আন্দামানের দিগলিপুর – সদানন্দ সিংহ
আন্দামানের দিগলিপুর – সদানন্দ সিংহ

আন্দামানের দিগলিপুর সদানন্দ সিংহ উত্তর আন্দামানের দিগলিপুর একটি অফবিট গন্তব্যস্থান। খুব কম পর্যটক এখানে যান। এই আকর্ষণীয় শহরটি উত্তর আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম শহর। হয়তো দূরত্বের কারণেই প্রায়শই বেশির ভাগ পর্যটক এখানে যান না। তবে সম্ভবত এই দূরত্বই দিগলিপুরকে এমন একটি ভিন্ন এবং দুঃসাহসিক জায়গা করে তুলেছে। আন্দামানের দিগলিপুর একটি বিশাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যামিউজমেন্ট পার্কের মতো, যা প্রকৃতি প্রেমিককে একটি ভিন্ন জগতে থাকার অনুভূতি দেয়। এখানে ট্র্যাকিং, স্কুবা ডাইভিং, সাঁতার থেকে স্নরকেলিং এবং ডাইভিং পর্যন্ত সবকিছু উপভোগ করা যায়। এছাড়া আছে…

Read More

শ্যামসুন্দরের দুটি ফোন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
শ্যামসুন্দরের দুটি ফোন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

শ্যামসুন্দরের দুটি ফোন  (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য — তার মানে আপনি রোগী আর রোগীর বাড়ির লোকের মুস্কিল আসান। দু হাতের দুটো ফোন নাচাতে নাচাতে শ্যামসুন্দর বলে, সে আপনে বুলতে পারেন দাদা। কতাটা খানিকটা ঠিকই। আমার সঙ্গে এলে পেসেনট পাটির কুনো চিন্তা নাই। সব দায় আমার। আপনে আমার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢেলে দিয়ে নিচচিন্তে বসে থাকুন। থোক টাকাও হাতে দিতে পারেন। সে আপনের ইচ্চে। রোগী আপনের বাড়ি থেকে তুলবো আবার ঠিক সময়ে ফিরিয়ে দেবো। সমস্ত খরচের খাঁটি হিসেব পেয়ে যাবেন। দুনম্বরীর…

Read More

হর্ষবর্ধনের কারবার – সদানন্দ সিংহ
হর্ষবর্ধনের কারবার – সদানন্দ সিংহ

হর্ষবর্ধনের কারবার    (ছোটোদের গল্প) সদানন্দ সিংহ গোবর্ধনের মাথায় এখন অনেক চিন্তা। অনেক প্রশ্ন। অনেক কাজ। কিন্তু কোন কিছুই হচ্ছে না। হর্ষবর্ধন তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন একজন কাঠের কারবারিকে নিয়ে আনতে। কারণ হর্ষবর্ধন আগরতলায় কাঠের কারবার শুরু করতে চেয়েছিলেন এবং সেই উদ্দেশ্যে আগরতলায় বাড়ি বানিয়েছিলেন। এই পরিকল্পনার কথা শুনে গোবর্ধন আগে মন্তব্য করেছিল, কোন চিন্তা নেই দাদা, আমি আছি। কথাটা তখন বলেছিল বটে, কিন্তু এখন সে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কত ধানে কত চাল। দাদার নির্দেশ শুনে গোবর্ধন জিজ্ঞেস করেছিল,…

Read More

সেতু – দেবাশ্রিতা চৌধুরী
সেতু – দেবাশ্রিতা চৌধুরী

সেতু       (ছোটোগল্প) দেবাশ্রিতা চৌধুরী ছোট্টবেলায় মেয়ে বললো — মা তুমি কবে মরে যাবে! মরো না কেন? অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন রে? আমি মরে গেলে তোর কী লাভ! উত্তর এলো — তোমার আলমারিতে কী আছে দেখবো। হাসতে হাসতে আমার চোখে জল এল। নে, চাবি দিয়ে খুলে দেখ। অপার আগ্রহে আলমারি খুলে পাঁচ মিনিটের মাথায় ঠোঁট বেঁকিয়ে চাবি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কাঁদতে বসলো। কি রে কী হলো! বললো — এই ক’টা শাড়ি, চুড়ি! আমি ভাবলাম কী জানি আছে!…

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

অভিজিৎ চক্রবর্তী চাঁদ বিষয়ক ১ জীবনে চাঁদের আভা নিয়ে দুঘণ্টা লেকচার দিয়ে গেল দুধওলা চাঁদের শরীরে সোনা না লোহা এ নিয়ে উত্তেজিত পাড়ার ক্রিকেট ল্যান্ডার বিক্রম নিয়ে কথা বলতে বলতে আবর্জনা নিয়ে ফিরে গেল যে মহিলাটি তারও চোখে মুখে টুকরো টুকরো চাঁদের কণা আমি নামতে পারছি না কোথাও ক্রমশ ওজন কমে যাচ্ছে হাল্কা বায়বীয় হয়ে উপরে উঠে যাচ্ছি তুমুল চিৎকার ওঠে মাঝে মাঝে কোথা থেকে ঠিক বুঝতে পারছি না মাথার উপর কালো আকাশ নিচে এবড়ো খেবড়ো জমি পৃথিবীকে চাঁদ…

