প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2025 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2026 সংখ্যা প্রকাশিত হবে JAN মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2026 সংখ্যা প্রকাশিত হবে JAN মাসের ২০ তারিখ ।

অচেনা মুখ – সদানন্দ সিংহ
অচেনা মুখ – সদানন্দ সিংহ

অচেনা মুখ        (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ বিকেলবেলা। আমার অর্ধাঙ্গিনী ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে চেঁচাল, বাজারে যাচ্ছি, ঘরে শাকসবজি কিছুই নেই। দরজাটা টেনে যাচ্ছি, তুমি ছিটকিনি মেরে দিও। আমিও ভেতর থেকে চেঁচালাম, ঠিক আছে। দিচ্ছি। দিচ্ছি বললাম বটে, কিন্তু বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। একটু ঘুমও পাচ্ছে। তাছাড়া উঠে, লিভিং রুম থেকে বেরিয়ে ড্রয়িং রুম পেরিয়ে দরজার ছিটকিনি লাগাতে আমার এখন একটু কসরত করতে হবে। তিন সপ্তাহ আগে আমার ডান পা এক দুর্ঘটনায় ফ্র্যাকচার হয়ে গেছিল।…

Read More

উৎস – সদানন্দ সিংহ
উৎস – সদানন্দ সিংহ

উৎস          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ এখন সকালবেলা। অনেকদিন পর অম্লান বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় নেমে এক চেয়ারে বসে আছে। দশ দিন ধরে একটানা জ্বর-কাশির পর গতকাল থেকে সে ভালোই। আজ তাই দুর্বল শরীরে বারান্দায় চেয়ারে বসে আকাশের দিকে চেয়ে আছে। বাড়িতে এখন কেউ নেই। কিছুক্ষণ আগে অম্লানের স্ত্রী সরলা শাক-সবজি-মাছ কেনার জন্য বাজারের দিকে গেছে। ঠিক এইসময় অম্লান টের পায় বারান্দার লোহার গ্রিলের দরজা ক্যাঁচ করে খুলে কে যেন বারান্দায় ঢুকে পড়েছে। সে দেখে, লাল শালু…

Read More

টাইট – সদানন্দ সিংহ
টাইট – সদানন্দ সিংহ

টাইট         (অণুগল্প) সদানন্দ সিংহ আজ রবিবার। ছুটির দিন। সন্ধ্যেবেলায় নিমন্ত্রণ রক্ষায় সতীনাথের বাড়িতে লোকনাথ সস্ত্রীক উপস্থিত। চায়ের প্রথম নিমন্ত্রণ। লোকনাথদের সাথে পাঁচ-ছ বছরের ছেলে অনল। এসেই অনল তার কাজকর্ম শুরু করে দিল। প্রথমেই সে টেবিলের ওপর রাখা ফুলদানিটা মেঝেতে নামিয়ে ফুলদানিতে রাখা প্লাস্টিকের ফুলগুলি মেঝের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিল। তারপর ফুলগুলিকে এদিক ওদিক ছুঁড়ে মারতে লাগল। লোকনাথ ছেলের দিকে চেয়ে বলল, দেখেছেন সতীনাথবাবু, ছেলেটা কী দুষ্টু হয়েছে। লোকনাথের স্ত্রী ছেলের দিকে চেয়ে বলল, অনলবাবা, এভাবে করে…

Read More

জগাম্মা এবং তার ভূতপ্রেত – সদানন্দ সিংহ
জগাম্মা এবং তার ভূতপ্রেত – সদানন্দ সিংহ

জগাম্মা এবং তার ভূতপ্রেত     (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ জগার আম্মা অর্থাৎ জগাম্মার জগত জুড়ে ভূত-প্রেতের রাজত্ব। তিনকুলে তার কেউ নেই বললেই চলে। বিধবা জগাম্মার একমাত্র পুত্র কুড়ি বছরের জগা কুড়ি বছর আগে গ্রামের এক বামুন মেয়েকে নিয়ে সেই যে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছিল, তারপর থেকে তার আর কোনো খবর এখনো নেই। জগাম্মার নিজের একটুকু জমির মধ্যেই সে পানচাষ করে। নিজের জমি থেকে পানপাতা তুলে সে গ্রামের বাজারে বাজারে বিক্রি করে। এতে তার দিন মোটামুটি চলে যায়। ঘরের কাছেই তার…

Read More

দম্পতি – স্বাতী ধর
দম্পতি – স্বাতী ধর

দম্পতি             (অনুগল্প) স্বাতী ধর রথীন বলে, ধীরে বন্ধু ধীরে।রথীন ধীরে ধীরে প্রথম মোড়কটা খুলে ফেলে। অনামিকা দেখে, ভেতর থেকে বেরিয়েছে একটা প্যাকেট। রথীন সেই প্যাকেটটাকে হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখে বলে, এর ভেতরেই থাকবে কোনো জিনিস।আজ ক্যুরিয়র মারফত এই প্যাকেটটা অনামিকা বিকেলে পেয়েছে। প্রথমে সে ভেবেছে এটা বুঝি অনলাইনে করা রথীনেরই কোনো অর্ডার। অনলাইনে কেনা সমস্ত জিনিসই অনামিকার নামে আসে, কারণ ওই সময়টায় রথীন অফিসে থাকে। রথীন অফিস থেকে ফিরলে সাধারণত ক্যুরিয়ারের দেওয়া প্যাকেটগুলি…

