প্রিয় পাঠক

# এটা JAN-FEB 2025 সংখ্যা # পরবর্তী MARCH-APRIL 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মার্চ মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী MARCH-APRIL 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে মার্চ মাসের ২০ তারিখ ।

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

শেষ হয় বলাই দে ঘটনার ঘনঘটা স্মৃতি পটে দগদগে, চেতনায় হানা দেয় ফোটে খুব টগবগে। পথে পথে কেটে যায় জীবন আর যৌবন, বালি খুঁড়ে বালি শুধু বায়ু ছোটে বনবন। অপলক চোখ দুটি বেদনার মুখ ছবি, একরূপে প্রতিদিন কিবা সোম কিবা রবি! কেবা শোনে ফরিয়াদ কেইবা দেয় আশ্বাস, ভাবে শুধু দিনরাত বিধাতার পরিহাস! মেতে থাকে জনপদ যার যেমন ধান্দায়, কেন আর রাখে মনে নিঃস্ব এই বান্দায়! ফিরে ফিরে আসে ওই জীবনের কালবেলা, এইভাবে শেষ হয় জীবনের যত খেলা! শূন্যে বিলীন…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

শাসক বলাই দে অনেক অনেক বাদশা ছিল সারা বিশ্ব জুড়ে, ইতিহাসের পাতায় পাতায় পাবেই খুঁজে খুঁড়ে! বাদশাহের আরাম আয়েশ ছিল হারেমখানা, চলন বলন ডগমগানো কতনা খানসামা! জাহাঁপনার লোক লস্কর ছিল কতই নবাব, হুকুমদারি তামিল করার লোকের কী আর অভাব! নবাব সাহেব খুব দাপুটে মেজাজ ছিল খুব, মৌ সাহেব ওই জমিদার সব ভোগবিলাসে ডুব। বাদশা নবাব রাজরাজারা ইতিহাসেই আছে, গণতন্ত্রের স্বৈরাচারী তেমন করেই বাঁচে। প্রজা বৎসল রাজা যিনি হৃদয় জুড়ে রণ, প্রজা পীড়ক শাসক যতই বিতাড়িতই হন! বেচেন্দ্রদা বলাই দে…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

হেরে যাবার ডর বলাই দে সাতেও নাই পাঁচেও নাই আছি হাওয়ার সাথে, দেখেও না দেখার ভান আছি দুধে ভাতে! ‘মানবতা আর মনুষ্যত্ব’ উঠলো যদি কথা, আমি বাপু এড়িয়ে চলি ‘নীতি’ নিরপেক্ষতা। মাঠে নেমে লড়াই করে মেঠো রাজনীতি, আছি আমি ভালোই আছি নাই হারাবার ভীতি। যুক্তিতর্কে বোঝাও যতই মানছি না সেই যুক্তি, নিজের নাকের ডগায় আমি খুঁজে ফিরি মুক্তি! ঘরের খেয়ে বনের মোষ যারাই তাড়ায় নিত্য, আগাছা সব আমার কাছে দেখেই জ্বলে পিত্ত। নিজে বাঁচাই আমার কাছে বেঁচে থাকার শর্ত,…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

বিকল হলে বলাই দে চাকা যদি হয়রে বিকল হুংকারে কী চলে গাড়ি, অর্থশাস্ত্র রাজনীতি নয় এইটুকু তো বুঝতে পারি। দেশাত্মবোধ ভিন্ন ব্যাপার হয়তো একটু আবেগ তাড়া, নুন আনতে পান্তা ফুরায় কীইবা করে হতচ্ছাড়া! রোজগার কই, কেইবা দেবে গা খাটিয়ে উদর পূর্তি, আকাশ তলে গাছের নীচে তাদের আবার কিসের ফুর্তি। বেঁচে থাকার হাজার হ্যাপা কথাটুকু কে না জানে, পকেটে নাই কানাকড়ি যাবে সে কোন্ দোকানে? দেশেই থাকো দেশেই বাঁচো ছুঁড়ে ফেলো পুড়ে ফেলো, নদীর জলে উদর পুরে কর্তাবাবুর পাঁপড় বেলো।…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

