মনের মানুষ (অনুগল্প)
সুদীপ ঘোষাল
অসীম গরীব হলেও সুখী। সে দশটা ছাগলের মালিক। ফাঁকা মাঠের ধারে মাটির ঘর। সেখানেই সে তিরিশ বছর ধরে বাস করে একা। দরজা খুলতেই দেখে তার মনের মানুষ, পিয়া, মাথায় সিঁদুর পরে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে তার জল।
অসীম যখন কুড়ি বছর বয়সের যুবক তখন ভালোবেসেছিল পিয়াকে। কিন্তু একজন চালচুলোহীন অপদার্থ ছেলের হাতে পিয়াকে দেয় নি,তার বাবা, মা। পিয়ার বিয়ে হয়েছিল রোজগেরে মদনের সঙ্গে। তারপর থেকেই পিয়া সংসারের বোঝা টানতে টানতে হাঁপিয়ে ওঠে। পান থেকে চূণ খসলেই অকথ্য গালিগালাজ করত মদন, পিয়াকে। পিয়া সহ্য করত, সংসারের গিঁট তার গলা টিপে ধরেছিলো। শুরু হল মারধোর, শারীরিক অত্যাচার। তারপর এক সকালে পিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিল মদন।
অসীম সকালে ঘুম ভাঙলে দেখে, পিয়া তার বাড়ির দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় পিয়া, মনের মানুষের মাটির ঘরের দিকে।
অসীম আনন্দে দুহাতে বরণ করে নেয় ঈশ্বরের দান।