সদানন্দ সিংহের কবিতা
প্রেমহীন সন্দানন্দ সিংহ জলপরির দেশে এক যুবক পথ হারাল অসীম বনের মেধা বলে আর কিছুই রইল না চলে গেল এক গোলকধাঁধা থেকে আরেক গোলকধাঁধায় সুপ্ত মাস, কাকতীর্থ – সব হিজিবিজি তবুও কৈশোরিক চপলতার শেষে বৃক্ষের মূল ধীরে ধীরে আরো গাঢ় হল।
প্রেমহীন সন্দানন্দ সিংহ জলপরির দেশে এক যুবক পথ হারাল অসীম বনের মেধা বলে আর কিছুই রইল না চলে গেল এক গোলকধাঁধা থেকে আরেক গোলকধাঁধায় সুপ্ত মাস, কাকতীর্থ – সব হিজিবিজি তবুও কৈশোরিক চপলতার শেষে বৃক্ষের মূল ধীরে ধীরে আরো গাঢ় হল।
বিসর্জন সদানন্দ সিংহ আজকাল আমি রাত্রির কথাই আগে ভাবি দিনরাত্রি উল্টে যায়; হয় রাত্রিদিন বিষণ্ণতায় মিশে যায় এক রক্তপলাশ ঘ্রাণ সুষুম্নাকাণ্ডে এক অকূলপাথার হিমেল শীত, বৈশাখী ঝড়, কাঠ-ফাটা রোদ্দুর, জুম্মা-চুম্মা, সফেন সমুদ্র… তারপর ? তারপর ? তারপরও আছে এক তারপর সেখানে শুয়ে থাকে এক ক্রীতদাস এক কাক-ডাকা ভোর; আর সূর্যের প্রতীক্ষায় সেখানেই হোক আমার আহত রক্তের এক বিসর্জন
ইল্যুশান সদানন্দ সিংহ পিঠে রুকসেক, পায়ে ক্যাম্পাস, এইসব জীবনের এই বকধার্মিক তালগোল ক্রমশ ফিকে হতে হতে বিদ্যুৎপৃষ্ট রাত্রি উৎসবমুখর হিরণ্ময় দিন আর তিলে তিলে সব ধূসর হয়ে আজো বেঁচে থাকে বা বাঁচিয়ে রাখে তারপর আকাশটাই প্রদীপ হয়ে যায় কিংবা ধরো প্রদীপটাই এক আকাশ ইল্যুশান নিয়েই বেঁচে থাকি ধুকধুক চিরকাল