প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2024 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ।

অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা

রোদ নিয়ে অভিজিৎ চক্রবর্তী রোদ। রোদের ভেতর জবা ফুল। জবা বললেই মনে আসে লাল রঙ। বিপ্লব। অথচ জবা এখন নানান রঙের। সূর্যেরই সব রঙ। সূর্যেরই সব জবা। সূর্যের সাতটি ঘোড়া একদিন এসে দাঁড়ায় আমার উঠোনে। একটি ঘোড়ার পেট ফাটা। একটি ঘোড়া কানা। একটির লেজ নেই। একটি কেশরছেঁড়া। প্রতিটি ঘোড়ারই কিছু না কিছু বিচ্যুতি আমাকে অবাক করে। আরোহীও উধাও। এই পরিণতি স্বাভাবিক কী না জানি না। আমি ছায়ার ভেতর বসে ভাবি, বিগত দিনের কাহিনি। নীল আকাশ। ঝকঝকে গাছ। এমনকি পাখির…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on অভিজিৎ চক্রবর্তীর কবিতা
বৈদূর্য্য সরকারের কবিতা
বৈদূর্য্য সরকারের কবিতা

মোচ্ছব বৈদূর্য্য সরকার আয়োজকের নানারকম ছক থাকে, মারপ্যাঁচে বাধ্য তরুণ কবির পাশে মধ্যবয়স্ক ললনা সম্মানীয় বুড়ো কবি এবং দলদাস সঞ্চালক… সবাই মিলেই তৈরি একটা প্রক্রিয়া, যার দ্বারা যোগ্যকে ক্রমশ অনভিপ্রেত গুজবে কোণঠাসা করে ফেলা, কমিউনে শুরু হয় ভূতের কেত্তন! আমার কতজন্মের সাধ ছিল গোটা বাংলায় ঘুরে ঘুরে কবিগান কিংবা যাত্রাপালা ধরনের কিছু পুরনো উপন্যাসের ধাঁচে, জীবনের টানে। চারদিকে বিনামূল্যের কবিতা উৎসব দেখে কেন যেন আজকাল হাসি পায়, যেখানে শুধুই বিনোদন, সাবেক ‘কবি’ কীভাবে জোটাবে খোরাকি!

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on বৈদূর্য্য সরকারের কবিতা
উত্তরণের পথে – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
উত্তরণের পথে – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

উত্তরণের পথে     (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য — মা ডাক শুনে চমকে ওঠে সুরমা। তাকিয়ে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে কৃপানন্দ। অবাক হয় সুরমা। বলে, তুমি আবার কষ্ট করে এলে কেনো মহারাজ? পর পর তিন রাত ঘুম হয়নি সুরমার। হরপ্রসাদের বেডে বসেই রাত কাটিয়েছে। স্বামী অসুস্থ। একরাশ উদ্বেগ ছায়াসঙ্গী। দুপুর বেলায় নার্সিংহোমের রিসেপশনে বসে ছিল সুরমা। দুশ্চিন্তা নিয়ে আসে তন্দ্রা। ভারী হয়ে ওঠে দুচোখের পাতা। তন্দ্রা ভঙ্গ হয় কৃপানন্দের ডাক শুনে। সুরমার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে কৃপানন্দ। থাক থাক এখানে…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on উত্তরণের পথে – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
সমস্যা – ব্রতীন বসু
সমস্যা – ব্রতীন বসু

সমস্যা     (অনুগল্প) ব্রতীন বসু কি কেন কেন করছেন? বললাম তো ইউ আর ফায়ারাড। দুদিন বাদে ফাইনাল সেটেলমেন্ট নিয়ে যাবেন। মাসের শেষ শুক্রবার। চাকরিটা চলে গেল। বাড়ি ফেরার সময় নর্দমায় পড়ে গিয়ে প্যন্টের হাঁটুর কাছটা ছিঁড়ে গেল। ফিরে শুনলাম পোশা টিয়াপাখিটা দেহ রেখেছে। ছেলে স্কুল স্কুল থেকে ফিরে মুখ গোমড়া করে বসে আছে। ক্লাসে কথা বলছিল একশো টাকা ফাইন করেছে। ফাইনের টাকা দিতে গিয়ে দেখি মনিব্যাগটা নেই, হয়ত নালায় ফেলে এসেছি। খুব কিছু ছিল না তাতে,তবু লাইসেন্স কিছু ব্যাংকের…

Read More

বুক পকেট — সমিত রায় চৌধুরী
বুক পকেট — সমিত রায় চৌধুরী

বুক পকেট           (অনুগল্প) সমিত রায় চৌধুরী মহেশের দেহ ও মন সকাল থেকেই নিস্তেজ। কাল সন্ধ্যায় তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। পুরো মাসটা পাঁচশ টাকার তাজা নোটটাকে অনেক কষ্ট করে বাঁচিয়ে রেখেছিল। প্রতিদিন অফিস যাওয়ার সময় পকেটে পুরে রাখতো আর রাত্রিরে বিছানার বালিশের নিচে। এইটা তার সারা বছরের অভ্যাস। মাসের প্রথম মাইনে পাওয়ার পর বাজেট অনুসারে সব খরচাপাতি ও বিলি বাট্টা করে এই পাঁচশ টাকা তার হাত খরচ হিসেবে নিজের কাছে রাখত। ভালো মাইনে পেলেও এইটা তার…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on বুক পকেট — সমিত রায় চৌধুরী
ক্ষ্যামা দাও — সদানন্দ সিংহ
ক্ষ্যামা দাও — সদানন্দ সিংহ

