নিমাই জানার কবিতা

যক্ষ্মা প্রদেশের মানুষ ও নয়নতারা ফুলের রুদ্রাণী সমগ্র

নিমাই জানা

হলুদ প্রস্রাবাগারের অসংখ্য জমাট কংকালের অনুর্বর ইউরিয়া গন্ধের গুচ্ছমূল জমিয়ে রাখলেই মাঝরাতে নেচে নেচে ওঠে আমার পূর্বজন্মের অদৃশ্য পিশাচ পিতামহের প্রেতকুণ্ডুরা, মৃত্যুর সরলতন্ত্রী ও পেন্ডুলাম দুলাচ্ছে গলাকাটা ঔ চিহ্নের রুদ্রাণী

যমপুরের দ্বাররক্ষীর দুই হাতে নয়নতারা ফুলের হৃদযন্ত্র আর কাঁটা কম্পাসের অক্ষরবৃত্ত সন্ন্যাস নিয়ে আমি রক্তচন্দন গাছের ভেতর মাংসাশী শরীর জমিয়ে রাখি শ্রীকৃষ্ণ এন্টারপ্রাইজের সিন্থেটিক এনামেলের বিশুদ্ধ রং এর ভেতরে যৌনগ্রন্থী ডোবাবো বলে,
জাগৃতি ঘরের সাদা মাছেদের সাথে সহবাসের স্বপ্নঘোরে উগরে দেই সাদা ফেনার মতো শিরদাঁড়াহীন মানচিত্রের পচা দুর্গন্ধের ইউরিয়া স্টিবামাইন বুদবুদ, হিস হিস, রক্ত জমার শব্দ
কোন এক ফেব্রিক গন্ধের অসম্পৃক্ত বাই-সালফাইড সাপের ঠোঁট খাওয়া অ্যাক্রেলিক শিল্পী আমার মৃত টি-শার্টের উপরে এক্রেলিক দিয়ে রাক্ষসের মূর্তি এঁকে শ্মশানের শ্বাসযন্ত্রের মতো শ্বাসকষ্ট অসুখ দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে আমাকে ও আমার মৃত লিঙ্গবর্ধক স্থলপদ্ম গাছটিকে, কতদিন যক্ষ্মা রোগের বিশুদ্ধ ওষুধ খাইনি

নিজের ভেতরে থাকা এক অনন্ত ঈশ্বর জেগে উঠলে প্রতিটি মানুষ মাঝরাতে জড় নয় মুদ্রা নয় পার্থিব নয় জাগতিক নয় নিরাকার নয় একটি √০ চৈতন্যের ইতিবৃত্ত লিখতে লিখতে অবিনশ্বর প্রেমিক হয়ে যায়
আমি দুই হাতে সাদা চন্দনের তিলক পরিয়ে দিচ্ছি নীলকন্ঠ ঈশ্বরের পাগল পরমহংস কন্ঠ নালীর কাছে, ডায়াপেপসিন খাচ্ছে একদল কৃষ্ণনগরের মানুষ