সাবির হাকারের কবিতা – শংকর ব্রহ্ম
সাবির হাকারের কবিতা – শংকর ব্রহ্ম

সাবির হাকারের কবিতা     (প্রবন্ধ-নিবন্ধ) শংকর ব্রহ্ম ১৯৮৬ সালে ইরানের পশ্চিম প্রান্তে কার্মানশা প্রভিন্সে তাঁর জন্ম হয়। সাবির হাকার। এখন তিনি থাকেন ইরানের তেহরানে। নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে সেখানে কর্মরত। যে নির্মান সংস্থার হয়ে কাজ করেন, সেখানে তাদের প্রয়োজনে তাকে মাথায় করে ইঁট বালি সিমেন্ট বইতে হয়। নির্মাণ শ্রমিক হলেও তিনি কবিতা লেখেন মনের তাগিদে। তাঁর কবিতা আমাদের বিবেককে ঝাঁকুনি দেয়। হৃদয়ে আলোড়ন তোলে। অন্য এক ধূসর জগতের ছবি ফুটে ওঠে সাবিরের কবিতায়। দেশের শোষিত নিপীড়িত শ্রমিক জীবনের ব্যথা-বেদনা অন্য…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা

কবিতাটায় ব্রতীন বসু কবিতাটার মধ্যে সদ্যোজাত গোলাপ আছে বাগানের সবুজ আলোছায়া আছে কবিতাটার মধ্যে তোমার সাথে আমার কলেজের ক্লাসরুম আছে কবিটার মধ্যে পাশবালিশে রাখা স্বপ্ন আছে পছন্দের কিছু গান আছে বেশ খানিকটা কি করবে বুঝতে না পারা মানুষটা আছে না কিছু নেই না কিছুই নেই কবিতাটায় শুধু স্টেপেল করা মনের কটা হলুদ পাতা আছে আর কিছুই নেই কবিতাটায়। আর কিছুই নেই কবিতাটায়।

Read More

সুবীর ঘোষের কবিতা
সুবীর ঘোষের কবিতা

যদি ঘাস না জন্মায় সুবীর ঘোষ এত লোকের ভিড়ে কারোর মুখ দেখিনি পাইনি কারোর নিঃশ্বাসের হাওয়ার ঝাপটা। খুঁজে দেখতে গেছি কারোর কী মনখারাপ এই ভিড়ের মধ্যে কেউ কী যা চেয়েছিল তা পেল না বলে উঠে যাবে ভাবছিল! এত হাওয়ার মধ্যেও শ্বাসকষ্ট ছিল হাসি ছিল অনেক তবে সবই সাবেকি। এ-ঘণ্টার হাসি সহকর্মীর সম্পর্কের মতো সিঁড়িপথে জনজটের শিকার। কেউ কী তখন ভেবেছিল একটা মস্ত গ্যাসবেলুনকে চেপে ধরলে সবাই মিলে একটু হালকা হওয়া যাবে? যারা চেনা নয় যারা দূরের অথচ কাছাকাছি আসতে…

Read More

টোকা – ব্রতীন বসু
টোকা – ব্রতীন বসু

টোকা       (অনুগল্প) ব্রতীন বসু বলতে পারেন, একটা দরজায় সারা জীবনে ক’টা টোকা পড়ে ? ক’টা খোলে আর বন্ধ থাকে ক’টা? এটা বলা মুশকিল, নির্ভর করছে কার দরজা এটা প্রয়োজন কার যে টোকা দিচ্ছে না যে ভেতরে আছে। আচ্ছা ধরুন, কেউ টোকা দিয়ে বলল, আমি আপনাকে খুন করতে চাই, দরজাটা খুলবেন প্লিজ, কেউ কি খুলবে? নিশ্চয়, যদি সে আত্মহত্যা করবে মনস্থ করে থাকে কিন্তু বিষ বা দড়ি কোনোটাই হাতের কাছে না থাকে। আর যদি আমি বলি, আপনাকে এক…

Read More

মানতবৃক্ষ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
মানতবৃক্ষ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

মানতবৃক্ষ       (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য দেখতে দেখতে আমি একটা মানতবৃক্ষ হয়ে উঠলাম। চারটে কেমো নেবার পর  ডাক্তার বললো আপাতত হসপিটালে না এলেও চলবে। অর্থাৎ ঘুরিয়ে শুনিয়ে দিলো এরপর আমার বাঁচা মরা উপরওয়ালার মর্জি। তারপর থেকে প্রায় রোজই বিভিন্ন দেব বা দেবীর মন্ত্রপূত পুষ্প মাদুলি বন্দী হয়ে আমার দুই হাতে নয়তো কোমড়ে বেঁধে দিতে লাগলো আমার স্ত্রী। মাঝে মধ্যে মেয়েও এসেছে প্রসাদী ফুল বা স্নানজল নিয়ে। গলাতে ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি মাদুলি। সব চেয়ে বড় যে মাদুলি…

