প্রিয় পাঠক

# এটা March-April 2024 সংখ্যা # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী May-June 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মে মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

লাইন – সদানন্দ সিংহ

লাইন         (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ যেতে যেতে হরপ্রসাদের সাইকেলটা ব্রাস্ট মেরে দিল। সামনে-পিছে দু’কিলোমিটারের মধ্যে কোনো সাইকেল-রিক্সা সারাইয়ের দোকান নেই। অতএব কী আর করে সে। সাইকেল ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকে। এমনিতেই তার অনেক দেরী হয়ে গেছে। ঘন্টা খানেক পর সে এক সাইকেল-রিক্সা সারাইয়ের দোকান দেখল। সেখানে একজন লোক এক রিক্সার ব্রেক ঠিক করছে। সামনে আরো কয়েকটা রিক্সা দাঁড়ানো। সাইকেলটাকে দাঁড় করিয়ে সে লোকটিকে বলল, ভাই আমার সাইকেলের পেছনের টিউবটা সারাই করে দেবে? লোকটা হরপ্রসাদকে একনজর দেখে বলল,…

Read More

জন্মচিহ্ন – ব্রতীন বসু

জন্মচিহ্ন    (অনুগল্প) ব্রতীন বসু লোকটা হঠাৎ করেই ভুলে গেল তার ধর্ম। তিন কুলে কেউ নেই, বাবা মা অনেক আগেই গত হয়েছেন, এক পিসতুত সদ্য বিধবা বোন ছিল, সেও গতকাল বাচ্ছা প্রসব করতে গিয়ে মারা গেছে। বোন থাকতো ভাড়া এক ফ্ল্যাটে। ওর স্বামী রেলে কাজ করত, কি এক ইউনিয়নের মারপিটের মধ্যে জড়িয়ে খুন হয়। লোকটা যখনই ওর বোনের কাছে যেত একটাই প্রশ্ন করত ওর বোন, তুই বল আমার বাচ্ছাটাকে কি ভাবে মানুষ করব? চিন্তা করিস না। আমি তো আছি।…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on জন্মচিহ্ন – ব্রতীন বসু
কবি – সুদীপ ঘোষাল

কবি      (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল যে ছেলেটা পূর্ণিমা পুকুরের জ্যোৎস্নায় ভিজে চাঁদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতো সে চাঁদ ছুঁতে পারেনি। সমস্ত যোগ্যতার ফানুস সে উড়িয়ে দিয়েছিলো ঘাসের শিশিরে, বাতসের খেলায়। হেলায় সে হয়েছিলো ফাঁকা মাঠের রাজা। আলপথের মাটির গন্ধে তার যোগ্য সম্মানের ঘ্রাণ নিতো প্রাণভরে। সমস্ত চাওয়া পাওয়ার বাইরে অনুভূতির জগতে তার আসা যাওয়া। বন্ধু বলতো, তোর ধনী হতে ইচ্ছে হয় না?ছেলেটি বলে, তার আপন জগতে সে শুধু রাজা নয়, সম্রাট। তাই সে অবহেলায় যাপন করতো সাধারণ জীবন। সে…

Read More

বায়না – সদানন্দ সিংহ

বায়না      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ অরুণ তার জামাইবাবুদের গ্রামের বাজারে ব্যান্ডপার্টির লোকজনদের খোঁজ করছিল। শেষে সে খোঁজ পেল। জামাইবাবুর নাম করে বলল চারদিন পরে জামাইবাবুর মেয়ের বিয়ে হবে, তাই ব্যান্ডপার্টির বায়না করতে এসেছে। ব্যান্ডপার্টির লোকেরা খুব খুশি, ইদানীং তাদের ব্যবসাটা মন্দ যাচ্ছিল। ব্যান্ডপার্টির লোকজন আবার তার জামাইবাবুকে ভালোই চেনে তাই রাজি হয়ে গেল পনের হাজার টাকায়। বায়নার টাকা দিতে পকেটে হাত ঢুকিয়েই সুজন জিভে কামড় দিয়ে বলল, “ইস, টাকার ব্যাগটা ঘরে ফেলে এসেছি। এক কাজ করুন। জামিন হিসেবে…

Read More

টোকা – ব্রতীন বসু

টোকা       (অনুগল্প) ব্রতীন বসু বলতে পারেন, একটা দরজায় সারা জীবনে ক’টা টোকা পড়ে ? ক’টা খোলে আর বন্ধ থাকে ক’টা? এটা বলা মুশকিল, নির্ভর করছে কার দরজা এটা প্রয়োজন কার যে টোকা দিচ্ছে না যে ভেতরে আছে। আচ্ছা ধরুন, কেউ টোকা দিয়ে বলল, আমি আপনাকে খুন করতে চাই, দরজাটা খুলবেন প্লিজ, কেউ কি খুলবে? নিশ্চয়, যদি সে আত্মহত্যা করবে মনস্থ করে থাকে কিন্তু বিষ বা দড়ি কোনোটাই হাতের কাছে না থাকে। আর যদি আমি বলি, আপনাকে এক…

