দিশারী মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

ওলনদড়ি

দিশারী মুখোপাধ্যায়

ও-কণা আর আমি-কণা দিয়ে তৈরি এই জগৎ।
কোনো কোনো কণা বিশারদ ও-কণাকে
সে-কণা, তুমি-কণাও বলে থাকে।

ক্ষীর প্রস্তুতকারক, যুগে যুগে যাদের
কবি বলা হয়,
যারা ওর রূপ বর্ণনার জন্য
বিশেষণ খুঁজতে খুঁজতে ওম পর্যন্ত গেছে বারবার,
তারা ওর বিমূঢ় প্রেমিক কেবল।

ওজস্বিনী ওই ও-কণার উপর
একটা হাল্কা ওড়না থাকে
পৃথিবীর যাবতীয় আমি-কণাকে সংযত রাখার জন্য।
সে আবরণ সরালেই
বিগ-ব্যাঙ অনিবার্য হয়।

ঔদার্য

দিশারী মুখোপাধ্যায়

ঔপন্যাসিকরা তাঁদের গল্পে
(আমার চরিত্র এতটাই হীন)
চরিত্রহীনের চরিত্রেও আমাকে নেননি।

সেই পরাশরের ঔরসে আমার জন্ম নয়
লোকে যার ছেলেকে বেদব্যাস বলে চেনে।

আমি এক ঔচিত্যবোধহীন মানুষের
ঔজ্জ্বল্যহীন শুক্রাণু,
একটি ডিম্বাণুর ভালোবাসা না পেয়ে
ঔদ্ধত্য দিয়ে গড়ে উঠেছে যার
গড়ে না ওঠা গৌণ প্রণয়।

চীনের ওউ নদীকে আমি চিনি না আদৌ,
ওউও আমাকে।