সন্তোষ রায়ের কবিতা

সন্তোষ রায়ের কবিতা

সচেতন

সন্তোষ রায়

ভয় হয় বলে লিখি না কিছু।
যদি টেনশন বাড়ে,
যদি মাথা ঘোরায়, গা বমি বমি করে?
বি পি বেড়ে সংজ্ঞা হারাই?
যদি কোনোদিন আর উত্তর না পাই!
যদি ভেঙে যায় সব প্রেমের অক্ষর—
এত নিরর্থক বাক্য বয়ে কোথায় যাব বলো?

তার চেয়ে সব কথা চুপচাপ গিলে বসে থাকি।

বাঁশি বাজুক, ফুল ফুটুক
আমার হৃদয় কাটুক-না ইঁদুরে—

অচেনা অজানা

সন্তোষ রায়

লিখতে লিখতে রচনা করি— মৃতগাছ, কাঁটাবন।
বৃষ্টি নাই, বৃষ্টিও বুঝি পথ হারায়!
পতনের ভয় থাকে সবারই। যখন পড়ি-পড়ি তোমাকেই মনে করি, টেনে ধরি যা কিছু পাই।

লেখা-শব্দে কি আটকায় শরীর! শব্দে শব্দে কত ভুল! পথে পথে ভাঙাচুরা হাড্ডি ও পাঁজর।
কলম এড়িয়ে চলে সব, পাঠকও থেমে যায় অসমাপিকায়।

তুমি বলেছিলে — ভেতরের পথে এসো, এ পথেই আমার ঘর, বনজঙ্গল।
আমি যে দেখিনি ভেতর,
কলমে কলমে ঘুরি,‌ অক্ষর বানাই, অক্ষর গড়ি।
নিজেরই অজান্তে আমি কলম নির্ভর।
দেখি দেশকাল, জয়পরাজয়, দেখি বর্তমান, খুঁজি ভবিষ্যৎ।
আমাকে যে ডাকো তুমি, আমি শুনি না।
এক কলমে যেটুকু যাই, পথ ফুরালে ভাষা বদলাই,
তোমাকে পাবো বলে নিজেকে গড়ি না।
কবিতা হয় না বলে ইশারা বুঝি না —