Read More

জেরা – সদানন্দ সিংহ
জেরা – সদানন্দ সিংহ

জেরা             (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ মনীষা বলল, জানো, আজ ধীরেনবাবুর মেজো ছেলেটাকে রাস্তায় দেখলাম কোট-বুট-টাই পরে গটগট করে হেঁটে যাচ্ছে। অফিস থেকে ফেরার পর রঞ্জন আর মনীষা চা নিয়ে বসেছিল নিত্যদিনের মত। মনীষা হাউস ওয়াইফ। রঞ্জন অফিস থেকে ফিরে এলেই মনীষার বিভিন্ন সংবাদ বর্ষণ শুরু হয়। আজও তাই হচ্ছিল। রঞ্জন চায়ে এক চুমুক দিতে দিতে বলল, তো ? — শুনলাম, ছেলেটা নাকি মহারাষ্ট্রে এক বড় কোম্পানিতে মোটা বেতনের চাকরি পেয়েছে। রঞ্জন উত্তর দেয়, ভালোই। মহারাষ্ট্রের…

Read More

চম্পাকলি আর ছোট্টুবুড়ি – সদানন্দ সিংহ
চম্পাকলি আর ছোট্টুবুড়ি – সদানন্দ সিংহ

চম্পাকলি আর ছোট্টুবুড়ি                      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ একটু বেশ ফ্যাসাদেই পড়ে গেছে চম্পাকলি। ছোট্টুবুড়ি তাকে বেশ ফ্যাসাদে ফেলেছে। ছোট্টুবুড়ি তাদের গ্রামেরই। ছোট্টুবুড়ি তার আসল নাম নয়। কিন্তু সবাই তাকে ছোট্টুবুড়ি বলেই ডাকে। ছোট্টুবুড়ি হচ্ছে ছোট্টুলালের মা। ছোট্টুবুড়ি একদিন এক বিকেলে চম্পাকলির কাছে এসেছিল। দশটা একশ টাকার নোট নিয়ে এসে বলেছিল, এই এক হাজার টাকাটা রাখো গো দিকিন। দু মাস পরে আমি ফেরত নে যাব। চম্পাকলি সরল মনে টাকাটা রেখে দিয়েছিল।…

Read More

অভাগী – স্বাতী ধর
অভাগী – স্বাতী ধর

অভাগী         (অনুগল্প) স্বাতী ধর বছর চারেক আগে শহরতলির এই জায়গায় বাড়ির সীমানায় সাজিনা গাছের কাছেই নিজেদের সুলভ পায়খানা বানিয়েছিল মদন। এর আগে তাদের ছিল কাঁচা পায়খানা। শহরতলির এইসব পুরোনো ঘরবাড়ির মাঝে এ্যাটাচড্ টয়লেট বানাবার মতো ইচ্ছে মদনের ছিল না। ঘর থেকে বেরিয়ে ত্রিশেক ফুট হেঁটে পায়খানায় যেতে হয়। এই পায়াখানা বানাবার এক বছরের মাথায় মদনের বাপ পায়খানায় গিয়ে স্ট্রোক করেছিল। তারপর হাসাপাতালে মারা গেছিল। তারপর তিন বছর পেরিয়ে গেছে। ব্যাপারটা সবাই ভুলতে বসেছে কালের নিয়মে। কিন্তু…

Read More

আবাল – সদানন্দ সিংহ
আবাল – সদানন্দ সিংহ

আবাল     (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিটিং বসেছে। রামকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। রামকুমার নাকি কথায় কথায় প্রায়সময়েই আবাল বলে গালিগালাজ করে থাকে গ্রামের পঞ্চায়েত মেম্বারদের। এই গতকালও সে পঞ্চায়েত মেম্বার অশ্বিনীকে আবাল বলে গালিগালাজ করেছে। তাই অশ্বিনী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে বিচার চেয়েছে। যার ফলেই আজকের এই পঞ্চায়েতের মিটিং। রামকুমারকেও আজকের এই মিটিং-এ উপস্থিত থাকার জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সব মেম্বারগণও এসে গেছে। কিন্তু রামকুমারের পাত্তা নেই এখনো। অশ্বিনী গাঁওপ্রধানকে বলে, দেখছেন তো, ও কেমন বেয়াদপ; আমরা…

Read More

সমীকরণ A+B-C – সদানন্দ সিংহ
সমীকরণ A+B-C – সদানন্দ সিংহ

সমীকরণ A+B+C     (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ ভোলাবাবু এবং চিত্তবাবু দু’জন দু প্রান্ত থেকে আসছিলেন। কাছে এলে মুখোমুখি দু’জনের দেখা হয়ে গেল। আসলে ভোলাবাবুর পড়শি চিত্তবাবু কিংবা বলা যায় চিত্তবাবুর পড়শি ভোলাবাবু। দু’জনেই একসময় সরকারি চাকরি করতেন, এখন রিটায়ার্ড। প্রায়সময়েই দু’জনের মধ্যে দেখা হলে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-সালাপ হয়। আজও হল। ভোলাবাবু বললেন, কেমন আছেন ? শরীর-টরীর ভালো তো ? চিত্তবাবু উত্তর দিলেন, এ ক’দিন যা গরম পড়েছে। বৃষ্টি হলেই বাঁচি। ভোলাবাবু হাসলেন, অবশ্য আমাদের এখন ভালো থাকারও উপায় নেই। দিনে…

Read More