প্রিয় পাঠক

# এটা SEPT-OCT 2025 সংখ্যা # পরবর্তী NOV-DEC 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে NOV মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী NOV-DEC 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে NOV মাসের ২০ তারিখ ।

শ্যাম্পেন – চেখভ
শ্যাম্পেন – চেখভ

শ্যাম্পেন     (ছোটোগল্প) চেখভ (রাশিয়ান গল্প, ইংরেজি থেকে অনুবাদঃ বিজয়া দেব)  যে সময় থেকে আমি গল্পটা শুরু করেছি, সেই সময়ে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের একটি ছোট রেলস্টেশনে আমার চাকরি ছিল। আমি সেখানে উল্লসিত ছিলাম না কি নিস্তেজ ছিলাম তা পাঠকবৃন্দ ধারণা করে নিতে পারবেন সেই বর্ণনা থেকে যে ঐ ছোট রেলস্টেশনের পনেরো মাইল পর্যন্ত কোনও লোকবসতি ছিল না, একটি মহিলাও ছিল না, একটা ভদ্রস্থ সরাইখানাও ছিল না, আর সেই সময়ে আমি ছিলাম শক্তিশালী, উষ্ণ মস্তিষ্কের, চঞ্চল এবং কিছুটা বোকা টাইপের। ওই…

Read More

পাকা ধানের ঘ্রাণ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
পাকা ধানের ঘ্রাণ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

পাকা ধানের ঘ্রাণ      (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য “গান টান চলবে না হে, হাত চালাও। আগে কাজ, তারপর সারারাত গান গাইবে।” জমির আলে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে নিধু সর্দার। সুখীর কাণ্ড দেখে রেগে ওঠে ভীষণ। সুখী হেসে বলে, “গান গাইছি বলে কি হাত থেমে আছে নাকি নিধুবাবু?” বলে গুনগুন করে সুর তোলে আবার। সুখীর সুর বর্ষার ছন্দে গা মেলায়। নিধু রেগে বলে, “আবার! বলেছি গান হবে না, তো হবে না। ব্যাস।” সুখী বলে, “দেখি নিধু সর্দার কি করতে পারো…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on পাকা ধানের ঘ্রাণ – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
সুধাময়ের টয়লেট – সদানন্দ সিংহ
সুধাময়ের  টয়লেট – সদানন্দ সিংহ

সুধাময়ের টয়লেট        (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ দু হাজার সতের সালে সুধাময় অক্ষয় কুমারের অভিনীত হিন্দি সিনেমা “টয়লেট এক প্রেমকথা” দেখে ভেবেছিল, বাব্বা টয়লেট নিয়েও একটা সিনেমা হয়! কিন্তু সেটা ছিল তার চিন্তাভাবনার একটা সূত্র। আর সেই সূত্রটা তাকে ক্রমাগত প্যাঁচিয়ে ধরেছিল। শুধু তাকে নয়, তার বৌ এবং ছেলেমেয়েদেরও প্যাঁচিয়ে ধরেছিল। তার বাড়িতে যে টয়লেট ছিল না তা নয়। অনেকদিন আগে মনে হয় বছর বিশেক আগে মিউনিসিপালিটি অফিস তাকে পাঁচশ টাকা ঋণ দিয়ে একটা সুলভ পায়খানা তৈরি করে…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on সুধাময়ের টয়লেট – সদানন্দ সিংহ
গন্ধ বদলে যায় – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
গন্ধ বদলে যায় – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

গন্ধ বদলে যায়        (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য “তপন দা, এইদিকে আসুন।” সামনে তাকায় তপন। রাস্তার ওপাশের প্রতীক্ষালয়ে বসে রয়েছে মৌসুমী। আজ মৌসুমীর সঙ্গে একই বাসে বর্ধমান ফিরবে তপন। তপনের সারাদিনের ইচ্ছেটা অধীর হয়ে ওঠে মুহূর্তে, ডানা ঝাপটায়। চারপাশের বাতাস ভরে ওঠে সুগন্ধে। ব্যস্ত-ইচ্ছে স্তিমিত করবার চেষ্টা করে তপন। রাস্তার এই পার থেকেই মৌসুমীকে একবার দেখে। মনে মনে ভয় পায় বেশ। অধীরতায় লাগাম টেনে তাকিয়ে দেখে চারপাশ, কারোর নজর তপনের উপর আছে কিনা। ‘কারও’ মানে অফিসের দত্তবাবু,…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on গন্ধ বদলে যায় – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
চাবাণ – সদানন্দ সিংহ
চাবাণ – সদানন্দ সিংহ

চাবাণ         (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ ভোরের শীতল হাওয়ায় পাখিরা কিচিড় কিচিড় হাসে। আর কমলাদের টিনের চালে ডানা ঝাপটায়। এ গ্রামের গাছগাছালি এবং ছোট ছোট বাঁশ কিংবা মাটির তৈরি বাড়িগুলির ওপর এখনো ভোরের রঙিন আকাশ দেখা যায়। খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা কমলার অভ্যেস। নিতিদিনের মত সে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা খুলতেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। সে দেখে উঠোনের মাঝ বরাবর কিছু জবাফুল এবং আরো কীসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি কাছে গিয়ে সে দেখে সিঁদুর দিয়ে…

