একতরফা প্রেম
প্রসেনজিৎ রায়
প্রতিটি রাতের তারারা জানে একতরফা প্রেমের কাতর আর্তি,
প্রতিটি রাতের নীরবতা জানে একতরফা প্রেমের দগদগে ক্ষতচিহ্নের যন্ত্রণা,
তবু পৃথিবী আশা করে না সেই ক্ষতচিহ্ন থেকে ঝরে পড়ুক রক্ত,
বরং সে ক্ষত জন্ম দিক হাজার হাজার কল্পনা প্রকাশের শব্দগুচ্ছ।
প্রেম সে তো ক্ষণিকের, ব্যর্থ প্রেম বরং অমরত্ব পায় বিশ্বাসের বিষবাষ্পে,
প্রেমিকার উষ্ণ নিঃশ্বাস বদলে যায় কোনো দূষিত জীবননাশী গরলে
মৃতদেহ পড়ে থাকে প্রেমিকের ব্যস্ত শহরের কোনো এক নর্দমায় অলক্ষ্যে,
তবু সবার উৎসাহে অন্য কোথাও গড়ে উঠে মিছে ভালোবাসার বাড়ি…
পরিচয়
প্রসেনজিৎ রায়
প্রায়শই আসা-যাওয়ার মাঝে
মহানগরীয় নাগরিক হয়ে উঠতে হিমশিম খাই,
বাবা ব্যস্ত হয়ে উঠেন অফিস ফাইলে,
মা মুখ গুঁজেন সিরিয়ালের পর্দায়…
স্ত্রী মেতে থাকে প্রসাধনী সামগ্রীতে,
আমি হাতড়ে খুঁজতে থাকি পরিচয়।
ছেঁড়া পকেটের ভাঁজে আধুলি মনে করায়
দেশের বাড়ি মাঠ পুকুরঘাট আর আমগাছ,
আমি দাঁড়িয়ে দেখি বাবার ধান বোনা,
মা রান্না সেরে খেতে ডাকে পুকুরপার হতে…
আমি ফিরে ভাঙা স্লেটে খুঁজে পাই পরিচয়,
আমি সেদিন ছিলাম এক উদাসীন ভবিষ্যৎ…