শাব্দিক বইমেলা সংখ্যা ২০২৫ – স্বাতী ধর

শাব্দিক বইমেলা সংখ্যা ২০২৫ – স্বাতী ধর

শাব্দিক বইমেলা সংখ্যা ২০২৫

স্বাতী ধর

শাব্দিক, কবিতা ও কবিতা শিল্পের কাগজ, আগরতলা বইমেলা সংখ্যা ২০২৫। শাব্দিক মূলত কবিতার কাগজ, তিন দশকের ওপর হল ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত হয়ে চলেছে কখনো লিফলেট আকারে কখনো বইয়ের আকারে কবি সনজিৎ বণিকের সম্পাদনায়। এখন হয়তো অনিয়মিত ভাবে বেরুচ্ছে, কিন্তু কোথাও কখনো আন্তরিকতার ঘাটতি পড়েনি। এবারের সংখ্যাতেও তার প্রমাণ।
এবারের সংখ্যাতে মোট বারো জনের কবিতা আছে। তারা হলেন সনজিৎ বণিক, দিন্সি দে, আশিষ ভট্টাচার্য, অনিল কুমার নাথ, জীবন কুমার সরকার, অঞ্জন কুমার বণিক, ভবানী বিশ্বাস, চিরশ্রী দেবনাথ, কল্যাণী ভট্টাচার্য, হারাধন বৈরাগী, বিপ্লব উরাং এবং সুদীপ চক্রবর্তী।
হারাধন বৈরাগীর “মনপুই এখন যেন অনেকটা চঞ্চল/ঘুম বুঝি উবে গেছে তার/বিচ্ছুরিত ত্রিপুরা-মিজোরাম রাজপথ/তার বুকের ওপর দিয়ে গেছে শক?”, ভবানী বিশ্বাসের “আষাঢ়ের ঘ্রাণ/মায়ের গায়ের মতো/তাঁর ছোঁয়া জমিনে..”, অঞ্জন কুমার বণিকের “উষ্ণ শিশির চাদর পেতে হাঁকে/শীত তুমি কই?”, চিরশ্রী দেবনাথের “আমিও বাড়িয়ে দিলাম হাত/যদিও আকাশে যুদ্ধ বিমান”, সনজিৎ বণিকের “মুখে অন্তত হাসিটা ফুটিয়ে তুলুন/ফুল যেমন সকাল বেলায় হাসিমুখে/হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানায়/সেরকম-ই শুরু হউক আপনার সকালটা”, দিন্সি দে’র “মানুষ গর্তে ঢুকে যাচ্ছে/আমি ওপর থেকে ছাই ফেলছি/সমস্ত গর্ত ভরে গেলেও মানুষ কিছু বলবে না” ইত্যাদির পাশাপাশি বাকিদের কবিতাও ভালোই লাগল।
আটচল্লিশ বছরের ঊনাশিতম সংখ্যায় শাব্দিক-এর কথায় “কবি ও কবিতা পাঠকদের দীর্ঘদিনের চেনা কবিতা ও কবিতা শিল্পের কাগজ শাব্দিক ত্রিপুরার বুকে জেগে আছে” সত্যিই। শাব্দিক, সম্পাদকঃ সনজিৎ বণিক, প্রকাশকঃ সংগীতা বণিক।