প্রিয় পাঠক

# এটা JULY-AUG 2025 সংখ্যা # পরবর্তী SEPT-OCT 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে SEPT মাসের ২০ তারিখ # আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ # ঈশানকোণ নিয়মিত পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল আমাদের একান্ত অনুরোধ # ফেসবুকে আমাদের পেজ লাইক করুন, আমাদের ফলো করুন # আপনার লেখা আমাদের কাছে অমূল্য, লেখা পাঠান এই ঠিকানায়ঃ singhasada4@gmail.com # ঈশানকোণ-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন # পরবর্তী SEPT-OCT 2025 সংখ্যা প্রকাশিত হবে SEPT মাসের ২০ তারিখ ।

পয়লা বৈশাখ – লোপামুদ্রা সিংহদেব
পয়লা বৈশাখ – লোপামুদ্রা সিংহদেব

পয়লা বৈশাখ         (অনুগল্প) লোপামুদ্রা সিংহদেব চৈত্রের শেষদিনে আজ বাজার গরম। চারিদিকে চিৎকার ‘সেল, সেল’। বাজারে খদ্দেরের ঢল নেমেছে। আজ বছরের শেষদিন। কাল নতুন পোষাকে সেজে মন্দিরে পুজো দিতে যাবে সবাই। তাড়াতাড়ি হাত চালাবার চেষ্টা করে অমিতা, বিকেলের মধ্যেই সব অর্ডার রেডি করে দিতে হবে। কাল পয়লা বৈশাখ। দোকানগুলোতেও পুজোর আয়োজন। অতনুর কথা আজ বড়ো মনে পড়ছে অমিতার। মাঝে মাঝেই চোখটা ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। মিনতি বলে – “কি হলো দিদি, চোখে কিছু পড়ল”? কিছু না বলে চোখে…

Read More

Posted in অনুগল্প Comments Off on পয়লা বৈশাখ – লোপামুদ্রা সিংহদেব
প্রসেনজিৎ রায়ের কবিতা
প্রসেনজিৎ রায়ের কবিতা

জীবনের এপারে প্রসেনজিৎ রায় তুমি দুচোখে বিশ্বাস এঁকে দিলে আমি কাকভোরে স্বপ্ন দেখি, অলীক বাস্তবের ছিটেফোঁটা পড়ে থাকে বিস্তৃত গেঁয়োবাড়ির উঠোন জুড়ে, বাস্তব তার ক্যানভাস জুড়ে কিছু ক্ষুধার্ত মানুষের অসহায় মুখ আঁকে, অসহায়ত্ব বেকার যুবকের স্বপ্নভঙ্গের নীরব কান্নার অশ্রুজল মাপে, সীমানায় কর্তব্যরত সেনার সংসারত্যাগের কষ্টের গাঁথা লেখে অভিজ্ঞতা… প্রতিবন্ধীর না ছুঁতে পারা মেঘলা আকাশের দিকে চেয়ে অঝোরে কাঁদে বাস্তব, অতলে হঠাৎ তলিয়ে যায় সব প্রেম-স্বপ্ন , বেঁচে থাকার তাগিদে ভীষণ খিদে পায় আমারও মাঝরাতে, তুমি ভাতের ফেন ঝেড়ে প্রেমিকা…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on প্রসেনজিৎ রায়ের কবিতা
তুষার আচার্য্যের কবিতা
তুষার আচার্য্যের কবিতা

আমি আগুন, আমি দহন তুষার আচার্য্য এ আমার শরীর নয়, শুনলে? এই হাড়-মাংস, এই বুকের ভাঁজ— তোমার চোখের চাটনি নয়। তোমার দৃষ্টি ? চুরি করে ছায়া গিলে ফেলে, আমি তাতে পুড়ে যাই না আর। আমি আগুন, আমি দহন— তোমার ভদ্রতা আমার ঘৃণার পোশাক। তুমি হাত বাড়ালে, আমি ছুরি দেখি। তুমি প্রশ্রয় চাও, আমি থু থু ফেলি— কেননা আমার নীরবতা আর কাঁদে না, চিৎকার করে। আমার পায়ের গন্ধে তোমার অহংকার জ্বলে যাক। আমার কণ্ঠস্বর বয়ে আনুক তোমার সাজানো সৌন্দর্যের শবযাত্রা।…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on তুষার আচার্য্যের কবিতা
সুদীপ ঘোষালের কবিতা
সুদীপ ঘোষালের কবিতা

