হাতছানি
সনজিৎ বণিক
তোমার দিকে তাকাতেই
আকাশের নীরব দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে বলে ওঠে পেয়ে গেছি আজ নীরব স্পর্শ,
অনেক দিন দেখা নেই
সূর্যস্নাত শালিকের চোখ
গোলগাল হলুদ রঙের প্রলেপের পর বৃষ্টির পরশ মন জুড়িয়ে বড়ো কাব্যময়।
শালিক তো আজ তুমিই,
রোদ্দুরের রং মেখেছো ছিমছাম শরীরের পদাবলী চোখ ছুঁয়ে এঁকে যাচ্ছে একের পর আরেক ছবি, ভালোবাসার হাতছানি বারবার জাগিয়ে রাখে তোমার আঁখির রহস্য,
হাসিমুখে বাতাসের পরশ মেখে জাগিয়ে রাখো ভালোবাসার স্বপ্ন।
তোমার দিকে তাকালেই দেখি জ্বলজ্বলে মৌখিক আদল হাজার হাসির জোয়ারে জেগে ওঠে হৃদয়।
আর বনলতা সেনের স্নিগ্ধচোখ মাথা থেকে পা পর্যন্ত অন্ধকার অসুখ ডেকে কয় ভালোবাসি এই স্বপ্নময় আঁখি।
বোদলেয়ার
সনজিৎ বণিক
কবি তো বটেই
তারও বেশি কর্কশ খিটখিটে রাগী মানুষের আদলের ভেতর লুকিয়ে আছেন এক ঈশ্বর সারাদিন কথা নেই বার্তা নেই শুধু তাকিয়ে থাকেন আর যা দেখেন শরীর আর মনের মণিকোঠায় ডুব দিয়ে খনন করেন এ সময়ের ক্লেদ অস্থিরতা গোঁয়ারতুমি আর যাপনের গোপন লড়াই,
সব এঁকে রাখেন মস্তিষ্কে আর চোখের শিরা উপশিরায়।
আজ এরকম মানুষের বড়ো অভাব
আজ এরকম স্বভাবের খোঁজ নেই জগৎসভায়
অস্থির চিত্রের ভেতর এমন কোনো কালি নেই যা মুঠোয় মুঠোয় আমাদের ভেতরকার ক্লেদজ কুসুম উজ্জ্বল হয়ে বলে দেবে অস্থিরতার বাস্তব বাহারি ফুলের কথা।
এ সময়ে কবি তোমাকেই জরুরি তোমাকেই চাই এই ক্লান্ত পৃথিবীতে আবারো।