প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2024 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ।

বড়োদিনে – শুভংকর নিয়োগী
বড়োদিনে – শুভংকর নিয়োগী

বড়োদিনে     (ছোটোগল্প) শুভংকর নিয়োগী অনেকদিন পর চমকাইতলায় কাদড়া গ্রামে বেড়াতে গেল অভয়। কথায় বলে, ‘জননী জন্ম-ভূমিশ্চ স্বর্গাদপী গরীয়সী।’ জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের থেকেও বড়ো। তাই জন্মভূমির টানে মাঝে মাঝে যেতেই হয় গ্রামে। যত অ্যাডভেঞ্চার, দুরন্ত ও রোমাঞ্চকর স্মৃতিগুলো সব যে ওখানেই! অতীত স্মৃতি কখনো কখনো হয় বড়ো সুমধুর আবার কখনো কখনো হয় বড়ো তিক্ত। স্মৃতি-রোমন্থনে মনের আয়নায় ভেসে আসে কত কী! এই সেই ঘোষালদের খামার। এই খামারে একেবারে ছোটবেলায় কত ফুটবল ম্যাচ খেলেছে। ঘোষাল পাড়া পেরিয়ে বাড়ুজ্জে পাড়া।…

Read More

পরশুরাম – সুদীপ ঘোষাল
পরশুরাম – সুদীপ ঘোষাল

পরশুরাম      (ছোটগল্প) সুদীপ ঘোষাল নয় ছেলে আর পাঁচ মেয়েকে নিয়ে মিতা ও তার বর পাঁচ বিঘে জমির আমবাগানে বেশ সুখেই ছিল। মিতার বর মিলিটারি বিভাগে কাজ করার সময় এক অত্যাচারী লম্পটকে মেরে জঙ্গলে পুঁতে ফেলেছিল। কেউ জানতে পারেনি। তারপর কয়েক বছর পরে চাকরি ছেড়ে তার শখের আমবাগানে চলে এল। একরাশ বৃষ্টিফোঁটার ঝাপটা লাগা সুখে সে মিতার সংসারে মেতে গেল। ছেলেরা ধীরে ধীরে বড় হল। একে একে তাদের বিয়ে হল। চাকরির সন্ধানে তারা চলে গেল বাড়ি ছেড়ে। মিতার…

Read More

পাকা দেখা – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য
পাকা দেখা – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য

পাকা দেখা        (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য আজ শ্যামার পাকা দেখা। সকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ত কমলা। হবু বেয়াই আর বেয়ান আসবে মেয়েকে দেখতে, বিয়ের পাকা কথা বলতে। হবু জামাই আগে দেখে গেছে শ্যামাকে। সঙ্গে দুজন বন্ধুকে এনেছিল। পাত্রী পছন্দ হয়েছে, সে কথা গোপন রাখেনি। মেয়ের বিয়ের ফুল ফুটলো বলে। মনে মনে খুব খুশি কমলা। তবে চিন্তাও রয়েছে বই-কি। মেয়ের বিয়ে বলে কথা। আজ রায়পুর থেকে শ্যামার মামা আর মামীমাও আসবে। সবদিক একা হাতে সামলাতে পারবে না কমলা,…

Read More

সনজিৎ বণিকের কবিতা
সনজিৎ বণিকের কবিতা

নতুন রাস্তা সনজিৎ বণিক হাহাকারের জীবন দেখতে দেখতে যে যুবক হন্যে হয়ে খুঁজে ফেরে জীবিকার রকমফের এবং তার সাহসই তাকে খুলে দেবে বেঁচে থাকার অধিকার ও নিষ্ঠার নতুন রাস্তা, যে রাস্তা জুড়ে জেগে রবে জগতের হাজার কোলাহলের ছবি, ভালবাসা ও বেদনায় আঁকা সংসারের হালচাল, আজ এই রকম হাজার যুবক যুবতির স্বপ্ন আঁকতে সমবেত কর্মময়তার রাস্তা জুড়ে হেঁটে যেতে হবে সারাজীবন আমাদের, পতনের শব্দ কোলাহল মুছে দিতে হবে অঙ্গীকারের নতুন ভাষা ও জাগরণের তৎপরতায়। নীল আকাশের স্বপ্ন দেখতে দেখতে জেগে…

Read More

প্রভঞ্জন ঘোষের ছড়া
প্রভঞ্জন ঘোষের ছড়া

শাপে বর প্রভঞ্জন ঘোষ চাঁদের কালো চাঁদ ছাড়ে না- কালির কাজল চোখে টেনে চন্দ্র মুখটি ভরিয়ে তোলে মুখের শোভা আরো চতুর্গুণে। বাঁশির ছিদ্র বাঁশ ছাড়ে না তাতেই হাওয়া চালান ক’রে সকল বাঁশি প্রাণ ভ’রে দেয় মনমাতানো মধুর সুরে-সুরে। ফলের আঁটি ফল ছাড়ে না তাল তথা আম তাতেই খাঁটি তাইতো দেহ যায় না ভেঙে আছাড় পেয়ে স্পর্শ ক’রে মাটি। খাটের নিদ্রা খাট ছাড়ে না তাতেই দেহ আঁকড়িয়ে ঘুম সোজা সকল চিন্তা, সকল ব্যথা এক নিমেষে দূর ক’রে হয় তাজা!