প্রেম-কিশোর সুদীপ ঘোষাল দুজনের মেলায় যাওয়া মনে আছে ? ফুচকা খাওয়ার মুহূর্তটা সামলে রেখো, ফুলদানিটা ঘরের মাঝে সাজিয়ে দেখো আর যদি ভুলেই গেছো, একনিমেষে, বিকেলবেলার বেকার জীবন মনে রেখো তোমার চুড়ির ঝনঝনানি সামলে রেখো, ঠিক দুপুরে তুমি আমার সামনে আসো, আমি কি আর যেতে পারি তোমার মাঝে, সুখে আছো সুখেই থাকো সব শুভ হোক মনের ভাঁজে তুমি কি আর স্বপ্ন দেখো খামখেয়ালি শরীর জুড়ে, তুমি কি আর লাল শাড়িটা ঝুলিয়ে রাখো জানলা খুলে এক ইশারায় বুঝে যেতাম তোমার বারণ,…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on সুদীপ ঘোষালের কবিতা
নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা

রীলস বনাম রিয়েল নিবেদিতা মুখোপাধ্যায় রীলস যদি হয় পরিপাটি, রিয়েল এ তবে কান্নাকাটি। রীলস যদি রান্না দেখায়, রিয়েল তবে রান্না করায়। রীলস সুখের আবেশে, রিয়েল সহজ কঠিন পরিবেশে। রীলস বানায় গল্প বাস্তব ঘটনায়, রিয়েল প্রতিদিনের জীবনযাত্রায়। রীলস তুমি ডিজিটাল রিয়েল নর্মাল, রীলস তুমি সব কালের রিয়েল বর্তমান। রীলস তুমি চলমান ঊর্ধ-নিম্নমুখী, রিয়েল তুমি আমাদের হৃদপিণ্ডের শক্তি। রীলস বিপদ সংকেত দেয় রিয়েল এর সাহায্যে, রিয়েল অগ্রসর হয় রীলস-এর কার্যে। রীলস তুমি বিনোদন রীলস তুমি কৌতুক, রীলস তুমি আমাদের রিফ্রেশমেন্ট লুক।…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা
আবদুল হকের কবিতা
আবদুল হকের কবিতা

তোমার নামে অলক্ষ্যে লেখা আবদুল হক রাত্রির ভেজা জানালায় ছায়া পড়ে চুপচাপ, তুমি কি জানো, আমি কতকাল অপেক্ষায়? চোখের পাতায় নামছো—একটা নরম গোলাপ, ভাষাহীন স্পর্শে জেগে ওঠে পুরনো ব্যথায়। হাঁসফাঁস করে জোছনায় শুয়ে থাকে ব্যথা, তোমার হাসি জ্বলজ্বলে, অথচ দূরের তারা। কোনোদিন বলা হয়নি—চেয়েছিলাম চিঠিতে লেখা “তুমি”—এই একটি শব্দই আমার সারাজীবনের হারা। পদ্মফুল ফোটে ভোরে, তবু রাতের গন্ধ ফেলে যায়, তুমি যে স্পর্শ করোনি—সেই চুম্বনেই আলো ছড়ায়। তোমার নামে অলক্ষ্যে প্রতিটি দিন লেখা থাকে, ভালোবাসা, না হয় অভিমান—সবই আমার…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on আবদুল হকের কবিতা
প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা
প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা

ভ্রমণ প্রভঞ্জন ঘোষ দেহের গরম ভাব কাটাতে স্নায়ুর জটিলতা মধ্যে-মধ্যে যাওয়া ভালো মাঠ-প্রান্তর যেথা। তিরিক্ষে মন-মেজাজ যত কাটিয়ে তুলতে ধীরে মধ্যে-মধ্যে যাওয়া ভালো সেথায়, সাগরতীরে। কুটকচালি, চাতুরালি চোখের কলুষতা কাটিয়ে উঠতে যাওয়া ভালো পাহাড় ঝর্না যেথা। কর্ম-কথার অস্থিরতা ভাঙতে মাঝে-মাঝে অরণ্যে দিনযাপন ভালো সময় সুযোগ বুঝে। সবার উপর ঠিক আছে তো বনভোজনের খুশি- গোমড়া মুখের কাণায়-কাণায় ভরিয়ে দিতে হাসি।

