প্রিয় পাঠক

# এটা SEP-OCT 2024 সংখ্যা # পরবর্তী NOV-DEC 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে নভেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ Google Play Store থেকে ডাউনলোড করুন # পরবর্তী NOV-DEC 2024 সংখ্যা প্রকাশিত হবে নভেম্বর মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে।

সমীকরণ A+B-C – সদানন্দ সিংহ
সমীকরণ A+B-C – সদানন্দ সিংহ

সমীকরণ A+B-C     (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ ভোলাবাবু এবং চিত্তবাবু দু’জন দু প্রান্ত থেকে আসছিলেন। কাছে এলে মুখোমুখি দু’জনের দেখা হয়ে গেল। আসলে ভোলাবাবুর পড়শি চিত্তবাবু কিংবা বলা যায় চিত্তবাবুর পড়শি ভোলাবাবু। দু’জনেই একসময় সরকারি চাকরি করতেন, এখন রিটায়ার্ড। প্রায়সময়েই দু’জনের মধ্যে দেখা হলে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-সালাপ হয়। আজও হল। ভোলাবাবু বললেন, কেমন আছেন ? শরীর-টরীর ভালো তো ? চিত্তবাবু উত্তর দিলেন, এ ক’দিন যা গরম পড়েছে। বৃষ্টি হলেই বাঁচি। ভোলাবাবু হাসলেন, অবশ্য আমাদের এখন ভালো থাকারও উপায় নেই। দিনে…

Read More

কংস দেববর্মার বাপ – সদানন্দ সিংহ
কংস দেববর্মার বাপ – সদানন্দ সিংহ

কংস দেববর্মার বাপ   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ লোকটার নাম জাপান দেববর্মা। সবাই তাকে জাপান বলেই ডাকে। গাঁও পঞ্চায়েতের একজন মেম্বারও বটে। আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপান নামের এক খ্যাতি তৈরি হয়েছিল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পরও জাপান নামের প্রতি একটা ভালো লাগা থেকে গিয়েছিল বলে জাপানের বাবা ছেলের নাম রেখেছিল জাপান দেববর্মা। নিজের নাম নিয়ে কোনোদিনই ভাবেনি জাপান। তার ছিল যাত্রাপালার প্রতি টান। শীতের সময় ফসল কাটা হয়ে গেলে প্রতি বছর তাদের গ্রাম থেকে দু…

Read More

অমিতাভের বন্ধু – সদানন্দ সিংহ
অমিতাভের বন্ধু – সদানন্দ সিংহ

অমিতাভের বন্ধু        (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ গিন্নির শাকসবজির ফর্দ নিয়ে আমি বাজারের দিকে হেঁটেই যাচ্ছিলাম। এই সময় সিকিউরিটি গার্ডের পোশাক পরা একজন বৃদ্ধলোক আমার সামনে এসে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, কি রে, আমাকে চিনতে পারছিস? আমি একটু ভাল করে লক্ষ্য করলাম। চিনতে পারলাম, শ্যামলদা। শ্যামলদা লোকটা প্রথমে খারাপ ছিল না। হয়তো গরীব ছিল। সিনেমা হলে টিকিট চেকারের কাজ করত। তখন আমাদের শহরের তিনটে বড় সিনেমা হল ছিল এবং শহরতলিতে ছোটো ছোটো বেশ কিছু সিনেমা হল…

Read More

বায়না – সদানন্দ সিংহ
বায়না – সদানন্দ সিংহ

বায়না      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ অরুণ তার জামাইবাবুদের গ্রামের বাজারে ব্যান্ডপার্টির লোকজনদের খোঁজ করছিল। শেষে সে খোঁজ পেল। জামাইবাবুর নাম করে বলল চারদিন পরে জামাইবাবুর মেয়ের বিয়ে হবে, তাই ব্যান্ডপার্টির বায়না করতে এসেছে। ব্যান্ডপার্টির লোকেরা খুব খুশি, ইদানীং তাদের ব্যবসাটা মন্দ যাচ্ছিল। ব্যান্ডপার্টির লোকজন আবার তার জামাইবাবুকে ভালোই চেনে তাই রাজি হয়ে গেল পনের হাজার টাকায়। বায়নার টাকা দিতে পকেটে হাত ঢুকিয়েই সুজন জিভে কামড় দিয়ে বলল, “ইস, টাকার ব্যাগটা ঘরে ফেলে এসেছি। এক কাজ করুন। জামিন হিসেবে…

Read More

লাইন – সদানন্দ সিংহ
লাইন – সদানন্দ সিংহ

লাইন         (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ যেতে যেতে হরপ্রসাদের সাইকেলটা ব্রাস্ট মেরে দিল। সামনে-পিছে দু’কিলোমিটারের মধ্যে কোনো সাইকেল-রিক্সা সারাইয়ের দোকান নেই। অতএব কী আর করে সে। সাইকেল ঠেলে এগিয়ে যেতে থাকে। এমনিতেই তার অনেক দেরী হয়ে গেছে। ঘন্টা খানেক পর সে এক সাইকেল-রিক্সা সারাইয়ের দোকান দেখল। সেখানে একজন লোক এক রিক্সার ব্রেক ঠিক করছে। সামনে আরো কয়েকটা রিক্সা দাঁড়ানো। সাইকেলটাকে দাঁড় করিয়ে সে লোকটিকে বলল, ভাই আমার সাইকেলের পেছনের টিউবটা সারাই করে দেবে? লোকটা হরপ্রসাদকে একনজর দেখে বলল,…