Read More

দাতা – সুদীপ ঘোষাল
দাতা – সুদীপ ঘোষাল

দাতা           (ছোটোগল্প) সুদীপ ঘোষাল মাধব সকালে উঠেই পুরোনো দিনের কথা ভাবতে ভাবতে দোকানের পাশের ছেলেটাকে বলছে, পোষোলা করতাম পৌষ মাসে। অজয় নদী যেখানে ‘এস’এর বাঁক নিয়েছে ইংরেজি অক্ষরের মতো, সেখানে বন্ধুবান্ধবী একসাথে পোষোলা করতে যেতাম শীতকালে পৌষ মাসে। নদীতে চান করতাম। বাড়িতে নিষেধের বেড়া। বাঁধা গরু ছাড়া পেলে যখন পাগলের মতো ছুটে ছুটে বেড়ায় স্বাধীনতার আনন্দে, ঠিক তেমনই আমরাও কী করবো ভেবে পেতাম না। শুধু খেলা, ছোটা আর উল্টোপাল্টা চিৎকার চেঁচামেচিতে নদী উচ্ছল হতো। প্রতিধ্বনি…

Read More

পলাশ ফুলে পিরিত শুরু – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
পলাশ ফুলে পিরিত শুরু – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

পলাশ ফুলে পিরিত শুরু       (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য (প্রয়াত কবি অরুণ চক্রবর্তী: শ্রদ্ধার্ঘ্য) “চলে এলাম দিগন্ত।” ডাকটা কানে বাজে। মনটা ভীষণ খারাপ আমার। প্রত্যেক বছর দোল পূর্ণিমার আগের দিন চলে আসতো এখানে, আমার কাছে। “চলে এলাম দিগন্ত” বলে পা রাখতো আমার হোম স্টেতে।” আসুন আসুন দাদা। শরীর…” বলে পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিতাম। জড়িয়ে ধরত বুকে, যেনো কত আপনার জনকে সাদরে কাছে টেনে নিয়েছে। হাতে দিত একটা চকলেট। ধরো। এমন ভাবেই আসা ছিল মানুষটার, প্রতিবার। বছরের পর…

Read More

চেয়ার – গুলশন ঘোষ
চেয়ার – গুলশন ঘোষ

চেয়ার                 (ছোটোগল্প) গুলশন ঘোষ বাড়ি থেকে বার হবে তখনই টিকটিকি ডেকে উঠল। দাঁড়িয়ে পড়লেন সদাশিববাবু। একটা শালিখের চিৎকারধ্বনি তাঁর কানে এলো। শালিক পাখিটা ডানা ফুলিয়ে কিছুটা নীচু দিয়ে উড়ছে। মোটর বাইক দাঁড় করিয়ে এগিয়ে গেলেন সদাশিববাবু। গিয়ে দেখেন একটা গোখরো সাপ। সদাশিববাবু খুব বেশি বিচলিত হলেন না। তিনি শান্ত প্রকৃতির মানুষ। ধীর স্থির তাঁর কথা বলা। চাল চলন। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সাপটার গতিবিধি লক্ষ করে একটা লাঠি আনতে গেলেন। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে…

Read More

ড্যামো – সদানন্দ সিংহ
ড্যামো – সদানন্দ সিংহ

ড্যামো                   (ছোটোগল্প) সদানন্দ সিংহ (আখ্যানের বিকেল আয়োজিত গল্প উৎসব ২০২৫-এ পঠিত) সুখীলালের নাকি ড্যামো হয়েছে। সরস্বতী বলেছে অনেকবার। সে বলেছে, “তোমার কোন ব্যামো হয়নি; তোমার হয়েছে ড্যামো।” সুখীলাল সেকথা মানে না। তার তো মনে হয়, তার বুঝি কোনো ব্যামোই হয়েছে, যে ব্যামোর হদিস হয়তো কোনো ডাক্তারের কাছে নেই। তবে সুখীলাল জানে তার সারা আকাশ জুড়ে ইদানীং সচেতন, অচেতন এবং অবচেতন মনের এক খেলা চলে। অচেতন এবং অবচেতন মন হঠাৎ সচেতন হয়ে বেরিয়ে আসে সবার সামনে, সচেতন মন চলে যায়…

Read More

সপ্তাহের শেষ শনিবার – বিজয়া দেব
সপ্তাহের শেষ শনিবার – বিজয়া দেব

সপ্তাহের শেষ শনিবার    (ছোটোগল্প) বিজয়া দেব সকালবেলায় সূর্য যখন প্রথম উঠছে, আলোর রশ্মি বিচ্ছুরিত হচ্ছে, যখন দু’চারটে পাখি কিচিরমিচির করে প্রকৃতিকে বিকশিত করছে, তখন আহত মনে কুবলয় পাশ ফিরে ঘুমন্ত সন্তানকে দেখে। শিশু আর প্রকৃতি বড় কাছাকাছি। একে অপরের হাত ধরে আছে। সে জানে না তার বাবা আজ থেকে তার অপদার্থ বাবাতে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই কাফকার মেটামরফোসিসের বিশাল পোকায় রূপান্তরিত হয়েছে সে। হঠাৎ করেই তার সন্তানকে সুস্থিরভাবে বড় করে তোলার সামর্থ্য হারিয়েছে। সে তার চাকরি থেকে ছাঁটাই হয়েছে,…

Read More