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on প্রভঞ্জন ঘোষের কবিতা
গন্ধ বদলে যায় – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
গন্ধ বদলে যায় – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য

গন্ধ বদলে যায়        (ছোটোগল্প) ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য “তপন দা, এইদিকে আসুন।” সামনে তাকায় তপন। রাস্তার ওপাশের প্রতীক্ষালয়ে বসে রয়েছে মৌসুমী। আজ মৌসুমীর সঙ্গে একই বাসে বর্ধমান ফিরবে তপন। তপনের সারাদিনের ইচ্ছেটা অধীর হয়ে ওঠে মুহূর্তে, ডানা ঝাপটায়। চারপাশের বাতাস ভরে ওঠে সুগন্ধে। ব্যস্ত-ইচ্ছে স্তিমিত করবার চেষ্টা করে তপন। রাস্তার এই পার থেকেই মৌসুমীকে একবার দেখে। মনে মনে ভয় পায় বেশ। অধীরতায় লাগাম টেনে তাকিয়ে দেখে চারপাশ, কারোর নজর তপনের উপর আছে কিনা। ‘কারও’ মানে অফিসের দত্তবাবু,…

Read More

Posted in ছোটোগল্প Comments Off on গন্ধ বদলে যায় – ডঃ নিতাই ভট্টাচার্য্য
রওশন রুবীর কবিতা
রওশন রুবীর কবিতা

তবু তুমি থেকে যাও ঘাম ও ঘুমে রওশন রুবী আমি প্রচণ্ড উত্তেজনা চেপে বাতাসের কানে কানে বলি— স্বীকার কোরো না, যেটুকু তুমি জেনেছো; দেখেছো যতটুকু, দেখোনি কত কিছু নীরবে সয়ে নেয় দৃষ্টির প্রখরতা। প্রত্যেকে বলবে, “তুমি শোনো” আর তুমি শুনলেই একশো বিশ মাইল বেগে ছাই থেকে জেগে উঠবে লস অ্যাঞ্জেলস ক্যালিফোর্নিয়া। দেখো না, যে হারায় সে-ই খোঁজে ক্ষয়িত পাথরে আগের পায়ের ছাপ। আমি তোমাকে থামতে বলবো না— জামার বোতাম লাগিয়ে নাও, যে মিথ্যে গ্রহণ করেছো তা ছুঁড়ে ফেলে দাও।…

Read More

Posted in কবিতা Comments Off on রওশন রুবীর কবিতা
কবি মণীন্দ্র গুপ্তের কবিতা – সুদীপ ঘোষাল
কবি মণীন্দ্র গুপ্তের কবিতা – সুদীপ ঘোষাল

কবি মণীন্দ্র গুপ্তের কবিতা সুদীপ ঘোষাল কবি মণীন্দ্র গুপ্ত। বিশিষ্ট ভারতীয় কবি, লেখক। মণীন্দ্র গুপ্ত স্বাধীনতা উত্তর বাংলায় তিনি সর্বাধিক প্রভাবশালী কবিদের অন্যতম। জন্ম ১৯২৬ – মৃত্যু ২০১৮। তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির দ্বারা ভূষিত হন, এবং ২০০৫ সালে ‘টুং টাং শব্দ নিঃশব্দ’-র জন্য পেয়েছিলেন রাজ্যের বাংলা সাহিত্যের সর্বোচ্চ সম্মান ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’। মণীন্দ্র গুপ্তর শৈশব কাটে অবিভক্ত বাংলাদেশের বরিশাল জেলায়। স্কুলের শিক্ষা প্রাপ্ত হন আসামের শিলচর এবং কলকাতায়। শিক্ষা সম্পূর্ণ করার পর তিনি ভারতীয় সেনায় যোগদান করেন এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলে…

Read More