প্রিয় পাঠক

# এটা NOV-DEC 2024 সংখ্যা # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী JAN-FEB 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ ।

মন – সুদীপ ঘোষাল
মন – সুদীপ ঘোষাল

মন        (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল শরীরটা আছে। সে সম্ভোগে ব্যস্ত। দেহের অণু পরমাণু অংশ ভিজে। কিন্তু মন যে শুষ্ক। মনের শূন্য অংশও অধিকারে নেই তার। সে ছুটেছে পদ্মবনে। সেখানে তার রূপ দর্শনে মোহিত তার মন। এদিকে শরীরলোভি সে খবর রাখে না। ভিজে ভিজে ভালোলাগা শেষে বিরক্তির বিশ্রাম। আর মনলোভি নাগর দখল করে নেয় প্রিয়ার মন। শরীরে তার আসক্তি নেই। ক্ষণিকের আনন্দ নয়, অসীম আনন্দের অনুসন্ধানী তার মন।

Read More

আবাল – সদানন্দ সিংহ
আবাল – সদানন্দ সিংহ

আবাল     (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিটিং বসেছে। রামকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। রামকুমার নাকি কথায় কথায় প্রায়সময়েই আবাল বলে গালিগালাজ করে থাকে গ্রামের পঞ্চায়েত মেম্বারদের। এই গতকালও সে পঞ্চায়েত মেম্বার অশ্বিনীকে আবাল বলে গালিগালাজ করেছে। তাই অশ্বিনী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে বিচার চেয়েছে। যার ফলেই আজকের এই পঞ্চায়েতের মিটিং। রামকুমারকেও আজকের এই মিটিং-এ উপস্থিত থাকার জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সব মেম্বারগণও এসে গেছে। কিন্তু রামকুমারের পাত্তা নেই এখনো। অশ্বিনী গাঁওপ্রধানকে বলে, দেখছেন তো, ও কেমন বেয়াদপ; আমরা…

Read More

আমি বলি ভাল – ব্রতীন বসু
আমি বলি ভাল – ব্রতীন বসু

আমি বলি ভাল        (অনুগল্প) ব্রতীন বসু এক বন্ধু গান লেখে, গান গায়। আমায় পাঠায়, বুঝি না বিশেষ, বলে দিই — ভাল। কেউ কিছু উপহার দিলে, বলে দিই — ভাল। কেউ ঘর সাজিয়ে ডাকলে, বলি — কি সুন্দর, খুব ভাল। কারুর রান্না খারাপ বলি না, ভাল শুনতে সবার ভাল লাগে। হপ্তাখানেক আগে আমার এক প্রিয় বান্ধবী কবিতা লিখে পাঠাল আমাকে। মজার কথা, জানতে চাইল না কেমন হয়েছে। তার ছেলে প্রীতমকে নিয়ে লেখা, দু বছর আগে ছেলেটা আর…

Read More

খোরপোশ – গুলশন ঘোষ
খোরপোশ – গুলশন ঘোষ

খোরপোশ      (অনুগল্প) গুলশন ঘোষ লালনের বিরুদ্ধে রয়েছে ১২৫ ধারা। তার পক্ষের উকিল হীরালাল হাজরা ডিস্ট্রিক কোর্টে লড়ছে। ছয় মাস হয়ে গেলো কেসের কোন আপডেট পাচ্ছে না লালন। হীরালালের কাছে লালন কিছু জানতে চাইলেই বলা হচ্ছে, কেস তো আমার আন্ডারে রয়েছে তোমাকে ভাবতে হবে না। কিন্তু, এরই মধ্যে একদিন পিয়ন সকালে চিঠি দিয়ে গেলো। চিঠি খুলে দেখে ১২৫ ধারা চালু হয়ে গেছে। এরিয়ার বাবদ সামনে মাসেই ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে লালনকে। লালন চিঠি নিয়ে ছুটল হীরালালের কাছে।…

Read More

সমীকরণ A+B-C – সদানন্দ সিংহ
সমীকরণ A+B-C – সদানন্দ সিংহ

সমীকরণ A+B+C     (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ ভোলাবাবু এবং চিত্তবাবু দু’জন দু প্রান্ত থেকে আসছিলেন। কাছে এলে মুখোমুখি দু’জনের দেখা হয়ে গেল। আসলে ভোলাবাবুর পড়শি চিত্তবাবু কিংবা বলা যায় চিত্তবাবুর পড়শি ভোলাবাবু। দু’জনেই একসময় সরকারি চাকরি করতেন, এখন রিটায়ার্ড। প্রায়সময়েই দু’জনের মধ্যে দেখা হলে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ-সালাপ হয়। আজও হল। ভোলাবাবু বললেন, কেমন আছেন ? শরীর-টরীর ভালো তো ? চিত্তবাবু উত্তর দিলেন, এ ক’দিন যা গরম পড়েছে। বৃষ্টি হলেই বাঁচি। ভোলাবাবু হাসলেন, অবশ্য আমাদের এখন ভালো থাকারও উপায় নেই। দিনে…

