যদি ঘাস না জন্মায়
সুবীর ঘোষ
এত লোকের ভিড়ে কারোর মুখ দেখিনি
পাইনি কারোর নিঃশ্বাসের হাওয়ার ঝাপটা।
খুঁজে দেখতে গেছি কারোর কী মনখারাপ এই ভিড়ের মধ্যে
কেউ কী যা চেয়েছিল তা পেল না বলে
উঠে যাবে ভাবছিল!
এত হাওয়ার মধ্যেও শ্বাসকষ্ট ছিল
হাসি ছিল অনেক তবে সবই সাবেকি।
এ-ঘণ্টার হাসি সহকর্মীর সম্পর্কের মতো
সিঁড়িপথে জনজটের শিকার।
কেউ কী তখন ভেবেছিল একটা মস্ত গ্যাসবেলুনকে চেপে ধরলে
সবাই মিলে একটু হালকা হওয়া যাবে?
যারা চেনা নয় যারা দূরের অথচ কাছাকাছি আসতে চায়
তারা দুঃখ ভুলবার সব পথ ভুল করে এখানে এসেছে
অথচ এখানে যদি ঘাস না জন্মায় তবে ভূমিপুত্রেরা
শীতলতা আর কোথায় খুঁজবে!
যে মৃত্যু অন্ধকারের থেকে বড় নয়
সুবীর ঘোষ
ভিড়ের ভেতর থেকে তুমি আস্তে আস্তে সরে যাও, পথিকৃতা
তোমার প্রার্থনা শোনে অস্তরাগ
আর্ততাপ গোধূলি লেহন করে
যে মৃত্যু অন্ধকারের থেকে বড় নয়
যে আলো প্রথম থেকে অবসাদে ওঠে
তার কাছে শূন্যবিন্দু দুরাশা দুষ্কর
শূন্যাধার জলপাত্র খুঁজেই পায় না কোনো জলের ঠিকানা
অবসাদ মনের ভাবনা ভেবে
বড়মানুষের সঙ্গ নির্লোভ দেখায়
মানুষ কী চিন্তা করে, কাকে দেখে আশাদীর্ণ হয়
নীরব নিভৃত কোণে প্রহর হয়তো আসে একা
সাক্ষ্য দেয় না কারো, সপক্ষেও দেখায় না কোনো নথি
কালতব্যে যা বলবার বলা হয় দুঃসহ গোপনে
নির্জন প্রমোদ-ইশারায়।