব্দে রেখেছি হাতে হাতে।এইমত গুজরান টেনে আমিও একদিন অতীতের সঙ্গে মিশে যাব ভেবে হাসি। কার কাছে কত কষ্ট আছে নিয়ে আসা হোক। এই দেখো পেতেছি দুই হাত, হাতের উপর পাঁজর সর্বস্ব বুকে অনন্ত স্বপ্নের ঝড়;ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইহকাল পরকাল তারপর যবনিকা হাতে আসুক কেউ। এত যে হাহাকার ভরা “চাই, চাই” গান এত যে বেসুরো বাজা ভাঙা বেহালার প্রেম একমুঠো মাটি কিনতে পারে তেমন রাজা কই! কোটি লোকের ভিড়ে তেমন একটা মানুষ পেয়ে…

Read More

রণজিৎ রায়ের কবিতা
রণজিৎ রায়ের কবিতা

স্বপ্নের সিঁড়ি রণজিৎ রায় কবে আসবে তুমি ? তোমার আগমনের প্রত্যাশায় কপাট খোলা রেখে খোলা জানলায় পথ চেয়ে আছি বাতাসে বৃক্ষের পাতা কেঁপে উঠতেই হৃদয় খুলে প্রহর গুনি প্রহরের পর প্রহর অভিমান বরফের মতো জমে পাথরের মতো নিরেট হতে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছে পৃথিবীর আয়ু ফুরিয়ে আসছে তোমার আমার কী হবে অন্য একটি জগৎ বিজ্ঞান মানে না তুমি কি বিশ্বাস করো আমি বিজ্ঞান পড়েও দিব্যি মেনে নিই প্রত্যাশায় উড়বো ত্রিভুবন অনন্তকাল ধরে। শরীরের সান্নিধ্য কি সব সুখের উৎস মনে দুঃখ…

Read More

শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

দেবীর মুখ শুভেশ চৌধুরী দেবীর মুখ থেকে সত্য বেরুচ্ছে অসুর তাকে নিশ্চিহ্ন করতে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আসছে দেবী আমাদের গাঁয়ের মলিনা জানেন ঝাটা হাতে তিনি এই সব যুদ্ধের আবর্জনা দূর করতে পারেন অপূর্ব শুভেশ চৌধুরী অপূর্ব ক লিখলেও অপূর্ব। খ লিখলেও। অপূর্ব জানেন নামে মানুষে একই পরিণত হতে চাই সারাজীবন। রোজকার পরিশ্রম তার এই অপূর্ব হওয়ার

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

বৈঠাংবাড়ি অভিজিৎ চক্রবর্তী এবার গ্রীষ্মের ছুটিতে আমি বৈঠাং যাব অর্জুন ক্যাম্পের নিচে যে ঘন অরণ্য যেখান চলতে চলতে পাথর ফেটে পথ হয়েছে যেখানে সূর্য জাস্ট একটা কমলা ফল আর তার রসে মাখামাখি গোটা গ্রাম সেখানে কোনও রূপসীর স্তনের মায়ায় আমি কাটিয়ে দিতে চাই বাকিটা জীবন মাস্টার আমাকে পথ দেখাও নিঃসঙ্গতা আর ডিপ্রেশনকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে একা একা বাঁচার মন্ত্র শেখাও নাহলে তোমার গোষ্ঠীর লোককে বলো আরো একবার তারা পাগলামি করুক আমার ধড় কেটে মুণ্ডুখানা গেঁথে রাখুক জয়ের প্রতীক করে…

Read More

বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা
বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা

হাওয়া বাপ্পা চক্রবর্তী হাওয়া তোমার এত তুমুল চুম্বন কী করে আপন করি নিজের ভেতর। আমার শরীর ভরে জীবিত আগুন ছুঁয়ে দিলে রোমকূপে জাগে তর তর। এখনো রাতটা বাকি, দিনের আলোয় তোমার উপস্থিতির গাঁ ঘেঁষে চলছি। এ বেলা না হয়, অভিমান ছুঁড়ে দিলে তাপ সেঁকে সেঁকে সূর্য হতেই চাইছি। অপেক্ষার যাবতীয় কক্ষপথে ফুল, পাহাড়ি সন্ধ্যার ঘ্রাণে, ইতস্তত আমি। কাকে ডেকে বলি এই আকাশের কথা অক্ষর ফুরিয়ে গেলে কথা হবে দামি ।

Read More

শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

ভার্জিন শুভেশ চৌধুরী ফলটি ভার্জিন। ফল-এ একটি কামড় দিয়ে দিলেই ফলের ভার্জিনটি চলিয়া যাইবে। মানুষ খাবার খায়। কত ফল-ফসারীর ভার্জিনটি লোপ করে তার পরিমাণ করা যাবে না । আমি কৌমার্য রাখি নাই। আমি বাবা। আমার বিশ্বাস আমি স্নেহশীল। কৌমার্য রক্ষা না করায় আমার কোন পাপ হইবে না, কারা জানি বলছে রাত জাগা পাখি শুভেশ চৌধুরী না। পাখি রাত জাগে না। ঘুমের মধ্যে শুধু আড়মোড়া ভাঙে আর আবার ঘুমিয়ে পড়ে যারা আজ না ঘুমালো তাদের জন্য কাল কোন বাজারহাট অফিস…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা

এইটুকুই বেঁচে থাকা ব্রতীন বসু সুযোগ দেখলে আমি সন্ধানী হয়ে যাই বিপদ দেখলে ঢুকে পরি গর্তে, মন্দির দেখলে আমি স্বর্গে চলে যাই হুইস্কি পেলে ফিরে আসি মর্ত্যে। সবজির আগুন দাম তাই সবুজে অরুচি হয়েছে ভাতের বদলে মিলেট সেদ্ধ খাব ভাবি আনন্দ করি ভারত জিতেছে বলে অথবা লোন শোধ হলে আজ এইটুকুই বেঁচে থাকা থাক কাল হয়ত অন্য কোন দাবি। জমা আছে ব্রতীন বসু জমা জলাশয় মশা জন্মায় জমা কথা জন্ম দেয় কবিতা কেউ ভাল থাকে, কেউ প্রতীক্ষায়।

Read More