প্রিয় পাঠক

# এটা JULY-AUG 2025 সংখ্যা # পরবর্তী SEPT-OCT 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে SEPT মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী SEPT-OCT 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে SEPT মাসের ২০ তারিখ ।

অমিতাভের বন্ধু – সদানন্দ সিংহ
অমিতাভের বন্ধু – সদানন্দ সিংহ

অমিতাভের বন্ধু        (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ গিন্নির শাকসবজির ফর্দ নিয়ে আমি বাজারের দিকে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। এই সময় সিকিউরিটি গার্ডের পোশাক পরা একজন বৃদ্ধলোক আমার সামনে এসে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, কি রে, আমাকে চিনতে পারছিস? আমি একটু ভাল করে লক্ষ্য করলাম। চিনতে পারলাম, শ্যামলদা। শ্যামলদা লোকটা প্রথমে খারাপ ছিল না। হয়তো গরীব ছিল। সিনেমা হলে টিকিট চেকারের কাজ করত। তখন আমাদের শহরের তিনটে বড় সিনেমা হল ছিল এবং শহরতলিতে ছোটো ছোটো বেশ কিছু সিনেমা হল…

Read More

মংলুর একদিন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
মংলুর একদিন – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

মংলুর একদিন   (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য ওর বাপের হাতেই খুন হোলো ঠুমকি। ধারালো হাঁসুয়ার এক কোপে কচি বাঁশের মতো লিকলিকে ঘাড়টা ঝুলে পড়েছিল। তিন বছরের ঠুমকি, হাড় জিলজিলে চেহারায় অনাহারের সহাস্য উপস্থিতি সর্বাঙ্গে। আর পাঁচটা গণ্ড বাচ্চাদের মতই কোমরে বাঁধা থাকত এক টুকরো কাপড়, লজ্জাবস্ত্র বলতে এইটুকুই। ঠুমকি মারা গেছে আজ বিকালে। হাঁসুয়াটা ছুঁড়েছিল ওর বাপ, মংলু। উঠানে বসে কাঁদছিল ঠুমকি। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে এমন দৃশ্য দেখে মেজাজ হারায় মংলু। আর পাঁচটা দিনের মতো তো আজকের দিনটা শুধুই…

Read More

স্পীড ডায়াল – সমিত রায় চৌধুরী
স্পীড ডায়াল – সমিত রায় চৌধুরী

স্পীড ডায়াল      (অনুগল্প) সমিত রায় চৌধুরী “শর্মিষ্ঠা আর কুণাল’কে এই সব জ্ঞান দিতে কে বলেছিল? তুমি জানো না তাদের পেটে ভালো কথা সয় না!” ভাস্বতী হাতে লোশন মাখতে মাখতে কথাগুলো বলল। এই কথা শুনে বিবেকের এই শীতের রাতে ঘাম বেরোনোর অবস্থা। শর্মিষ্ঠা আর কুণালের সাথে আজ অফিস ছুটির পর চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে একটু আড্ডা দিয়েছিল। সন্ধ্যায় তো ভাস্বতী বাড়িতেই ছিল। শর্মিষ্ঠাকে যে ভাস্বতী সহ্য করতে পারে না সেটা বিবেক জানে। সে কিছু আন্দাজ করতে না পেরে শুধু…

Read More

খেলা খেলায় –  সদানন্দ সিংহ    
খেলা খেলায় –  সদানন্দ সিংহ    

খেলা খেলায়               (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ কালিচরণ জানে, খেলা হবে। রবিরাই বলেছে। তবে এখন গ্রীষ্মকাল। এ বছর দুপুরে তীব্র গরম। তার ওপর রুজি-রোজগার নেই। বাতাস নেই। আকাশে মেঘ নেই। এখন বৃষ্টির আশাও তাই কেউই করে না। অন্তত এক টুকরো ঝড় এলেও যেন ভালো হত। কালিচরণ মুণ্ডা গাছের ছায়ায় বসে গরমে হাঁসফাঁস করে আর এসব ভাবে। বিকেলে তাপমাত্রা একটু কমে যায়। হয়তো তখন রবিরাই আসবে। কালিচরণকে জিজ্ঞেস করবে, “খবর কী” ? কালিচরণ হয়তো আগের…

Read More

যেমন কর্ম – সুদীপ ঘোষাল
যেমন কর্ম – সুদীপ ঘোষাল

যেমন কর্ম       (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল বিজন একটা স্কুলে প্যারাটিচারের কাজ করে। পড়ে, পড়ায়। বেশ ভাল চলছিল। হঠাৎ ভোটের দিন এগিয়ে এল। বিজন ভোটের থার্ড পোলিং অফিসার হিসেবে ট্রেনিং নিল। ট্রেনিং হল কাটোয়া কে ডি আই স্কুলে। তারপর শেষ ট্রেনিং হল বর্ধমানে। প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য সকলের সঙ্গে পরিচয় হল। ভোটের দিন এগিয়ে এল। বুথ তিরিশ কিলোমিটার দূরের এক অজ পাড়াগ্রামে। বিজন ঘুরল গ্রাম। বেশ ভাল লাগল। তারপর সন্ধ্যাবেলায় মুড়ি খাওয়ার সময় প্রিসাইডিং অফিসার বললেন, বিজন, সামনে বাজার থেকে…

