প্রিয় পাঠক

# এটা SEPT-OCT 2025 সংখ্যা # পরবর্তী NOV-DEC 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে NOV মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী NOV-DEC 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে NOV মাসের ২০ তারিখ ।

পরশ – সুদীপ ঘোষাল
পরশ – সুদীপ ঘোষাল

পরশ      (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল দাদুর বাবার লাঠি। যত্ন করে তুলে রাখা আছে বাঙ্কে। কার জন্য? বৃদ্ধ আমার জন্য। কত সুখস্মৃতি জড়িয়ে লাঠির অঙ্গ প্রত্যঙ্গে। দাদামশাই লাঠি ধরে পথ চলতেন। লাঠিকে বলতেন, বাবা ভাল করে ধরে রাখিস। ফেলে দিস না এই বুড়ো বয়সে। কোমর ভেঙে যাবে তাহলে। বিশ্বস্ত লাঠি তার দায়িত্ব পালন করেছে পলে পলে। এবার তার নাতির পালা। নাতি বয়স বাড়লেই পাবে তিনপুরুষের পরশ…

Read More

১৪ই ফেব্রুয়ারি – শুভাশিস চৌধুরী
১৪ই ফেব্রুয়ারি – শুভাশিস চৌধুরী

১৪ই ফেব্রুয়ারি             (অণুগল্প) শুভাশিস চৌধুরী — ওমা! এ কী তুমি? — চিনতে পেরেছো তাহলে। — কোথায় যাবে? — কোলকাতা। — তুমি? — দিল্লি। — শুনেছি, অনেক বড় চাকরি কর। — তুমি সংসার করছো? — এ ছাড়া কী করব? — তা ছেলে মেয়ে? — একটাই ছেলে। — গান করে? — না। সফটওয়্যার। — এ দেশেই? — না। কোরিয়ায়। — আর নিখিলেশ? — আছে। নিজের মতোই। — তোমার গান? — গাই। একলা ঘরে। — নিখিলেশ শোনে?…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on ১৪ই ফেব্রুয়ারি – শুভাশিস চৌধুরী
দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ
দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ

দৃষ্টিবিভ্রম    (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দৃষ্টিবিভ্রম চতুরতাকেও ছাড়িয়ে যায়। হয়তো এভাবেই একটা মিথ তৈরি হয়। সে মিথের নির্যাসটুকু সত্যি কিনা মিথ্যা তার বাছবিচার করেনি। ধ্বনিলাল তাই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে প্রায়ই এক যুদ্ধক্ষেত্রের। সে বন্দুক হাতে একা এক যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দুকটা কীসের তৈরি তার কাছে অস্পষ্ট। সেটা কী দো নলা নাকি এ কে ফোরটি সেভেন কিংবা লাইট মেসিনগান সেসব উহ্য থাকে। তবু তার কাছে এসব স্বপ্ন ভালোই লাগে। এবার কিন্তু ধ্বনিলাল অন্যরকম একটা স্বপ্ন দেখল। সে দেখল জনারণ্যে…

Read More

শিক্ষিত কে – সমিত রায় চৌধুরী
শিক্ষিত কে – সমিত রায় চৌধুরী

শিক্ষিত কে     (অনুগল্প) সমিত রায় চৌধুরী সুচেতার মনটা ভার। প্রথমে কলিগদের সাথে ঝগড়া তারপর বসকে মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে না পারা। সব মিলিয়ে দিনটা একদমই ভালো না। তাদের অফিস পাড়ার সামনেই একটা ঝিল। ঝিলের পারেই ছোট পার্ক। পার্কে গিয়ে বসলো সুচেতা। পার্কটা বেশ সুন্দর। অফিস ছুটির পর বা লাঞ্চ ব্রেকে অফিস কর্মীরাই বসে এখানে। সুচেতার মন খারাপ হলেই ঠিকানা হয় এখানটায়। ঝিলের আঁকাবাঁকা ধার ধরে লম্বাটে আকৃতির পার্ক। পামগাছের সারি আর ঝাউগাছের মাঝে মাঝে ছোট ছোট পাতাবাহার আর…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on শিক্ষিত কে – সমিত রায় চৌধুরী
উপহার – গুলশন ঘোষ
উপহার – গুলশন ঘোষ

উপহার     (অনুগল্প) গুলশন ঘোষ কলাগাছের মতোই বড় হয়ে গেল ছোট্ট অমৃতা। অভাব কী তা কোনদিন সে বুঝতেই পারেনি বাবার দৌলতে। বিয়ের অনলাইন সাইট থেকে নিজের পছন্দ মতো ছেলেকে ও বিয়ে করল। বাধা দিল না মা-বাবা ওর সুখের কথা ভেবে। জামাই চাকরি করে। যৌতুক দাবি করেনি। তবুও দামি-দামি সোনার গয়না, সেগুনের খাট, জামাইকে হিরের আংটি আরো নানান জিনিস দিয়েছিল অমৃতার মা-বাবা ওদের পৃথিবীকে সুখে ভরিয়ে তুলতে। তবুও বিয়েটা সুখের হল না। অমৃতা ৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে আজ আলাদা থাকে…