Read More

মনের মানুষ – সুদীপ ঘোষাল
মনের মানুষ – সুদীপ ঘোষাল

মনের মানুষ    (অনুগল্প) সুদীপ ঘোষাল অসীম গরীব হলেও সুখী। সে দশটা ছাগলের মালিক। ফাঁকা মাঠের ধারে মাটির ঘর। সেখানেই সে তিরিশ বছর ধরে বাস করে একা। দরজা খুলতেই দেখে তার মনের মানুষ, পিয়া, মাথায় সিঁদুর পরে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে তার জল। অসীম যখন কুড়ি বছর বয়সের যুবক তখন ভালোবেসেছিল পিয়াকে। কিন্তু একজন চালচুলোহীন অপদার্থ ছেলের হাতে পিয়াকে দেয় নি,তার বাবা, মা। পিয়ার বিয়ে হয়েছিল রোজগেরে মদনের সঙ্গে। তারপর থেকেই পিয়া সংসারের বোঝা টানতে টানতে হাঁপিয়ে ওঠে। পান থেকে…

Read More

উন্মোচন – গুলশন ঘোষ
উন্মোচন – গুলশন ঘোষ

উন্মোচন     (অনুগল্প) গুলশন ঘোষ বি.এ পাস করার আগেই বিয়ে গিয়েছিল সঙ্গীতার। শ্বশুর বাড়ি গ্রাম থেকে অনেক দূরে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান সে। চেয়েছিল কাছাকাছি কোন গ্রামে বিয়ে হোক। কিন্তু চাইলে-ই যে সব সাধ পূরণ হয় – এমনটা ক’জনের ভাগ্যেই বা ঘটে। বিয়ের প্রথম তারা কয়েক বছর ঘনঘন আসা-যাওয়া করছিল। এখন তা কমে গেছে। বাবার শরীর খারাপ শুনে সঙ্গীতা অনেক দিন পর বাবাকে দেখতে এসেছে। ঘরে মুদিখানার মালমশলা সব শেষ হয়ে গেছে। সঙ্গীতা গ্রামের দোকানে গেলো মুদিখানার ঝালমশলা আনার জন্য।…

Read More

কংস দেববর্মার বাপ – সদানন্দ সিংহ
কংস দেববর্মার বাপ – সদানন্দ সিংহ

কংস দেববর্মার বাপ   (অনুগল্প) সদানন্দ সিংহ লোকটার নাম জাপান দেববর্মা। সবাই তাকে জাপান বলেই ডাকে। গাঁও পঞ্চায়েতের একজন মেম্বারও বটে। আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন জাপান নামের এক খ্যাতি তৈরি হয়েছিল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পরও জাপান নামের প্রতি একটা ভালো লাগা থেকে গিয়েছিল বলে জাপানের বাবা ছেলের নাম রেখেছিল জাপান দেববর্মা। নিজের নাম নিয়ে কোনোদিনই ভাবেনি জাপান। তার ছিল যাত্রাপালার প্রতি টান। শীতের সময় ফসল কাটা হয়ে গেলে প্রতি বছর তাদের গ্রাম থেকে দু…

Read More

জিতে যাওয়া – ব্রতীন বসু
জিতে যাওয়া – ব্রতীন বসু

জিতে যাওয়া    (অনুগল্প) ব্রতীন বসু দীপক রোজ ঘুম থেকে ওঠার আগে একটাই স্বপ্ন দেখে। এক মিহি গলায় কে যেন ওর কানের কাছে বলছে, তুমি আজ জিতবে, সব কিছুতে জিতবে। অদ্ভুত এক আত্মবিশ্বাসে ভরে যায় মনটা। দীপক এক আই টি কোম্পানির জুনিয়র প্রোগ্রামার, সারাদিন ল্যাপটপে কাজ, কঠিন টাইমলাইন, লিডের চোখ রাঙানি, লাঞ্চে স্যান্ডউইচ অথবা ক্যান্টিনের এক ঘেয়ে খাবার, রাতে মায়ের হাতের রুটি তরকারি, অল্প ওটিটি দেখা দিয়ে ঘুম। আবার এক স্বপ্ন ভোর রাতে। জীবন এক ধাতুতে গড়া, জেতা হারার…

Read More

ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা – গুলশন ঘোষ
ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা – গুলশন ঘোষ

ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা     (অনুগল্প) গুলশন ঘোষ শুকনো পাতাগুলো ভেসে ভেসে বিছানো চাদরের উপর পড়ছে। সেইখানেই জমা হচ্ছে দশ-বিশ-পঞ্চাশ-একশো-দু’শো টাকার নোট। কেউ বা নমস্কার করে দিয়ে যাচ্ছে কয়েন। চাদরের উপর রাখা কত অজানা গাছের নানা শিকড়। কিছু রঙ-বেরঙের পাথর। লোহা ও তামার রিং। গাছের নীচে বসে আছে অমূল্যচরণ শাস্ত্রী। আগে নাম ছিল অমূল্য সাঁতরা। শাস্ত্রী তার উপাধি। এছাড়া তার আরো একটি উপাধি আছে — রত্নপ্রভাকর। ছেলের চিকিৎসার জন্য গেছেন ভেলোরে। ছেলে ভর্তি রয়েছে এক সপ্তাহ। সারাদিন একা একা সময় তার…

Read More