লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডলের কবিতা

স্বমেহনে বেদুইন বাজে
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

স্বীকার করছি গ্রীষ্মের ঝাঁঝালো গন্ধের সাথে কিছু ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার জন্য দায়ী আমি, যদিও নিভৃত ছিলাম – ভুল বানানের দিকে যেতে যেতে নার্ভের ব্যথার উপর বিষ আঙুল চেপে তাকিয়ে ছিলাম রাধাচূড়ার দিকে, তবু প্রতিটি সন্ধিক্ষণে অস্থি আর লিগামেন্ট স্বমেহনে বেদুইন বাজে –

তুমি কী চেয়েছিলে – উঁকি দেওয়া দিবাকরের রং মিশে যাক অপেক্ষারত পাখিটির বুকে – অন্ধ করো নীহারের নিঃশব্দ পতন – ময়নাতদন্ত নিয়ে অদূর অন্দরে শেয়াল ডাকে

নীল ভাঁটফুল

লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল

চুপচাপ বসে থাকার উপর শিমুল ছায়া মাড়িয়ে স্পিড ভ্যান চলে যায় সম্মোহনে, হঠাৎই নীল ভাঁটফুলের অবসেশন অসমাপ্ত রেখে কাপালিক হয়ে ওঠে হাওয়া – দূরে বহুদূরে আরো উচ্চ বৃক্ষশীর্ষে ছিঁড়ে যাওয়া ঘুড়ি রক্তাক্ত হতে হতে শিখে নেয় বেডসোরের যন্ত্রণা

তখন শ্বাসরুদ্ধ দুপুর – সমস্ত নাট্যচিত্রের রং ফ্যাকাসে হতে হতে খই ওড়ে সভ্যতার ব্যাকরণে – তুমি দাঁড়িয়ে আছো সড়ক পথের চিকিৎসা হয়ে; আমার মাথার ভিতর কাঁটাঝোপ – মাইলস্টোন আঁকতে আঁকতে মুখ থুবড়ে হেরে যাচ্ছি নদীমাতৃক চরকথা