তুষার আচার্য্যের কবিতা

রাস্তা

তুষার আচার্য্য

রাস্তা কখনই সোজা পথে চলে না,
যদি কখনও বামদিকে যায়, নিশ্চিত আবার ডানদিকে আসবেই।
এই ছন্দই রাস্তার এগিয়ে যাওয়ার অধ্যায়।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে তাঁর পরিসীমার মাঝে চাঁদের কলঙ্ক,
খানা খন্দ, রোদ্রজলের উঁকি, জলকাদার প্রাকৃতিক স্থাপত্য।
হঠাৎ উদয় হয় অনুদানের কৃপা।
সেজে ওঠে নববধূর বেশে, ঝলমলিয়ে ওঠে অন্ধকারের রাত।
ভুলে যায় অতীত, ভুলে যায় কলঙ্কের চোরা খাদ।
হারিয়ে যায় অনেক যন্ত্রণার দাগ।
চাপা পড়ে যায় বহু পদচিহ্নের জীবাশ্ম।
দম আটকে আসে তাঁর, চিৎকার করে সে,
ব্যক্ত করে সে তাঁর ইতিবৃত্ত।
তাই তো পাকা পিচ রাস্তাতেও দেখা যায় ব্যাথার ফাটল,
কোথাও বা অজ্ঞাত নীলগর্ত।
জীবনের সাথে রাস্তার মিলের অভাব নেই,
অমিল একটাই জীবনের শেষ আছে মাত্র।