আমার পৃথিবী – শুভেশ চৌধুরী

আমার পৃথিবী

শুভেশ চৌধুরী

মা, পিতা নন। কারণ তার embriyo আছে। মানে গর্ভ থলি আছে যাহা হইতে অনন্ত পুষ্প (species) জন্ম নিচ্ছেন।

আজ একটি খবর শুনতে পেলাম। বৈজ্ঞানিক গবেষণার যেখানে বলা হয়েছে পুরুষেরও গর্ভথলি থাকার সম্ভাবনা আছে যেখানে ডিম্বাণু থাকতে পারে শুক্রাণু ছাড়াও। যদিও এটি গবেষণার বিষয় এখন।

তাহলে সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্ররা পিতা ও মাতা, একই সাথে দিনরাত ও যুগপৎ আমাদের পিতামাতা। আমি আজকাল লিঙ্গের ভেদ করতে পারি না। আমার পূর্ব অভিজ্ঞতার পঠনের শিক্ষা ভেঙে যাচ্ছে। কে যে মাতা কে যে পিতা বুঝতে পারছি না আজকাল। ছোটবেলা মাতা গত হবার পর পিতা মৃত্যু অবধি আমাদের মাতার ভূমিকা পালন করেন।

আমি তাকাইয়া থাকি আকাশের দিকে, বিপন্নতা বোধ করিলে দেখি মাটির আমি কত কাছাকাছি। তাহারা যে পিতা মাতা ঈশ্বর ও দেবী এই বোধ আমার ভিতর সঞ্চারিত হয়।


মায়ের দিকে নারীর দিকে খুব একটা লোভ নিয়ে তাকাতে পারি না। চোখে অগ্নিশলাকা বিদ্ধ হয়।


দেখবে আগুন ! নরক ? নারীর দিকে অবমাননার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থেকো না। কামনার আগুনে পুড়ে মারা যাও, তথাপিও নয়। মনুর কথাটিও মনে হয় কিন্তু আমার কাছে মনে হয় স্বয়মাগত হলেও নয়। সম্পর্কের বৈধতা স্বীকার করিও। এবং বৈধ সঙ্গম ছাড়া মুক্ত হন না সন্ন্যাসী বা গৃহী।

জীবনে অনেক ভুল করেছি। ভুল করি। তবুও প্রতিদিন এক শুদ্ধ হবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সাহায্য নেই চিকিৎসকের ঔষধের পরিবার পরিজনের আমার নিজেরও।