Read More

রূপালী মুখার্জির কবিতা
রূপালী মুখার্জির কবিতা

ফেরা হয়নি আর সেভাবে রূপালী মুখার্জি সে ভাবে আর বাড়ি ফেরা হয়নি কখনও যেভাবে ফিরতাম সে এক ছোটোবেলায় বাবার হাত ধরে, কিংবা ভিজে বাদলকে মাথায় নিয়ে বই খাতা আর এক্কাদোক্কা কে ব্যাগের ভিতর পুরে ঝড় আসলে হারিয়ে যেতাম হলুদ সর্ষে বনে, বিকেলের খেলার মাঠে চু কিত কিত ডাক দিত তারস্বরে, একরাশ চোরকাঁটা ফ্রকের আনাচে কানাচে, অঙ্কের খাতায় ভয় লুকিয়ে মুখ ডুবিয়ে, নীল মেঘে কে যেন মা আঁকতো পা ছড়িয়ে, বটতলার চণ্ডীমণ্ডপে তখন সুয্যিমামার বাড়ি ফেরার তাড়া, দু পাশে পথের…

Read More

ব্রতীন বসুর কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা

নিয়ে চলা, না নিয়ে চলা ব্রতীন বসু সারা জীবনে অনেক কিছু ফেলে রেখে এসেছি। কখনো পছন্দের মানুষটাকে, কখনো প্রিয় স্বপ্ন যে গাছের গুঁড়িটাকে উইকেট করে ক্রিকেট খেলেছি ছোটবেলায় তাকে, খেলার ব্যাট, বল, বন্ধু কোথায় যে রেখে এসেছি। যা এক সময় মনে হত প্রচণ্ড কাছের যখন নিয়ে চলার সময় হল, ফেলেই এলাম। আর যা ছিল নিজের মত, ভাবতাম না তাকে নিয়ে অত সাথেই রাখলাম, যদি ভাবি কখনও। জীবন যেন জানালা বন্ধ ঘরের মাটিতে পরে থাকা ধুলো কখনো কোন বিধাতা ঝি…

Read More

প্রেমিক পানকৌড়ি ও এক মনোরম সন্ধ্যা – সুদীপ ঘোষাল
প্রেমিক পানকৌড়ি ও এক মনোরম সন্ধ্যা – সুদীপ ঘোষাল

প্রেমিক পানকৌড়ি ও এক মনোরম সন্ধ্যা (ছোটোগল্প) সুদীপ ঘোষাল লাথি মেরে মুড়ির বাটি ফেলে দিয়েছিলেন কাকা। রাগে তার মাথার ঠিক ছিলো না। মিনুর মনে স্মৃতিগুলো উঁকি মারে। ঠিক পুরোনো আয়নার মত। সামনে বসে আছে মন। মন তার ছেলেবেলার বন্ধু। মন অবাক হয়ে শোনে মিনুর মাটির বেহালার সুর। — প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। পরে বুঝলাম আমারই ভুল। মন, মন দিয়ে শোনে। কোনো মন্তব্য করে না। — তারপর কত বসন্ত এলো গেলো। লঙ্কারাজ্যের সিংহাসনে যে বসে তার একই রূপ। শুধু রং পরিবর্তনের…

Read More

আটপৌরে গল্প – বিজয়া দেব
আটপৌরে গল্প – বিজয়া দেব

আটপৌরে গল্প       (ছোটোগল্প) বিজয়া দেব তেমন কিছু কাজ তো নেই ভবেশের। ছোটখাট কাজ করে কখনও কিছু জোটে কখনও জোটে না। এটা ওটা সারাইয়ের কাজ তো, তাই পকেটে একটা পুরনো ছোট মোবাইল ফোন নিয়ে ঘোরে। কাস্টমারদের সবাইকে ফোন নং দিয়ে রাখা। ঐ ফোনেই ভরসা। গ্যাসের উনুন ঠিক করে দেওয়া, চিমনির টুকিটাকি সারাই সাফ করে দেওয়া। চায়ের দোকানে ছোট পোর্টেবল গ্যাসের উনুন রিফিল করা এইসব কাজ। বউকে খাওয়াতে পারবে না বলে বিয়েও করল না সে। পয়সায় কুলোয় না তাই…

Read More

স্বামী বিবেকানন্দ এক দার্শনিক ও সন্ন্যাসীর মেলবন্ধন – সুদীপ ঘোষাল
স্বামী বিবেকানন্দ এক দার্শনিক ও সন্ন্যাসীর মেলবন্ধন – সুদীপ ঘোষাল

স্বামী বিবেকানন্দ এক দার্শনিক ও সন্ন্যাসীর মেলবন্ধন সুদীপ ঘোষাল প্রথম পর্ব নরেন বা বিলে, উত্তর কলকাতার এক দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দত্ত-পরিবারের আদি নিবাস ছিল অধুনা ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার অন্তর্গত দত্ত-ডেরিয়াটোনা বা দত্ত-ডেরেটোনা গ্রাম। দত্তরা উক্ত গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। গবেষকরা অনুমান করেন যে তারাই ছিলেন ওই গ্রামের জমিদার। অষ্টাদশ শতাব্দীতে দত্ত-পরিবারের সদস্য রামনিধি দত্ত তার পুত্র রামজীবন দত্ত ও পৌত্র রামসুন্দর দত্তকে নিয়ে গ্রামে আসেন। ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ নির্মাণের কাজ শুরু হলে উক্ত…

Read More