Read More

ভিক্ষা – দেবাশ্রিতা চৌধুরী
ভিক্ষা – দেবাশ্রিতা চৌধুরী

ভিক্ষা    (অনুগল্প) দেবাশ্রিতা চৌধুরী ছনের চাল বাঁশের মাচা ঘরের দাওয়ায় বসে আছে বুড়ি। শণের মত চুল মাঝে মাঝেই চুলকোচ্ছে। তেল নেই সাবান নেই, পেটে একটি দানা পড়েনি কতদিন। ভিক্ষে করে মুড়ি, অথবা গাছের ফলমূল কচুসেদ্ধ করে খেয়ে বেঁচে আছে। কেন আছে তাও জানেনা। চোখের জলও শুকিয়ে গেছে। মেয়েমানুষের আবার জাতই বা কি ধর্মই বা কি? এই কথা পেটের শত্রুকে বোঝাতে পারেনি বুড়ি। কমলা মাসি এখন কমলা ঠাকুমা। কিন্তু একদিন ছিল যেদিন কমলা সুন্দরী নামে এক ডাকে যৌবনকালের পুরুষের…

Read More

খোরপোশ – গুলশন ঘোষ
খোরপোশ – গুলশন ঘোষ

খোরপোশ      (অনুগল্প) গুলশন ঘোষ লালনের বিরুদ্ধে রয়েছে ১২৫ ধারা। তার পক্ষের উকিল হীরালাল হাজরা ডিস্ট্রিক কোর্টে লড়ছে। ছয় মাস হয়ে গেলো কেসের কোন আপডেট পাচ্ছে না লালন। হীরালালের কাছে লালন কিছু জানতে চাইলেই বলা হচ্ছে, কেস তো আমার আন্ডারে রয়েছে তোমাকে ভাবতে হবে না। কিন্তু, এরই মধ্যে একদিন পিয়ন সকালে চিঠি দিয়ে গেলো। চিঠি খুলে দেখে ১২৫ ধারা চালু হয়ে গেছে। এরিয়ার বাবদ সামনে মাসেই ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে লালনকে। লালন চিঠি নিয়ে ছুটল হীরালালের কাছে।…

Read More

সদানন্দ সিংহের কবিতা
সদানন্দ সিংহের কবিতা

কমলাকান্ত সদানন্দ সিংহ কমলাকান্ত, একদিন তুমিই তো বলেছিলে শেষ থেকেও সব শুরু করা যায় গাঙচিলের ছোঁ মারা ফ্রিজ করা যায় মেঘে ঢাকা আকাশেও তারা দেখা যায় খালপাড়েও সাতরঙা ঘর করা যায় কেউ কেউ টের পায় — এক গভীর জলে বেহুলার ভেলা চলে কোন্ সে অতলে সাহস জোগায় এক অচিন মাঝি আর পালতোলা নৌকোয় পথ হারায় রহিমচাচা বারো মাস জুড়ে এখন অসংখ্য পার্বণ তার মাঝেই তিলোত্তমার অসংখ্য চিতা জ্বলে তবুও বলো, চিৎকার করে বলো, শীৎকার করে বলো কিংবা বলো নিঃশব্দে,…

Read More

মন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান – সন্তোষ উৎসুখ
মন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান – সন্তোষ উৎসুখ

মন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান সন্তোষ উৎসুখ সম্প্রতি নগরীর একটি সংগঠনের কর্মকর্তা জানান, তার সংগঠন আমাদের সম্মান দিতে চায়। আমরা অনেক দিন কোথাও থেকে ট্রফির মতো কোনো জিনিস পাইনি, এবং যে ভদ্রলোক আমাদের বলেছিলেন তিনিও আমাদের বন্ধু। সেজন্য তিনি অস্বীকার করতে পারলেন না, ভাবলেন, আসুন মানুষ, এই অজুহাতে পত্রিকায় খবর ও ছবি ছাপা হবে, স্ত্রীরও ভালো লাগবে। আমরা যথাসময়ে প্রোগ্রামে পৌঁছে গেলাম। প্রধান অতিথি ছাড়াই এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তখনও বেশি মানুষ আসেনি। আমরা ভেবেছিলাম যে তিনি নিশ্চয়ই অনেক…

Read More

সোহেল রানার কবিতা
সোহেল রানার কবিতা

বিলগ্রাম: জ্যোৎস্নাফুল সোহেল রানা এখানে জলের ভাঁজে ভাঁজে হাঁসের ফুর্তি উড়ুক্কু বাতাস আমরা দুজন মাটির বুকে গজিয়ে ওঠা দুর্বাঘাস। নিরাপত্তার চাদরে নয়, পাখির কলরব দুঃখ নয় কষ্ট ভোলার বসবাস কস্তুরির গন্ধভরা বিকেলে উদ্যত আকাশ; তুমিও পাখি হবে বাতাসের সাথে রাতের পড়শি দিন হবে — চাঁদ হয়ে ফুটে থাকা জ্যোৎস্নাফুল। উপাখ্যান সোহেল রানা বৃষ্টি পায়ে হেঁটে আনন্দচিত্তে রোদের কাছে যায়। আর ফরসা আকাশে কখন যে মেঘ হয় তা কেউই বলে দিতে পারে না। বৃষ্টি-রোদের মেলবন্ধে আকাশ আগুনে পুড়ে যায়! আহা…

Read More