প্রিয় পাঠক

# এটা JAN-FEB 2025 সংখ্যা # পরবর্তী MARCH-APRIL 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মার্চ মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী MARCH-APRIL 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মার্চ মাসের ২০ তারিখ ।

প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা
প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা

তরঙ্গ প্রভঞ্জন ঘোষ তরঙ্গে মিশিয়েছো ব্রহ্মাণ্ড আমরা অপোগণ্ড সে তরঙ্গে যোগ করি না বন্ধ করি লেনাদেনা ভরিয়ে সকল অসার কণা করছি লণ্ডভণ্ড! ঝিঁঝিঁর ক্ষুদ্র মুখের থেকে এক তরঙ্গ উঠে জলতরঙ্গে নদীর বুকে এক তরঙ্গ ছোটে। এক তরঙ্গ পাখির মুখে এক তরঙ্গ গাছের এক তরঙ্গ শ্বাপদকুলের এক তরঙ্গ মাছের এমনি সকল শব্দকণা নিত্য অবশেষে তোমার অপার ইথার কণায় নিখুঁতভাবে মেশে। আমরা সুবোধ সুর ধরি না সুচারুময় ঠিক মিশি না কণায় কণা যোগ করি না কেবল খণ্ড খণ্ড, আপ্ত সদাই ব্যাপ্ত…

Read More

রহিত ঘোষালের কবিতা
রহিত ঘোষালের কবিতা

অসীমে ঝাঁপ দেবে একাকী নদী রহিত ঘোষাল তুমি আমার বাড়ির ছাদে কাপড় মেলে আমার মিথ্যে গায়ে পরে একা একা চলে গেছ মহাসমুদ্রের কাছে ওখানে আমাদের সদ্যোজাতকে ভাসিয়েছ যেই দেখলে সেখানে তখন নদী এসেছে অসীমে ঝাঁপ দিতে সে তোমাকে দেখে আর কিছু বলতে পারেনি তার সমস্ত কথার মতো পলিমাটি সে ডুবিয়ে দিতে ভুলে গেছে তোমার হাতে স্যালাইন ফোটানোর ক্ষত থেকে বহুমূল্য মুক্তো ঝরে পড়ছে এসবের কিছুই তুমি আমাকে বলে যাওনি সব আমি জেনেছি বালিয়াড়ির থেকে শীতের রাতে শেষ বাসে তারপর…

Read More

বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা
বাপ্পা চক্রবর্তীর কবিতা

হাওয়া বাপ্পা চক্রবর্তী হাওয়া তোমার এত তুমুল চুম্বন কী করে আপন করি নিজের ভেতর। আমার শরীর ভরে জীবিত আগুন ছুঁয়ে দিলে রোমকূপে জাগে তর তর। এখনো রাতটা বাকি, দিনের আলোয় তোমার উপস্থিতির গাঁ ঘেঁষে চলছি। এ বেলা না হয়, অভিমান ছুঁড়ে দিলে তাপ সেঁকে সেঁকে সূর্য হতেই চাইছি। অপেক্ষার যাবতীয় কক্ষপথে ফুল, পাহাড়ি সন্ধ্যার ঘ্রাণে, ইতস্তত আমি। কাকে ডেকে বলি এই আকাশের কথা অক্ষর ফুরিয়ে গেলে কথা হবে দামি ।

Read More

রণজিৎ রায়ের কবিতা
রণজিৎ রায়ের কবিতা

স্বপ্নের সিঁড়ি রণজিৎ রায় কবে আসবে তুমি ? তোমার আগমনের প্রত্যাশায় কপাট খোলা রেখে খোলা জানলায় পথ চেয়ে আছি বাতাসে বৃক্ষের পাতা কেঁপে উঠতেই হৃদয় খুলে প্রহর গুনি প্রহরের পর প্রহর অভিমান বরফের মতো জমে পাথরের মতো নিরেট হতে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছে পৃথিবীর আয়ু ফুরিয়ে আসছে তোমার আমার কী হবে অন্য একটি জগৎ বিজ্ঞান মানে না তুমি কি বিশ্বাস করো আমি বিজ্ঞান পড়েও দিব্যি মেনে নিই প্রত্যাশায় উড়বো ত্রিভুবন অনন্তকাল ধরে। শরীরের সান্নিধ্য কি সব সুখের উৎস মনে দুঃখ…

Read More

সনজিৎ বণিকের কবিতা
সনজিৎ বণিকের কবিতা

ব্যাটারি সনজিৎ বণিক ব্যাটারির খয়ে যাওয়া স্পৃহা দ্রুতগতিতে ঘড়ির কাঁটাকে পারে না জাগিয়ে দিতে, এক সময় থেমে যায় ঘড়ি, সময় বাড়ে। ভোরের শিশিরের শব্দেই গতিশীলতা কমে যায়, উবে যায় শিশিরবিন্দু সূর্যতাপে। ঘড়ির ভেতরে মরা ব্যাটারি গলে যায় মরা পোকামাকড়ের মতো, জঙ ধরে মৃতের শরীরের মতোই। ব্যাটারি পাল্টে দিতেই টিক টিক শব্দ মান-অভিমানের মতোই বুকের ভেতর তুলে রাখে রহস্যের বাড়াবাড়ি, জেগে ওঠে সময় ঘুম ভাঙে অ্যালার্মের নরম শব্দাবলীতে, জেগে থাকা ও জাগিয়ে রাখার মন্ত্রগুপ্তি তোমার কানে যেতেই ভালবাসার দুচার কলি…

