
হাতুড়ের কেরামতি
বলাই দে
হাতুড়ে হাতড়ে মরে
পায় না খুঁজে নাড়ি,
রোগী কেবল মূর্ছা যে যায়
বুকটা ভয়ে ভারী।
কোন্ ওষুধে ধরবে খুঁটি
কেমন করে কবে?
মরণ থেকে আসবে ফিরে
মর্তের এই উৎসবে!
কপালেতে ফুটেছে ভাঁজ
চিন্তা কিযে চিন্তা,
তুড়ি মেরে কথার পিঠে
চললো এতদিন তা।
রোগের কারণ জানা যাদের
তাঁরা যে হায় ব্রাত্য,
দক্ষতা আর অভিজ্ঞতায়
নিদান দিতে পারতো!
হেলা ফেলায় কেটেছে দিন
বেহাল দশায় রোগী,
ঝাড়ফুঁকের জোর আয়োজন
যোগব্যায়ামে যোগী।
বুকের ভেতর ঘড়ঘড়ানি
চলছে উর্দ্ধশ্বাস,
শ্মশান যাত্রার চলছে জোগাড়
হচ্ছে বাঁধা বাঁশ!
আমি
বলাই দে
জানি না অনেক কিছুই
ভাবটা যেন সবই জানি,
মুখটি টিপে হাসাহাসি
চলছে খুব কানাকানি।
অনেকটা পথ পেরিয়েছি
এমনতর চালাকিতে,
জন্ম আমার এমন দেশে
ফাঁকি দিতে ফাঁকি দিতে।
আমায় দেখে অভিভূত
যারা শুদ্ধ মাটির মানুষ,
ঠকাই কেবল ঠকিয়ে চলি
উড়িয়ে দিয়ে আশার ফানুস।
আমায় দেখে মুগ্ধ চোখে
ভাবে আমার এইতো স্বরূপ,
ভেতর বাড়ি ভিন্ন আমার
সবাই ভাবে রূপ অপরূপ!
চারিদিকে জ্বলছে আগুন
আমি সদাই নির্বিকার,
কোন্ যাদুতে পার পেয়ে যাই
সাত খুনেও মিলে যে ছাড়!
বেশ আছি বেশতো আছি
মনুষ্যত্ব খাঁচা ছাড়া,
আমি আছি বেশতো আছি
আম জনতা দিশাহারা!