চোখের মণি বলাই দে সব তথ্যই পৌঁছে যায় মন্ত্রবলে, এই ভাবেই বাড়ে ফসল সুকৌশলে। দাদাই বড় শুভাকাঙ্ক্ষী প্রাণের সখা, টপাটপ ভাঙছি সিঁড়ি শুধুই একা! পিছনে রয় পড়ে রয় বাকিরা সব, ঝড়ের বেগে ছুটছে ঘোড়া আজকে পরব! সবই কেমন হাতের মুঠোয় দেয় যে ধরা, সাদামাটাই ছিলাম বটে হতচ্ছাড়া! আজকে এই জগৎ খানা আকাশ ছুঁয়ে, সবই কিছু সামনে আমার পড়ছে নুয়ে! ক্ষমতার পাঁকে পাঁকে লেপ্টে গেছি, আমি ‘দানি’ চোখের মণি হয়েই বাঁচি! গণতন্ত্র বলাই দে শাসন চলে শোষণ চলে বেড়েই চলে…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

লোকহিত বলাই দে ধান ভানতে শিবের গীত গাইলে নাকি লোকের হিত, এটাই এখন জপের মালা বলেই চলেন আচম্বিত! মোদ্দা কথায় উদাহরণ মনীষীদের করেন স্মরণ, ব্যাখ্যা নাকি বাহুল্যতা ব্যাখ্যার তাই নিস্প্রয়োজন! মিলিয়ে দেবেন রাজামশাই তিনি যে মস্ত সে সাঁই, কথায় ফোটে ভজন সাধন ভক্ত জনে দেন যে সাফাই। যাদের আছে পুঁজির পাহাড় ত্রাতা ওরাই আমজনতার, জনপদ থাকবে ভালো অফুরান মিলবে আহার! নীচের জল নামছে নীচে জনতার ঢেউ ছুটছে পিছে, জমিজমায় খাটছে মজুর কোথায় যাবে এই ভাবিছে! এত ভালো রাখছে রাজায়…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

. বাঁচার জন্য বলাই দে বেঁচে আছেন বেঁচে থাকেন আয়ু পেলেন মস্ত, ফুলে ফেঁপে বর্গাকার সমান দীর্ঘ প্রস্থ! প্রেসার বাড়ে, বাড়ে সুগার বাড়ে দিবানিদ্রা, রাতের বেলায় উড়ন্ত মেঘ হাসেন বিশারদরা! কোবরেজ স্বপ্নে আসেন বাজান ডুডুম বাদ্য, কালকে থেকে কমাও বেটা মুখরোচক খাদ্য। ঘুমটি ভাঙে আচম্বিতে নিদান পেয়ে স্বপ্নে, বছর ভর খেলি অনেক এবার নামের জপ’নে। রোজগারটা করিস বটে তাই বলে সব চাটবি, আরাম আয়েশ ছেড়ে ছুঁড়ে যত পারিস খাটবি। বাঁচিস কেবল খেতেই বুঝি চলিস কেবল উল্টা, বাঁচার জন্য একটু…

Read More

বলাই দে’র ছড়া
বলাই দে’র ছড়া

তিনিই সব বলাই দে তিনিই কেবল চালাক চতুর বাদবাকি সব বোকা, সাবালক আর প্রাজ্ঞ একাই বাকিরা, কচি খোকা। কূটনীতিতে হয় কুপোকাত ঘায়েল ভীষণ ঘায়েল, মার্গ সঙ্গীত রক্তে তাঁহার বাঁধেন পায়ে পায়েল। হোঁচট খেয়ে পড়তে পড়তে সামলে নেবার চেষ্টা, গভীর জ্ঞানের ভাণ্ডারীও নিজেই, নিজ উপদেষ্টা! জাহাজ যখন ডুবোডুবো উত্তাল ঘূর্ণি জলে, হেসে বলেন সাবমেরিন যে ডুব সাঁতারে চলে। কালিদাসও বোকাই ছিলেন ডালে বসেই কাটা, পণ্ডিত ওতো তিনিই মস্ত এইতো জোয়ারভাটা। কে বোঝাবে জ্ঞানী জনকে কম যে কাণ্ডজ্ঞান, ভক্তরা দেয় জয়ধ্বনি…

Read More