মা
সুদীপ্ত বিশ্বাস
সেই জন্মানোর কতো আগে থেকে
তোমাকেই পৃথিবী বলে জেনেছি
তুমিই দিয়েছ রক্ত-মাংস সব!
আলোতে আসার পরেও
তুমিই ছিলে আমার পৃথিবী
আমার শুধু ঋণ আর ঋণ।
ঋণের ভারে কুঁজো হতে হতে
অবশেষে তোমাকেই আঁকড়ে ধরি।
আমার সমস্ত ব্যথাতে তুমি মলম লাগিয়ে দাও।
আমাকে আরও আলো দাও, আরও ছায়া দাও।
কে বলে স্বর্গ নেই?
সব জায়গা থেকে গোহারান হেরে এসে
তোমার কাছে একটু বসলে মনে হয়-
স্বর্গেই তো আছি!
রাত
সুদীপ্ত বিশ্বাস
তার পছন্দের পোশাক তারার ফুলকাটা নাইটি!
মাঝেমধ্যেই সে কপালে পরে সোনালি চাঁদের গোলটিপ। তখন তাকে পয়মন্ত এয়োতির মতো দেখায়।
চাঁদের টিপ না পরলেও তারার ফুলকাটা নাইটিতে
আরো বেশি খোলে তার রূপের বাহার!
ছেলে বুড়ো সকলেই তার প্রেমে পড়ে যায়।
তবে সূর্যের সাথে তার ভারি শত্রুতা।
দীর্ঘদিন মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত নেই।
সূর্যগ্রহণে যখন দিনের বেলা চাঁদের ঘন কালো ছায়া
সূর্যকে ঢেকে দেয়, তখন তার খুশি দেখে কে!
তারার ফুলকাটা জামা পরে লাজলজ্জা ভুলে
হাসিমুখে সে হাজির হয় দিনদুপুরে!