Read More

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

স্কুল ও কয়েকটি এলোমেলো ছবি অভিজিৎ চক্রবর্তী ১ রৌদ্রভরা স্কুল, ধানখেতের মাঝখানে, দূরে বট, একচিলতে মাঠ, আর একটি টিপ কল– সাদা ফিতেবাঁধা যে মেয়েটি এলোমেলো দৌড়ে আসছে তার সঙ্গে প্রজাপতিও পারছে না সে আমার মা তখনও জন্ম হয়নি আমার ২ টিলা থেকে নেমে খাল খালের পাশে মরা গরু জলহীন শূন্য ধু ধু শকুন বসে আছে– পাশ দিয়ে ছেলেরা যায়, বগলে বই মেয়েরা  কাচা আমড়া আর নুন মাখানো দুপুর–  দূরে শ্লেট-কালো আকাশ শকুনের গলার মত লোমহীন পথ  বিদ্যালয় বহুদূর ৩…

Read More

সন্তোষ রায়ের কবিতা
সন্তোষ রায়ের কবিতা

ট্রেন ও স্টেশন সন্তোষ রায় দিন আর রাত কেবল দু’টোই স্টেশন। লোয়ার বার্থে ঘুম দিলে একঘুমে পৌঁছে যাই গন্তব্যে, তারপর শিস মেরে সেরে ফেলি সারাদিনের কাজ। ভিখিরি ভাবে না কেউ। তোমাকেই ভাবি বলে কিছু লিখি, কিছু টিপ মেরে বুঝে ফেলি ভেতরে বাদাম নেই। স্টেশন মাস্টার জানে আমি পাগল নই। ভিক্ষের নেশা আছে। জানু পেতে বসি– কী জানি কী দেবে আমায়! চাই ত অনেক কিছুই — সোনালি কাবিন চাই, সোনালি ডানার চিল চাই, আরো কত কী চাই — সোনার হরিণ,…

Read More

শুভেশ চৌধুরীর কবিতা
শুভেশ চৌধুরীর কবিতা

ভার্জিন শুভেশ চৌধুরী ফলটি ভার্জিন। ফল-এ একটি কামড় দিয়ে দিলেই ফলের ভার্জিনটি চলিয়া যাইবে। মানুষ খাবার খায়। কত ফল-ফসারীর ভার্জিনটি লোপ করে তার পরিমাণ করা যাবে না । আমি কৌমার্য রাখি নাই। আমি বাবা। আমার বিশ্বাস আমি স্নেহশীল। কৌমার্য রক্ষা না করায় আমার কোন পাপ হইবে না, কারা জানি বলছে রাত জাগা পাখি শুভেশ চৌধুরী না। পাখি রাত জাগে না। ঘুমের মধ্যে শুধু আড়মোড়া ভাঙে আর আবার ঘুমিয়ে পড়ে যারা আজ না ঘুমালো তাদের জন্য কাল কোন বাজারহাট অফিস…

Read More

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

কাঠবিড়ালী দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ভোরবেলা অমলতাসের সঙ্গে দেখা তার দেহ জুড়ে কাঠ বিড়ালীর প্রাণচাঞ্চল্য আমি যেন আমিতে নেই হাসপাতালের টেবিলে সুঁই ফোটানোর সময় এ দেহকে অমলতাস আর কাঠবিড়ালি ডেকে নিয়েছিল ডাক্তারের রেটিনায় কে তখন অবাক আঁকছিল মেঘ দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ঘুমের ভিতর সিনেমা দেখছি । নায়কের মুখ খুব চেনা সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। নিজেকে দেখেই যাচ্ছে একদল মেঘ এসে ঢেকে দিল সবকিছু । শো ভেঙে গেলে চোখ মেলে দেখলাম বউয়ের চুলে হারিয়ে গেছে আমার মুখ একটা জাল থেকে আরেকটা জালে আটকে…

Read More

হামিদুল ইসলামের কবিতা
হামিদুল ইসলামের কবিতা

বন্ধন হামিদুল ইসলাম মানুষগুলো এভাবেই চলে যাচ্ছে চলে যাচ্ছে নিঃস্ব হাতে দুচোখ ধরে আসছে বারবার কারো চোখে অতলান্ত অশ্রু কারো চোখে আগুন যারা আগুন নিয়ে খেলেছিলো সেদিন তারা হেরে গেছে আজ এখানে জয় পরাজয় নেই আছে দোলায় শুয়ে থাকা ক’টা নিথর লাশ এখানে মানুষ সব ধীরে ধীরে লাশ হয়ে যাচ্ছে লাশ হচ্ছে পৃথিবী মানুষের ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা প্রেম স্বামী স্ত্রী লাশ হচ্ছে লাশ হচ্ছে তাদের ক্ষণিকের অস্থায়ী বন্ধন কথা হামিদুল ইসলাম কথা দিই কথা রাখে না কেউ মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে…

Read More