প্রিয় পাঠক

# এটা JULY-AUGUST 2024 সংখ্যা # পরবর্তী SEPT-OCT 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী SEPT-OCT 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা
বিশ্বজিৎ দেবের কবিতা

ভ্রম বিশ্বজিৎ দেব যেসব বিদায় তুমি ভুলে গেছো এসব তারই প্রতীক, ফুরিয়ে যাওয়া চিমনির মুখ, নিরব টার্মিনাসের ইঞ্জিন কে ফুরালো তবে সকাল হওয়ার আগে ধোঁয়া না উনুন, শ্বাসের জানালা খোলা ঘর বহুকোষী ধাবা, কি ফুরালো তবে কাঠের মন্দিরা, থেমে থেমে ত্রিতালের ধুম যে সব পরিত্যক্ত খোলসের কথা তুমি ভুলে গেছো এসব তারই সর্পভ্রম, শীতের হালকা হাওয়া চমকে ওঠা করোটির ফুল! অবিকল বিশ্বজিৎ দেব আমিও তোমার মত এক ফুঁয়ে ঠিক উড়ে যাই আমাকে নাচিয়ে যায় হাওয়ার ফিরিঙ্গি দূর থেকে দেখা…

Read More

হামিদুল ইসলামের কবিতা
হামিদুল ইসলামের কবিতা

বন্ধন হামিদুল ইসলাম মানুষগুলো এভাবেই চলে যাচ্ছে চলে যাচ্ছে নিঃস্ব হাতে দুচোখ ধরে আসছে বারবার কারো চোখে অতলান্ত অশ্রু কারো চোখে আগুন যারা আগুন নিয়ে খেলেছিলো সেদিন তারা হেরে গেছে আজ এখানে জয় পরাজয় নেই আছে দোলায় শুয়ে থাকা ক’টা নিথর লাশ এখানে মানুষ সব ধীরে ধীরে লাশ হয়ে যাচ্ছে লাশ হচ্ছে পৃথিবী মানুষের ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা প্রেম স্বামী স্ত্রী লাশ হচ্ছে লাশ হচ্ছে তাদের ক্ষণিকের অস্থায়ী বন্ধন কথা হামিদুল ইসলাম কথা দিই কথা রাখে না কেউ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে…

Read More

রহিত ঘোষালের কবিতা
রহিত ঘোষালের কবিতা

সব সম্ভাবনা রহিত ঘোষাল এই শতাব্দীব্যাপী যে শূন্য সময়, এখানে ডিমের ঝোলে হাত ডুবিয়ে, আমরা বিকেলবেলার বাতাসের ছাই ভাসিয়ে দিয়ে আসি, বরফদেওয়াআ মাছের সদনে, শ্রীঅঙ্গ থেকে তীব্র সংবেদন, গন্ধরাজ ফুল হয়ে যায়, স্বপ্নাতুর সে সব ঘনিষ্ঠতা বুকের উপর ছাতা খুলে ধরে, মসলিন খুলে যায়, মৃত্যুপক্ষীর জন্ম হয়, সুখাশ্রু ঝরে পড়ে, অক্ষর গাঁথা তলপেট শঙ্খচক্রগদাপদ্ম, নীল পাপ বীর্য রশ্মি, তুমি সহজ মুছে দাও ভিজে ভিজে ওড়না দিয়ে, পাঁজাকোলা করে বিছানায় নিয়ে আসো তোমার শরীর শিশির বিন্দু। দখল রহিত ঘোষাল রাত্রিবেলা…

Read More

নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের কবিতা
নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের কবিতা

হৃদয় নীলাদ্রি ভট্টাচার্য্য আপাতত জলের ভেতর ভ্রমণ আর হাওয়ার ভেতর নির্জন শব্দের গর্ভবতী সাঁতার আমার আবির ধান ফুলের আগুন কবিতার ডিম সাধন সঙ্গী কাঠের কলম জলের ভেতর জীবনবৃন্তে ভ্রমণ করছে ।

Read More

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

কাঠবিড়ালী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ভোরবেলা অমলতাসের সঙ্গে দেখা তার দেহ জুড়ে কাঠ বিড়ালীর প্রাণচাঞ্চল্য আমি যেন আমিতে নেই হাসপাতালের টেবিলে সুঁই ফোটানোর সময় এ দেহকে অমলতাস আর কাঠবিড়ালি ডেকে নিয়েছিল ডাক্তারের রেটিনায় কে তখন অবাক আঁকছিল মেঘ দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ঘুমের ভিতর সিনেমা দেখছি । নায়কের মুখ খুব চেনা সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। নিজেকে দেখেই যাচ্ছে একদল মেঘ এসে ঢেকে দিল সবকিছু । শো ভেঙে গেলে চোখ মেলে দেখলাম বউয়ের চুলে হারিয়ে গেছে আমার মুখ একটা জাল থেকে আরেকটা জালে আটকে…

