বন্ধন
হামিদুল ইসলাম
মানুষগুলো এভাবেই চলে যাচ্ছে
চলে যাচ্ছে নিঃস্ব হাতে
দুচোখ ধরে আসছে বারবার
কারো চোখে অতলান্ত অশ্রু
কারো চোখে আগুন
যারা আগুন নিয়ে খেলেছিলো সেদিন
তারা হেরে গেছে আজ
এখানে জয় পরাজয় নেই
আছে দোলায় শুয়ে থাকা ক’টা নিথর লাশ
এখানে মানুষ সব ধীরে ধীরে লাশ হয়ে যাচ্ছে
লাশ হচ্ছে পৃথিবী
মানুষের ভ্রাতৃত্ব ভালোবাসা প্রেম
স্বামী স্ত্রী লাশ হচ্ছে
লাশ হচ্ছে তাদের ক্ষণিকের অস্থায়ী বন্ধন
কথা
হামিদুল ইসলাম
কথা দিই
কথা রাখে না কেউ
মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাস্তা হেঁটে পেরিয়ে যায় অনেকেই
কেউ কথা রাখলে
মনও রাখতে চায়
মন নিয়ে খেলতে চায় অনেকেই
ইচ্ছের নদী আটকে যায় শুরুতেই
জলে ভাসে মৃত্যুর ছায়া
মৃত জলছবি
স্বপ্নগুলো তুলে রাখি
অমাবস্যার রাত হাতড়ায় হিংস্র পশু
কামনা প্রকট
কামনার রাতে চাঁদও জ্বলে ওঠে আগুনের খড়্গ হাতে
তীর্থযাত্রী
হামিদুল ইসলাম
আঁধার রাতে ফেলে আসি জীবন ও মরণ
বিষাদ মাখে চোখ
হাতের ভেতর মফস্সল। রাস্তা হারায় অন্ধ কানাই
ঈশ্বর আসেন
নীরবে চলে যান
আমরা নিরুদ্দেশে পাড়ি দিই অসময়েই
কতো ইচ্ছে ফিরে আসে
কতো ইচ্ছে ফিরে আসে না আর
জীবন দুদিনের খেলাঘর। ভেঙে যায় নিমেষেই
তবু ইচ্ছের হোলি খেলি
কবিতায় আঁকি ভালোবাসা
বর্ষবরণ
শ্রাবণের জলে ভাসাই অনাদি সম্বল
কাকগুলো ফিরে আসে একে একে
তীর্থযাত্রীরা ফিরে আসে না আর কোনোদিন