Read More

বিশ্বজিতের স্বপ্ন – সদানন্দ সিংহ
বিশ্বজিতের স্বপ্ন – সদানন্দ সিংহ

বিশ্বজিতের স্বপ্ন        (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ আর মাত্র কিছু পোঁচ। বড় জোর আধ ঘন্টার কাজ। কাজ শেষ হলেই সে মানে বিশ্বজিৎ বাড়ি চলে যাবে সন্ধ্যের আগেই। ইচ্ছে আছে বাড়ি গিয়ে ছেলে-মেয়ে-বৌকে নিয়ে ওরা চারজনে হেরিটেজ পার্কে একটু সময় কাটাবে। তাই তাড়াতাড়ি হাত চালায় সে। এবং অনুমান মতো আধা ঘন্টার আগেই হাতের কাজ শেষ হয়ে যায়। বিশ্বজিৎ রংমিস্ত্রি। সাতদিন ধরে সে এখানে এই ফ্ল্যাটবাড়ির এক ঘরের দেয়াল রং করছে। আজ কাজ শেষ করে সে সব কিছু গুছিয়ে রেখে…

Read More

ফারাক – সদানন্দ সিংহ
ফারাক – সদানন্দ সিংহ

ফারাক   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ রাগিনী চারিদিকে ভগবানকে খুঁজে পায়। কথায় বলে, বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর। রাগিনীর স্বামী অরিন্দম আবার তর্কে সবসময় এগিয়ে, বিজ্ঞানে বিশ্বাসী। মাঝে মাঝে রাগিনীর সঙ্গে অরিন্দমের বেশ জোরালো তর্ক হয়। বলাই বাহুল্য, সে তর্কযুদ্ধে রাগিনী সবসময় হেরে যায়। রাগিনী একসময় রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে যায়, কিন্তু রাগে গোঁ গোঁ করে যায়। অগত্যা তখন অরিন্দমকেই কাছে গিয়ে নানা কায়দা করে রাগিনীর মান ভাঙাতে হয়। সারাবছর ঘরে একটা পূজাপাল্লি কিংবা ঘরের বাইরের কোনো মঠে দানধর্ম লেগেই থাকে…

Read More

পরি – সদানন্দ সিংহ
পরি – সদানন্দ সিংহ

পরি          (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দশ মাসে বছর হয় না। কিন্তু ছোট্টুবাবুর হয়ে যায়। ছোট্টুবাবুর অনেক কিছুই হয়ে যায়। দিনটাকে কখনো রাত কিংবা রাতকে কখনো দিন। চালচুলোহীন মানুষ সে, একা এক কুটিরে বসবাস করে। কোনো এক কালে ওর পূর্বপুরুষরা নাকি জমিদার ছিল। এখন সে কোনোদিন খায়, কোনোদিন খায় না। গভীর রাতের জ্যোৎস্না রাতে সে নাকি পরিও দেখে। শনিতলার বিশাল বট গাছের ঝুরি বেয়ে নাকি পরিরা নামে গভীর রাতে। ছোট্টুবাবু তক্কে তক্কে থাকে এক অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে,…

Read More

শনির দশা – সদানন্দ সিংহ
শনির দশা – সদানন্দ সিংহ

শনির দশা      (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ সাতসকালেই মোবাইল বেজে উঠল। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম, এক বন্ধু ফোন করেছে। বললাম, হ্যালো। ফোনের অপরপ্রান্ত বন্ধুর বিষণ্ণ গলা ভেসে এলো, ভাই আমার এখন শনির দশা চলছে। বললাম, তা শনিতলায় একটা নমো দিয়ে এসো। সব ঠিক হয়ে যাবে। বন্ধুটি বললো, না ভাই, এতো সহজে শনির দশা যায় না। এর জন্যে অনেক কিছুই করতে হয়। আচ্ছা, তুমি হরজিতের ঠিকানা, নাম্বার কিছু জান? হরজিৎ আমাদেরই কবিবন্ধু। একসময় সে নাকি এক ছোট্ট দোকান খুলে সেখানে…

Read More

দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ
দৃষ্টিবিভ্রম – সদানন্দ সিংহ

দৃষ্টিবিভ্রম    (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ দৃষ্টিবিভ্রম চতুরতাকেও ছাড়িয়ে যায়। হয়তো এভাবেই একটা মিথ তৈরি হয়। সে মিথের নির্যাসটুকু সত্যি কিনা মিথ্যা তার বাছবিচার করেনি। ধ্বনিলাল তাই স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দেখে প্রায়ই এক যুদ্ধক্ষেত্রের। সে বন্দুক হাতে একা এক যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দুকটা কীসের তৈরি তার কাছে অস্পষ্ট। সেটা কী দো নলা নাকি এ কে ফোরটি সেভেন কিংবা লাইট মেসিনগান সেসব উহ্য থাকে। তবু তার কাছে এসব স্বপ্ন ভালোই লাগে। এবার কিন্তু ধ্বনিলাল অন্যরকম একটা স্বপ্ন দেখল। সে দেখল জনারণ্যে…

Read More