Read More

কাতুপিসির ডাইরি ও ইন্দিরা – বিজয়া দেব
কাতুপিসির ডাইরি ও ইন্দিরা – বিজয়া দেব

কাতুপিসির ডাইরি ও ইন্দিরা   (ছোটোগল্প) বিজয়া দেব খোলা জানালায় চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল ইন্দিরা। রাজন ঘুমোচ্ছে। এখন বিকেল। রোববার বিকেল। গত রোববার এমনি বিকেলে ঋতু ফোন করেছিল — মা, এখানে কত জায়গার ছাত্রী। আমার রুমমেট গোয়ানিজ, একটু ফুটানি আছে, কথা বলে কম, আমার সিনিয়র, তাই কথা তেমন এগোয় না। দেখা যাক, ধীরে ধীরে সবই অভ্যেস হয়ে যাবে। তারপর পুরো হপ্তা কেটে গেল ফোন করেনি ঋতু। মুম্বইতে বিবিএ কোর্স করতে গেছে ঋতু বারো ক্লাস উৎরে যাওয়ার পর। এখনও রপ্ত হয়ে…

Read More

নিনোর রবীন্দ্রনাথ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
নিনোর রবীন্দ্রনাথ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

নিনোর রবীন্দ্রনাথ     (ছোটোদের গল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য খুব চিন্তায় পড়েছে নিনো। স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন হবে। আর কয় দিন মাত্র বাকি। নিনো এখনও তৈরিই হতে পারেনি। কিভাবে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না কিছুতেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে দু কথা যে কিভাবে বলে! ভাবনায় অধীর হয়েছে নিনো। ক্লাস-টু থেকে বক্তব্য রাখতে হবে নিনোকে। অন্য ক্লাসগুলি থেকেও অনেকে বলবে কবিগুরু সম্পর্কে। কেউ কেউ গান গাইবে। রবীন্দ্রনৃত্য আছে। ছোট ছোট দুটি নাটকও হবে। জমজমাট অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে স্কুলে। রিহার্সাল চলছে রোজ। সমস্যা…

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

বিপ্লব অভিজিৎ চক্রবর্তী চুল পড়ায় বড় বড় দেখায় যেখানেই যাই বয়সের চাইতে বড় ভাবে লোকে  সমীহ করে, সম্মান জোটে বিষয়টা ততক্ষণ পর্যন্ত কমনীয় ছিল কিন্তু বয়স্ক লোকের কাছে গাম্ভীর্য সবাই আশা করে এমন স্বর যেখান থেকে মেঘগর্জন শোনা যাবে এমন উচ্চারণ যা অভ্রান্ত, অনিবার্য  তার বদলে চি চি করলে চমকে ওঠে সবাই অনর্থক চাপল্যকে বিদ্যুৎ নয়, ব্যক্তিত্বের ত্রুটি বলে মনে করে ভাবি, বয়স বলতে তো দেহের বয়স শরীরের নানা পার্টসের বয়স আমি কি শুধুই আমার শরীর! আবার শরীরহীন আমিও…

Read More

বাস্তব কিংবা অবাস্তব – অঞ্জলি দে
বাস্তব কিংবা অবাস্তব – অঞ্জলি দে

বাস্তব কিংবা অবাস্তব   (অনুগল্প) অঞ্জলি দে রোজ সকালে সকলের গেটের কলিং বেল টিপে ছেলেটা ঘুম থেকে ওঠায়। ঘাস, পাতা, ফুল ও মালা দিয়ে যায়। রাস্তায় ও গাইতে গাইতে গাইতে যায়, “জয় মাতা দি! জয় মাতা দি! জয় মাতা দি! …..”। যারা ও আসার আগেই ভোরে উঠে সংসারের কাজ করে, তারা ওকে অনেকসময় ডেকে বসিয়ে আবার চাও খাওয়ায়। শুধু যে ও ফুলওলা তা কিন্তু নয়। ফুল দেওয়া হয়ে গেলে ও আবার পাড়ায় ঘুরে ঘুরে ঘুরে গাড়ি পরিষ্কার করে। সকাল থেকেই…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

. বাঁচার জন্য বলাই দে বেঁচে আছেন বেঁচে থাকেন আয়ু পেলেন মস্ত, ফুলে ফেঁপে বর্গাকার সমান দীর্ঘ প্রস্থ! প্রেসার বাড়ে, বাড়ে সুগার বাড়ে দিবানিদ্রা, রাতের বেলায় উড়ন্ত মেঘ হাসেন বিশারদরা! কোবরেজ স্বপ্নে আসেন বাজান ডুডুম বাদ্য, কালকে থেকে কমাও বেটা মুখরোচক খাদ্য। ঘুমটি ভাঙে আচম্বিতে নিদান পেয়ে স্বপ্নে, বছর ভর খেলি অনেক এবার নামের জপ’নে। রোজগারটা করিস বটে তাই বলে সব চাটবি, আরাম আয়েশ ছেড়ে ছুঁড়ে যত পারিস খাটবি। বাঁচিস কেবল খেতেই বুঝি চলিস কেবল উল্টা, বাঁচার জন্য একটু…

Read More