
আড্ডা
সন্তোষ রায়
লেখা নেই।
না আছে অদ্ভুত শিরোনাম।
কথা আছে, কথা হয় —
চায়ের ধোঁয়ার মতো হেলেদুলে —
কিছু তত্ত্ব, কিছু পংক্তি, গরম-গরম পকোড়া,
কিছু ঠাট্টা, এককাপ চা — এই যা।
এতেই উত্তপ্ত হাওয়া
জমে ওঠে আড্ডা —
কেউ কাউকে দেখি না — জ্ঞানের মহিমা।
নিজেকে চিনি না, শূন্য ছেড়ে চলা।
বিপ্লব ঘটিয়ে আসি ঘন্টায় ঘন্টায়।
বিশু চা দাও
আর তিন প্লেট ডালের বড়া —
বামুন
সন্তোষ রায়
ঘরের কোণে ফটোটা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত হন — কত বড় লেখক হলে রাষ্ট্রপতি ডেকে নেন। কতদূর ছড়িয়েছে নাম!
উনাদের ভাবভঙ্গি দেখে আমি ফটো থেকে নামতে নামতে ভাবি — রাষ্ট্রপতি কি আমার নাম জানতেন? — না, নাম পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার কি জানতেন? — না, নাম পাঠিয়েছে ডিপার্টমেন্ট। ডিপার্টমেন্ট কি জানতেন? — না, নাম দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিসার। অফিসার কি জানতেন? — মোটেই না, অফিসের খোঁজাখুঁজি দেখে একজন দপ্তরি বলেছিলেন, আমার প্রতিবেশী একজন আছেন, একটু-আধটু লেখেন।
ততক্ষণে উঁচু জায়গায় রাখা ফটোটা থেকে আমি ফিরে এসেছি নিজের কাছে। পাশে দাঁড়ানো কলমটার গোড়া থেকে নিবের দিকে মাথা উঁচিয়ে বলি — তোমার সমান যদি আমায় করতে!