ক্ষ্যামা দাও সদানন্দ সিংহ সকাল থেকেই কানে কেবল এক গানের কলি ভেসে আসছে, “বাবা গো, ফোড়ন দাও ফোড়ন দাও। তোমার নয়নতলে চরণতলে স্থান দাও।” এই সুরের সঙ্গে দামামার এক শব্দ। অথচ এই সুরটা আমি আগে জীবনেও শুনিনি, গানের গায়ক আছে কিনা তাও জানি না। আর আশ্চর্য কলিটা বারবার আমাকে বাজাচ্ছে। তবে কি আমার মতিভ্রম হয়ে গেল? একটু চিন্তায় পড়ে গেলাম। এইসময় দেখলাম, সেনাপতিদা বাজারের থলি হাতে রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে সেনাপতিদা আমার কাছে এসে অনেক উদ্ভট পরামর্শ চান।…

Read More

দিশারী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
দিশারী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ওলনদড়ি দিশারী মুখোপাধ্যায় ও-কণা আর আমি-কণা দিয়ে তৈরি এই জগৎ। কোনো কোনো কণা বিশারদ ও-কণাকে সে-কণা, তুমি-কণাও বলে থাকে। ক্ষীর প্রস্তুতকারক, যুগে যুগে যাদের কবি বলা হয়, যারা ওর রূপ বর্ণনার জন্য বিশেষণ খুঁজতে খুঁজতে ওম পর্যন্ত গেছে বারবার, তারা ওর বিমূঢ় প্রেমিক কেবল। ওজস্বিনী ওই ও-কণার উপর একটা হাল্কা ওড়না থাকে পৃথিবীর যাবতীয় আমি-কণাকে সংযত রাখার জন্য। সে আবরণ সরালেই বিগ-ব্যাঙ অনিবার্য হয়। ঔদার্য দিশারী মুখোপাধ্যায় ঔপন্যাসিকরা তাঁদের গল্পে (আমার চরিত্র এতটাই হীন) চরিত্রহীনের চরিত্রেও আমাকে নেননি। সেই…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on দিশারী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা
ব্রতীন বসুর কবিতা

ফুল সেও দেয় ব্রতীন বসু ফুল সেও দেয় যে অবহেলিত শুধু তার গতি নিজের মত। আমাদের বারান্দার এক কোণে রাখা ভাঙা টবের গাছটার মত কখনো দেখি তাকে অনেক দিন ভুলে যাই সে চলে তার নিজের ছন্দে। ফুল সেও দেয় যে অবহেলিত নয় শুধু তার সৌন্দর্য স্বাভাবিক, অবাক হই না ওকে দেখলে।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on ব্রতীন বসুর কবিতা
উমা মণ্ডলের কবিতা
উমা মণ্ডলের কবিতা

আমি সাদা পাতা ও শব্দ ঈশ্বরী উমা মণ্ডল ১ মহাশূন্যের সম্মুখে বসে থাকা হাত পেতে আঙুলের ঠোঁট বেয়ে উঠে আসা সদ্যজাত প্রিয় শব্দরূপ ভ্রূণ ছিল এইমাত্র, খুলে গেল মিশ্রকলাবৃত্ত অগোচরে। যদি বলো বেখায়ালে মেনে নেব ধানসিঁড়ি থেকে ওঠা বাঁশি চরম বিপদ রাধিকার জপ ছেড়ে সে আমার গোঠে সেইসব স্রোত অকস্মাৎ উল্টে-পাল্টে চক্র কুলকুণ্ডলিনী বেয়ে ঋতুকাল মোহগ্রস্ত বশীভূত পথিকের ন্যায় চলাফেরা সে কি আমার আত্মজ অন্ধকূপে বেড়ে ওঠা কালবৈশাখীর তাপ আগুনের ভাষা বড়ো ক্লান্ত এই বাস জলভরা মেঘ ফিরে দেখেনা,…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on উমা মণ্ডলের কবিতা
মলয় মজুমদারের কবিতা
মলয় মজুমদারের কবিতা

খোঁজ মলয় মজুমদার নধর দুপুরের রোদ, ছায়াহীন মেঘের আশেপাশে তোমাকেই খুঁজে ফেরে অনেক পুরুষ। ভাঙা, শব্দহীন আকাশের পাশে একা তুমি, তোমাকেই খুঁজি আমি ভিড়রাতে তোমার কালো ভরাট শরীর, নদীও তোমার কাছে হেরে গেছে কয়েক যুগ, তারপরই তো আমি এলাম, হেরে যাবার জন্যে প্রতিবারের মতো। তুমি দেখালে তোমার বাড়ির যাতায়াতের পথ, তোমার স্কুল, বালিকার ফ্রক দুটো গলি পার করলেই পাবো তোমার ঠিকানা। আজ আঠাশ বছর আট মাস তেরদিন, হারিয়ে ফেলা মোবাইলটা আর কথা শোনে না। কথা বলে না কাগজ পেন্সিল,…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on মলয় মজুমদারের কবিতা