Read More

রহিত ঘোষালের কবিতা
রহিত ঘোষালের কবিতা

দেখা আর দেখতে থাকা রহিত ঘোষাল খুব জনপ্রিয় এক বারান্দা থেকে কর্মব্যস্ততা দেখছি, উত্তরণ দেখছি, থুড়থুড়ে মুখগুলো কেমন জগৎ ছাড়া, বায়ুরোগী কালস্রোত অকাতর একা, জলমার্জারের মতো চঞ্চল ভিড়, অশেষপ্রকার অজুহাত, পাঁচমিশালি ব্যঙ্গোক্তি নিয়ে গতস্পৃহ ধোঁয়া উড়তে থাকে, এই অবান্তর সময়               অবিশ্রুত কালদ্রষ্টার

Read More

কিশলয় গুপ্তের কবিতা
কিশলয় গুপ্তের কবিতা

প্রেমিক কিশলয় গুপ্ত ছেলেবেলায় কে যেন শিখিয়েছেন — আকাশ মানে মহাশূন্য। সুতরাং বৃষ্টি আমাকে পোড়ায় না। শুধু তোমার কথা মনে পড়লে — আগুন আমাকে ভিজিয়ে যায়। আমি তবুও আকাশ মানতে শিখিনি। ভীতু কিশলয় গুপ্ত আপনি আমাকে ভীতু বলতেই পারেন। তবে মনে রাখবেন — কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলতে নেই গণতন্ত্রে। গোটা মানচিত্র আঙুল তুলবে, বলবে আপনি চোর, আপনি চোর এবং… ঘুম ভাঙলে নিজেই বলবেন “আমি তোর” একবার ভীতু বলে দেখবেন নাকি?

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

কবিতাপাঠ অভিজিৎ চক্রবর্তী যে মুহূর্তে তুমি বললে বুঝেছ সেই মুহূর্তে ধ্বংস হলো শহর পরমাণু আছড়ে পড়লো কোথাও জলস্তম্ভ মেঘের মতো উঠলো আকাশে সেই ফাঁক গলে একটি পাখিও আর এলো না দিন গেল  রাত গেল মাস গেল বছর গেল কেবল গত শতকের বোঝাপড়া নিয়ে আমাদের দেখা হল জলের কিনারে জলে তো জন্ম নেই আর যে মুহূর্তে তুমি বললে বুঝেছ কবির মৃত্যু হল আবার নতুনের জন্য তাকে বসতে হবে সাধনায় আবার আপেলে কামড়–  পবিত্রতা নষ্টের অপরাধে তোমাকেও ফিরতে হচ্ছে পৃথিবীতে

Read More

হামিদুল ইসলামের কবিতা
হামিদুল ইসলামের কবিতা

লাশ পোড়া গন্ধ হামিদুল ইসলাম একাকী দাঁড়িয়ে আছি দরজায় রোদের উঠোন ঢেকে যায় দুচোখের আলোয় ঘরের ভেতর ঘর সাড়া নেই দুচোখে উঠোন মাড়াই রোদ মুঠোয় নিয়ে ফিরে আসি। দরজা বন্ধ। সাড়া নেই পোস্ট অফিসের রানারের মতো ডাক দিয়ে যাই কথা আছে কথা আছে বারবার হাঁক দিই। সাড়া মেলে না দরজা বন্ধ ভেতর থেকেই হঠাৎ কে যেনো দরজা খুলে দেয় ভেতরে ঢুকি। মানুষ নেই শ’ শ’ কঙ্কাল লাশ পোড়ে। লাশ পোড়ার গন্ধ পাই ছায়ামানুষ হামিদুল ইসলাম নিবিড় জলের ছায়া খুঁজি…

Read More

অপরাজিতা – দেবাশ্রিতা চৌধুরী
অপরাজিতা – দেবাশ্রিতা চৌধুরী

অপরাজিতা     (ছোটোগল্প) দেবাশ্রিতা চৌধুরী আজ “নীলসন্ধ্যায়” খুব আনন্দ। বাইরে থেকে বড় বড় লোকেরা সব আসবে, অনেক উপহার দেবে দু’হাত ভরে। সকাল থেকে সাজো সাজো রব। ড্রেনগুলো পরিস্কার করছে ছেলেমেয়েরা, তত্ত্বাবধানে মালতীদি। মালতীদি আজ খুব মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছে। দু’একজনকে মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে চুল আঁচড়াস না কেন! ছেলেমেয়েগুলোর আজ খুব ভালো লাগছে। শুধু যাদের মাথায় হাত পড়েছে তারা সিঁটিয়ে আছে। এর আগের অভিজ্ঞতার রেশ এখনও আছে কিনা! তাই। এখন এসে সবাই টিপেটুপে দেখবে, তারপর কয়েকজন চলে যাবে চিরদিনের…

Read More