
তৃতীয় দিবস (অনুগল্প)
ব্রতীন বসু
প্রীতমের লিঙ্গটায় হাত বোলাতে বোলাতে আড়চোখে তাকালো একবার অনুপা।
কেমন লাগছে?
দারুণ, চোখ বুঝেই বলে উঠল প্রীতম।
জান দাদা, তোমার এটা খুব ভাল। আমি ছুলেই জেগে ওঠে।
হুম, বলল প্রীতম। আজকাল ওর বউ ছুলে কিছু হয় না আর, আর , কিন্ত এই ছেলেটার হাতে জাদু আছে।
তোমার বউ কোথায় বাড়িতে নেই।
প্রীতম অল্প নড়েচড়ে উঠল। নারে আজ তো নারী দিবস, ওর স্কুলে উৎসব আছে, সেখানে গেছে।
অনুপা খানিকটা তেল নিয়ে প্রীতমের কুঁচকিতে মাখাতে লাগল।
অনুপ, তোর এখন নতুন নাম কি রে, তুই তো মেয়ে হতে চাস ?
অনুপা।
মেয়ের মত সাজিস ?
হ্যাঁ। কখনো, পুজোর সময়, বা যখন বয়ফ্রেন্ড আসে দিল্লি থেকে।
এখানে যেন মেয়ে সেজে আসিস না। আমার বউ দেখলে তোকে আর মালিশ করতে দেবে না।
আচ্ছা দাদা, আমাদের কোন দিবস আছে, এই নারী দিবসের মত ?
প্রীতম ফোন ঘেটে বলল, আছে তো একত্রিশে মার্চ।
অনুপা মুচকি হাসল, কোথায় পালন হয়, কোন স্কুলে, কোন ক্লাবে কোন মাঠে ? শুধু তোমার ফোন জানে সেটা আর তো কেউ না, তাই না ?
প্রীতমের থাইতে গাছের ডালের মত করে বসে, অনুপা বলল, তোমার আমাকে কেমন লাগে দাদা ?
পরে বলব, তুই এবার প্যান্ট নামিয়ে উল্টো করে শুয়ে পর। তোকে কেমন লাগে ভাবিনি কিন্তু তোর শরীরটার এই পার্টটা ঝক্কাস পুরো মেয়ে রে।
অনুপা জাঙিয়া নামিয়ে পা দিয়ে নিজের পৌরুষ ঢেকে শুয়ে ভাবল, আমাদের আবার কি দিবস, আমাদের সব আনন্দ সব অনুভূতি তো সেখানে, যেখানে আলো প্রবেশ করে না।
আমাদের মাটি আমাদের মনের কথা বলে না।