Read More

বিশ্বজিতের স্বপ্ন – সদানন্দ সিংহ

বিশ্বজিতের স্বপ্ন        (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ আর মাত্র কিছু পোঁচ। বড় জোর আধ ঘন্টার কাজ। কাজ শেষ হলেই সে মানে বিশ্বজিৎ বাড়ি চলে যাবে সন্ধ্যের আগেই। ইচ্ছে আছে বাড়ি গিয়ে ছেলে-মেয়ে-বৌকে নিয়ে ওরা চারজনে হেরিটেজ পার্কে একটু সময় কাটাবে। তাই তাড়াতাড়ি হাত চালায় সে। এবং অনুমান মতো আধা ঘন্টার আগেই হাতের কাজ শেষ হয়ে যায়। বিশ্বজিৎ রংমিস্ত্রি। সাতদিন ধরে সে এখানে এই ফ্ল্যাটবাড়ির এক ঘরের দেয়াল রং করছে। আজ কাজ শেষ করে সে সব কিছু গুছিয়ে রেখে…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on বিশ্বজিতের স্বপ্ন – সদানন্দ সিংহ
বাস্তব কিংবা অবাস্তব – অঞ্জলি দে

বাস্তব কিংবা অবাস্তব   (অনুগল্প) অঞ্জলি দে রোজ সকালে সকলের গেটের কলিং বেল টিপে ছেলেটা ঘুম থেকে ওঠায়। ঘাস, পাতা, ফুল ও মালা দিয়ে যায়। রাস্তায় ও গাইতে গাইতে গাইতে যায়, “জয় মাতা দি! জয় মাতা দি! জয় মাতা দি! …..”। যারা ও আসার আগেই ভোরে উঠে সংসারের কাজ করে, তারা ওকে অনেকসময় ডেকে বসিয়ে আবার চাও খাওয়ায়। শুধু যে ও ফুলওলা তা কিন্তু নয়। ফুল দেওয়া হয়ে গেলে ও আবার পাড়ায় ঘুরে ঘুরে ঘুরে গাড়ি পরিষ্কার করে। সকাল থেকেই…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on বাস্তব কিংবা অবাস্তব – অঞ্জলি দে
বসন্তসময় – সুদীপ ঘোষাল

বসন্তসময়         (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল চণ্ডীদাসের মত ছিপ ফেলে বিপিন মাছ ধরা দেখছে ফাতনার কথা ভুলে। বাউরিবৌ গুগলি আর ঝিনুক ধরছে জলের তলা থেকে। তার সুডৌল স্তন ঝুঁকে পরেছে জল ছুঁয়ে। জল কখনও সখনও রসে ডুবিয়ে দিচ্ছে যুবতি হৃদয়। বিপিন দেখছে ভিজে নিতম্ব ফুটে উঠেছে খাজুরাহের ছবির মত। বিপিন ভাবছে ঝিনুক, গুগলির জীবন — বাউরিবৌকে স্বামী সোহাগী করে তুলেছে কোমল দেহসৌষ্ঠবের মাধ্যমে। পুকুরের পাড়ে গাছ গাছালির স্নেহচ্ছায়া। এই দুপুর হয়ে উঠেছে বসন্তমায়া। কোন এক অদৃশ্য মায়ায় বৌ…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on বসন্তসময় – সুদীপ ঘোষাল
ফারাক – সদানন্দ সিংহ

ফারাক   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ রাগিনী চারিদিকে ভগবানকে খুঁজে পায়। কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর। রাগিনীর স্বামী অরিন্দম আবার তর্কে সবসময় এগিয়ে, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। মাঝে মাঝে রাগিনীর সঙ্গে অরিন্দমের বেশ জোরালো তর্ক হয়। বলাই বাহুল্য, সে তর্কযুদ্ধে রাগিনী সবসময় হেরে যায়। রাগিনী একসময় রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায়, কিন্তু রাগে গোঁ গোঁ করে যায়। অগত্যা তখন অরিন্দমকেই কাছে গিয়ে নানা কায়দা করে রাগিনীর মান ভাঙাতে হয়। সারাবছর ঘরে একটা পূজাপাল্লি কিংবা ঘরের বাইরের কোনো মঠে দানধর্ম লেগেই থাকে…

Read More

সস্তা – সুদীপ ঘোষাল

সস্তা          (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল সরল দে একজন সরল মানুষ। সে সস্তায় জীবন ধারণ করার জন্য ফুটপাতের সস্তা পোশাক ব্যবহার করে। বাড়িতে এসে জামা পরতে গিয়ে দেখে সাইজে অনেক বড় হয়ে গেছে। আবার সস্তায় দর্জির দোকানে সেলাই করে ঠিক করে জামা। আবার জামা কাচাকাচি করার পরে ছোটো হয়ে যায়। সরল সস্তায় খাবার খোঁজে। মুরগীর রোগ হলে সস্তায় কিনে খায়। সস্তার শরীর সরলের, জোর কিন্তু বাড়ে। জমিতে ফসল ফলায়। খোলা আকাশের নিচে আনন্দে থাকে। সস্তায় তার জীবন…

Read More