হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

মানুষ

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

মানুষের মুখ আঁকতে হলে অন্ধকারে আঁকো
আলোতে অনেকটাই মুখোশ লেগে থাকে
লেগে থাকে প্রতিস্পর্ধার নিয়তি নিখুঁত, নিদারুণ
পেন্টিংয়ের ব্রাশ রঙ তুলি নিয়ে নিজে যদি মানুষের
সামনে না যেতে পারো স্বপ্নের মধ্যে আঁকো
উফ্ কী অবস্থা! ঝড়ে জলে ভেসে যাচ্ছে মিছিল
ছিন্ন দীর্ণ পোশাক পাখিদের মতো দোল খেতে খেতে বলো…কী কী কারণে একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে ওঠে আমি জানি না

ওঃ বর্ষাফলক তুমি জানো, মানুষের মুখের প্রতিটি
রেখায় কতটা দুঃখ লেগে থাকে, শ্রুতিসুখকর কোনও স্বপ্নের কথা ভেবো না কখনো. ..
আজ এই নিভ্রৃতে কবির ভাষায় উচ্চারণ করো
এই নির্জনে মানুষ বড়ো একলা, তুমি মানুষের
পাশে এসে দাঁড়াও ……


নীল প্রজাপতি ও হলুদ ফুল

হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

রবীন্দ্রসদন মেট্রোর সামনে তুমি দাঁড়িয়ে আছো কালো সানগ্লাস পরে, কাঁধে ব্যাগ চেনা যায় না
যে কোনও লোক দেখলে বলবে কলেজ ফেরতা লছিমা, সেবার শিশিরমঞ্চে দু’নম্বর সারিতে দশ নম্বর চেয়ারে বসেছিলে নীল রঙের ঢাকাইয়ে যেন নীল প্রজাপতি, আমি মফস্‌সল থেকে কবিতা পড়তে এসেছিলাম শহরে, পুষ্পস্তবক দেবার অছিলায়
আমার মধ্যমা ছুঁয়েছিলে হঠাৎ যাতে আমি বুঝতে পারি শনিবারের সন্ধ্যা আর রোববারের সকাল
আমার বড়ো প্রিয়. …
কোনও কাজ থাকে না কবিতা লিখি    লাবণ্য ও
বিমলাদের কথা এখন ভুলে গেছি
কবিতা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হচ্ছে দিন কে দিন
মাধুর্য, ঐশ্বর্য পোস্টমর্ডানিজম এর চাপে
মাত্রা পয়ার মহাপয়ার সব গোল্লায় দিয়েছি. ..

এখন পুঁথি আর ভুর্জপত্র মানে ম্যাজিক রিয়েলিজম
রবীন্দ্রসদনের মেট্রো ফের আমাদের চেনালো…
এখন অফসেট মেশিন থেকে রবিবাসরীয় বেরোয় না, সব অনলাইন ওয়েব …
বিশ্বাস করবে না গণেশ পাইনের ছবি আর শম্ভু মিত্রের কন্ঠস্বর রিয়েলি সেকেলে …

ঠিক এর মধ্যিখানে একটা দীর্ঘশ্বাস

শুধু তুমি এখনো এই এতদিন বাদেও কমা দাঁড়ি
সেমিকোলন যমক উৎপ্রেক্ষা সব কিছু নিয়ে একই. রকম রয়ে গেছো নবমী পুজোর নীল প্রজাপতি
হলুদ ফুল …..