Read More

শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

ভার্জিন শুভেশ চৌধুরী ফলটি ভার্জিন। ফল-এ একটি কামড় দিয়ে দিলেই ফলের ভার্জিনটি চলিয়া যাইবে। মানুষ খাবার খায়। কত ফল-ফসারীর ভার্জিনটি লোপ করে তার পরিমাণ করা যাবে না । আমি কৌমার্য রাখি নাই। আমি বাবা। আমার বিশ্বাস আমি স্নেহশীল। কৌমার্য রক্ষা না করায় আমার কোন পাপ হইবে না, কারা জানি বলছে রাত জাগা পাখি শুভেশ চৌধুরী না। পাখি রাত জাগে না। ঘুমের মধ্যে শুধু আড়মোড়া ভাঙে আর আবার ঘুমিয়ে পড়ে যারা আজ না ঘুমালো তাদের জন্য কাল কোন বাজারহাট অফিস…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা

এইটুকুই বেঁচে থাকা ব্রতীন বসু সুযোগ দেখলে আমি সন্ধানী হয়ে যাই বিপদ দেখলে ঢুকে পরি গর্তে, মন্দির দেখলে আমি স্বর্গে চলে যাই হুইস্কি পেলে ফিরে আসি মর্ত্যে। সবজির আগুন দাম তাই সবুজে অরুচি হয়েছে ভাতের বদলে মিলেট সেদ্ধ খাব ভাবি আনন্দ করি ভারত জিতেছে বলে অথবা লোন শোধ হলে আজ এইটুকুই বেঁচে থাকা থাক কাল হয়ত অন্য কোন দাবি। জমা আছে ব্রতীন বসু জমা জলাশয় মশা জন্মায় জমা কথা জন্ম দেয় কবিতা কেউ ভাল থাকে, কেউ প্রতীক্ষায়।

Read More

সমর চক্রবর্তীর কবিতা
সমর চক্রবর্তীর কবিতা

এক বগ্‌গা সমর চক্রবর্তী যে কোন কবিতার আসরেই হাতে মাইক নিয়ে সে ঘোষণা দেয় আমার মতো প্রিয় অন্য কোন কবি-বন্ধু নাকি নাই তার। হলভরা কবিতার আসরে উপস্থিত সমস্ত কবিরা অথবা সে নিজে কিন্তু আমারো যে কিছু বলার আছে তা নিয়ে কোন প্রশ্নই করে না। হাততালির শব্দে ফেটে পড়ে ঘর। রাজ্যের সমস্ত মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় — সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই কবিতার আসর। সমস্তই আমি শুনি। শুধু আসরে আমারো ডাক পড়ে না পবিত্র থাপ্পড় সমর চক্রবর্তী আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মানতের বিষ্ণুপূজা করে…

Read More

সনজিৎ বণিকের কবিতা
সনজিৎ বণিকের কবিতা

আহাম্মক মানুষের গল্প সনজিৎ বণিক গতকাল বিকেলে এই আগরতলা বইমেলায় যে দুটি শিশু গলাগলি করে শীতবস্ত্রহীন ছেঁড়া জামা গায়ে বইয়ের স্টল-এ ঢুকতে যাচ্ছিল সেখানে দোকানের ম্যানেজার ওদের দিল না ঢুকতে স্টল-এ, ওদের স্পর্শ করতেও দিল না বই, ওরা বারবারই বলছে, আমরা পড়তে পারি তো, সত্যি সত্যি পড়তে পারি বই। আমরা সাঁতারও কাটতে পারি। আমরা গাছেও উঠতে পারি। আমরা দৌড়তেও পারি পি টি ঊষার মত। একবার অন্তত একবার বইটা ছুঁতে দিন, পাতা উল্টানো শেষ হইলেই দিয়া দিমু আর এখান থাইকা…

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

স্কুল ও কয়েকটি এলোমেলো ছবি অভিজিৎ চক্রবর্তী ১ রৌদ্রভরা স্কুল, ধানখেতের মাঝখানে, দূরে বট, একচিলতে মাঠ, আর একটি টিপ কল– সাদা ফিতেবাঁধা যে মেয়েটি এলোমেলো দৌড়ে আসছে তার সঙ্গে প্রজাপতিও পারছে না সে আমার মা তখনও জন্ম হয়নি আমার ২ টিলা থেকে নেমে খাল খালের পাশে মরা গরু জলহীন শূন্য ধু ধু শকুন বসে আছে– পাশ দিয়ে ছেলেরা যায়, বগলে বই মেয়েরা  কাচা আমড়া আর নুন মাখানো দুপুর–  দূরে শ্লেট-কালো আকাশ শকুনের গলার মত লোমহীন পথ  বিদ্যালয় বহুদূর ৩…

Read More