রহিত ঘোষালের কবিতা

রহিত ঘোষালের কবিতা

রক্তে জ্বালা প্রদীপ

রহিত ঘোষাল

অনেক আগে এখানে যারা থাকত
তারা লোহার গেট বন্ধ করে
চলে গেছে বসিরহাট
জংশন থেকে ট্রেন ছেড়ে গেছে
শিকারে নেমেছে বনবিড়াল
মাথায় বালি নিয়ে চলেছে শ্রমিকের দল
মাছের কানকো থেকে লাল রঙ
এসে পড়েছে ঘুরপথে
ভেসলিন লাগা চকচকে গালে
ঘুম দানা বাঁধে যখন
তখন চুম্বনের সময়
মনে মনে প্রাপ্তবয়স্ক ছোঁয়া
উঁচু দেওয়াল দেওয়া বাড়ি
গুঁড়িয়ে যাবে একদিন
সেই তুমি এসো এই গলির শেষে
আমার শান্ত নীড়ে
গৃহস্থালির খুঁটিনাটি তোমার হাতে দিয়ে
আমি গরম ভাতের সামনে বসে
ব্যারিকেড তৈরি করব ভাবনার
গমকল থেকে সাদামাটা চেহারার লোকটা
এগিয়ে দেবে সকরুণ দৃষ্টি
পানপাত্র উল্টে দেবে শীতের দেবতা
প্রশ্নপত্র নিয়ে এক অসভ্য নাচ তখন
পোল্ট্রির দিকে চলে যাবে
বন্ধ সিনেমা হলের সিঁড়িতে ঘোলাটে চোখ
রেখাপাত করবে শিকড় আরাধনার দিকে
হৃদয়ে পেরেক পুঁতে গ্রাম
প্লাটফর্মে নেমে সাইকেল স্ট্যান্ডের কাছে
বসন্ত অসুখ নিয়ে জামা ঝাড়বে
তখনই মিহিমিহি দেশলাই কাঠির বারুদ
ঝরে পড়বে একটি বাঁধাকপির সর্বাঙ্গে
ছানার ড্রাম থেকে জল গড়াতে গড়াতে
ছোটখাটো এক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করবে
অস্থায়ী বাজারের চারদিকে
এরপর রাস্তা যেদিকে গেছে
ওখানে আর দোকানপাট নেই বেশি
সাঁওতালি মাটির উপর ছায়া
আদর বিলিয়ে বেড়াবে
উঠোনগুলো হয়ে যাবে পাঁচালি
একটু পরেই
রক্তে জ্বালা প্রদীপ শিখায়
পেখম মেলবে ঈষৎ মদ্যপ ভাষা