Read More

ভোট – ব্রতীন বসু
ভোট – ব্রতীন বসু

ভোট  (অনুগল্প) ব্রতীন বসু কল্কে পাড়ার ওসি ভৃঙ্গিবাবুর পায়ের ছাপটা খুব মিষ্টি। যে দিক দিয়ে হেঁটে যান পিঁপড়েতে থিকথিক করে। সেদিন গাঁজা পাড়ায় ভোট। ভৃঙ্গিবাবুর ডিউটি পড়েছে। পিঁপড়ের দল পেছন পেছন গেল। হঠাৎ ভৃঙ্গিবাবু দেখলেন সামনের নোনতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার খোলা। পিঁপড়েরা ওনার পায়ের ছাপ ফেলে দলে দলে সেদিকে ছুটছে। উনি রাগে গর্জন করতে করতে গিয়ে হাজির হলেন। মিথ্যুক, নাম দিয়েছিস নোনতা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার আর এমন মিষ্টি বানাচ্ছিস যে আমার পায়ের ছাপ খেয়ে বড় হওয়া পিঁপড়েরা আমাকে ফেলে তোর দোকানে…

Read More

আমার মৃত্যু – পিটার অর্নার
আমার মৃত্যু – পিটার অর্নার

আমার মৃত্যু     (অনুগল্প) পিটার অর্নার (আমেরিকান গল্প, ইংরেজি থেকে অনুবাদঃ সদানন্দ সিংহ) তার নাম ছিল বেথ। আমরা একে অপরকে চিনতাম না। আমরা তার গাড়ি নিয়ে শিকাগো থেকে মিসৌরির দিকে রওনা হয়েছিলাম। আমার মনে আছে যে যখন আমরা স্টিভেনসনের কয়েক মাইল দক্ষিণে পৌঁছে গিয়েছিলাম তখন ইতিমধ্যেই আমাদের বলার মতো কথা শেষ হয়ে গেছিল। এই দৃশ্যটি দু’জন অপরিচিত ব্যক্তির একসাথে একটি সিয়েন্সের বৈঠকে অংশ নেওয়ার গল্পের মতো দেখায় যেখানে মৃত লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পাঠকদের ভয়ানক…

Read More

আমি অভিমন্যু – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
আমি অভিমন্যু – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

আমি অভিমন্যু          (অনুগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য আমি অভিমন্যু। তরবারির এক এক আঘাতে শেষ করে ফেলবো হাজার হাজার শত্রু। হাতের লাঠি নাচিয়ে বীরদর্পে আস্ফালন করে ছোট্ট পাকু। অনন্তবাবুর ঘর আজ কুরুক্ষেত্র প্রান্তর। চক্রব্যূহের রথী-মহারথীরা নাস্তানাবুদ পাকুর শৌর্যের সামনে। ঘরের একপাশে পড়ে রয়েছে বইখাতা। যুদ্ধে মত্ত পাকু। বিছানায় শুয়ে অনন্তবাবু। দেখছেন বাচ্ছা ছেলের খেয়ালি কাণ্ড। কয়দিন ধরে বেসুরে বেজেছে শরীর। বুকে চিনচিনে ব্যথা। মনটা ভালো নেই। শচীদার মৃত্যু অসহনীয়। দিন পনেরো হলো মারা গেছেন শচীবাবু। অনন্তের পড়শী।…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on আমি অভিমন্যু – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
প্রতিশোধ – সমিত রায় চৌধুরী
প্রতিশোধ – সমিত রায় চৌধুরী

প্রতিশোধ         (অনুগল্প) সমিত রায় চৌধুরী ঘরে ঢুকেই ঘরের আবহাওয়াটা বিবেক বুঝতে পারল। বেশ থমথমে পরিবেশ। ভাস্বতী সোফায় বসে কটমট করে কেয়ার দিকে তাকাচ্ছে। কেয়ার চোখে জল। বিবেককে দেখেই ভাস্বতী বলে উঠল, “জানো কেয়া কি করেছে?” বিবেক চুপ। ভাস্বতী বলতে থাকল, “সুদক্ষিণার মা আজ বলল, সুদক্ষিণার টিফিন বক্স থেকে কেয়া টিফিন খেয়েছে।” বিবেক বলল, “মা তুমি এমন ভাবে অন্যের টিফিন খাও কেন?” ভাস্বতী বিবেককে চুপ করিয়ে বলল, “সেটা কথা নয়। সুদক্ষিণার টিফিনে ছিল মাশরুম দিয়ে পোলাও। “…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on প্রতিশোধ – সমিত রায় চৌধুরী
ঝিলিক – সদানন্দ সিংহ
ঝিলিক – সদানন্দ সিংহ

ঝিলিক          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দীপ আর সীমা সকালের ব্রেকফাস্ট সারছিল। বাবাইয়ের ব্রেকফাস্ট আগেই হয়ে যাবার পর স্কুলের ইউনিফর্ম পরে সে স্কুলবাসের অপেক্ষা করছে। স্কুলবাসটা তাদের বাড়ির কাছে আসতে প্রায় দশ মিনিট লাগবে। টিভিতে তুরস্কের ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা ও উদ্ধারকার্য দেখানো হচ্ছিল। ব্রেকফাস্ট করতে করতে টিভি দেখছিল ওরা। এইসময় বাবাই তাদের সামনে এসে বলল, বাবা আমি টার্কি যাবো। শুনে ওরা যেন আকাশ থেকে পড়ল। দীপ বলে উঠল, বলিস কী! সেখানে কেন যাবি? সে তো অনেক দূরে। বাবাই…

Read More