বলাই দের ছড়া

বলাই দের ছড়া

বেচু চাচা

বলাই দে

বাটপারি তে টেক্কা দেন
আমার বেচু চাচা,
কথা বলায় মুন্সীয়ানা
শব্দ বাছা বাছা!

এইতো হাসেন এইতো কাঁদেন
দেখার মতো দৃশ্য,
কী আছে তাঁর কীইবা আছে
ফকির, বড় নিঃস্ব।

পা রাখেন এই মাটিতে
মন যে উচাটন,
বেরিয়ে পড়েন মর্জিমাফিক
আজব দৃশ্যায়ন!

যেথায় যেমন সেথায় তেমন
ফেলেন জলে জাল,
আবির্ভাব এই ভুবনে
তিনি, দীন আর কাঙাল।

বাঁচেন তিনি, বেঁচে থাকেন
শুধুই নিজের শর্তে,
ভোগের রাজা, সম্ভোগেরও
আছেন বেঁচে বর্তে!

‘দেখো আমায়,আমায় দেখো
দেখো বিশ্বরূপ’,
মঞ্চে তিনি দাপিয়ে বেড়ান
বাদবাকি সব চুপ!


ভিতর ভুবন

বলাই দে

মনের ভিতর ঘুরছে আগুন
বেরোয় না তার আঁচ,
ভাঙবে তবুও মচকাবে’না
হীরে নয় সে কাঁচ।

যতই আসুক বাধাবিঘ্ন
বয় যেন সে ফল্গুধারা,
ভিতরে এক ভুবন গড়ে
বাজায় বসে ওই একতারা।

পাখির মতোই উড়ে চলে
উড়তে কি আছে মানা,
অলিগলি ঘুরে বেড়ায়
মনের ভিতর মনের ডানা।

বাহিরে এক শামুক খোলস
মনে হবে অহংকারী,
ভেতরটায় তরল তরল
আসলে সে সহজ ভারী।

জগৎসভায় হাজির থেকে
ভাব জগতে রহেন মত্ত,
পাখির মধুর সুরের কাছে
খুঁজে ফেরেন মনুষ্যত্ব।

একই মনে একই ধ্যানে
মুখটি খোঁজেন ভিড়ের মাঝে,
সাদামাটা জীবন ধারা
সকাল দুপুর কিংবা সাঁঝে।


ধরে বেঁধে

বলাই দে

ঢাক বাজে ঢোলক বাজে
বাজে কাসা ঘণ্টা,
পুরোহিতের নাচন কোঁদন
উৎফুল্ল এই মনটা।

তারস্বরে মন্ত্রজপে
গণতন্ত্রের সান্ত্রী,
রক্তচক্ষুর চাহনিতে
চরম সীমায় ক্রান্তি!

কেউবা বলে খোলা হাওয়া
বড্ড বেশি দেশটায়,
পাঞ্জা কষে ধরে টুঁটি
বাঁধো একটু চেষ্টায়।

কেউবা বলে উড়ছে দেখো
নানা রঙের স্বপ্নে,
জীবনটাকে ধন্য করে
ওরে বাপু জপ নে!

ভুবন ডাঙায় ফুটেছে ওই
মিলছে তাতে শুক্তি,
অবতারের পথে হেঁটেই
পাবেই পাবে মুক্তি!

ধরে বেঁধে ঢোকাও বেটায়
চড়াও ফাঁসি কাষ্ঠে,
বড্ড বেশি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে
গন্ধ ছড়ায় আঁশটে!